বৃক্ষ বাঁচাতে বৈদ্যুতিক চুল্লি দিলীপ কুমার পাত্র (বৃক্ষপ্রেমী)
শিল্পায়ন নগরায়ন কৃষির অগ্রগতি রাস্তার সম্প্রসারণ জনবিস্ফোরণের ফলে গাছের সংখ্যা দিন দিন ক্রমশ হ্রাস পাচ্ছ।
অন্যদিকে নির্বিচারে বৃক্ষচ্ছেদন চোরাশিকারও…
বৃক্ষ বাঁচাতে বৈদ্যুতিক চুল্লি
দিলীপ কুমার পাত্র (বৃক্ষপ্রেমী)
শিল্পায়ন নগরায়ন কৃষির অগ্রগতি রাস্তার সম্প্রসারণ জনবিস্ফোরণের ফলে গাছের সংখ্যা দিন দিন ক্রমশ হ্রাস পাচ্ছ।
অন্যদিকে নির্বিচারে বৃক্ষচ্ছেদন চোরাশিকারও দারুণ ভাবে মাথা নাড়ছে। এছাড়া প্রাকৃতিক বিপর্যয় দাবানল, বন্যা, খরা,ধস, ঘূর্ণিঝড়, ভূমিকম্প, সুনামি, ইত্যাদিও বনভূমি কে ধ্বংস করছে।ফলে গাছের সংখ্যা দ্রুত কমছে! কমছে বনভূমির পরিমাণ! এর ফলে জীব বৈচিত্র্য নষ্ট হচ্ছে, পরিবেশ দূষণ হচ্ছে, প্রকৃতি তার ভারসাম্য হারাচ্ছে। পৃথিবীর তাপমাত্রাও ধীরে ধীরে বাড়ছে। ফলে বিশ্ব উষ্ণায়নের মতো ঘটনা ঘটছে। অর্থাৎ সবদিক থেকে গাছের উপর আমরা আঘাত হানছি। এছাড়াও দেখা যায় মৃতদেহ সৎকারের ক্ষেত্রেও প্রচুর পরিমাণে গাছ কেটে ফেলা হয়। ফলে পরিবেশের অবনমন আরো মাথাচাড়া দিচ্ছে। তাই ভাববার সময় এসেছে রাজ্যের প্রতিটি ব্লকে যাতে একটি করে বৈদ্যুতিক চুল্লি তৈরি করা যায় সে বিষয়ে সরকার বাহাদুর ও প্রশাসন কে ভাবতে হবে।ভাবতে হবে শুভবুদ্ধিসম্পন্ন মানুষ কে।এর ফলে গাছের সংখ্যা কিছুটা হলেও বৃদ্ধি পাবে।সৎকারের সময়ও বাঁচবে। এমনকি বন্যা,ঝড়,প্রবল বর্ষণেও মৃতদেহ সৎকারেও কোন অসুবিধা হবে না।কিছু মানুষও রোজগারের সুযোগ পাবে। এরকম আরো নতুন নতুন ভাবনা ভাবতে হবে সমাজের সর্বস্তরের মানুষ কে। তবেই পরিবেশের উন্নতি ঘটবে জীবকুল সুস্থ থাকবে। তেমনি অন্যদিকে বহু মানুষের কর্মসংস্থান বৃদ্ধির দুয়ার খুলে যাবে।। তাই বৈদ্যুতিক চুল্লি নির্মাণ করে গাছ তথা সবুজ বনভূমিকে রক্ষা করি। যে কোন মূল্যে ধরিত্রী ভূমিতে গাছের সংখ্যা বৃদ্ধি করি। না হলে অদূর ভবিষ্যতে আমাদের টিকে থাকা দুরুহ হয়ে উঠবে। জীববৈচিত্র্য কে রক্ষা করাও কঠিন থেকে কঠিনতর হবে।এই নীলগ্ৰহ তার জীবজগৎ কে রক্ষা করতে ব্যার্থ হবে!তাই আসুন এই ধরিত্রীভূমি কে জীবজগতের বাসযোগ্য করে তুলতে নব নব কৌশল অবলম্বন করি। সকলের মিলিত প্রয়াস ও শুভবুদ্ধির উদয় হোক।এই ধরণী কে জীবের বাসযোগ্য করে তুলি।
আন্তরিক ধন্যবাদ আপনাকে।
ReplyDelete