Page Nav

HIDE

Grid Style

GRID_STYLE

Post/Page

Weather Location

Breaking News:

latest

হলদিয়ায় জাতীয় সড়কের পাশে বিজেপি পরিচালিত গ্রাম পঞ্চায়েতে কোটি টাকা মূল্যের সরকারি জমি দখল নিয়ে এবার সরাসরি মুখ্যমন্ত্রীর কাছে অভিযোগ জমা পড়েছে। অভিযোগ, বেআইনিভাবে প্রাচীর ও গেট তৈরি এবং মাটি ভরাট করে জমি দখল হচ্ছে। দখল হওয়া জমির…

 




 হলদিয়ায় জাতীয় সড়কের পাশে বিজেপি পরিচালিত গ্রাম পঞ্চায়েতে কোটি টাকা মূল্যের সরকারি জমি দখল নিয়ে এবার সরাসরি মুখ্যমন্ত্রীর কাছে অভিযোগ জমা পড়েছে। অভিযোগ, বেআইনিভাবে প্রাচীর ও গেট তৈরি এবং মাটি ভরাট করে জমি দখল হচ্ছে। দখল হওয়া জমির পরিমাণ প্রায় এক একর। হলদিয়া ব্লকের কাস্টখালি মৌজায় জাতীয় সড়কের পাশেই রয়েছে ওই গুরুত্বপূর্ণ জমি। ওই জমিটি এক নম্বর খতিয়ানের অন্তর্ভুক্ত খাস জমি। হলদিয়া ব্লকের বাড়উত্তরহিংলি গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় ওই জমি এক ঠিকাদার দখল করে প্রাচীর তুলেছে বলে স্থানীয়দের অভিযোগ। ওই পঞ্চায়েত পরিচালনা করে বিজেপি। তাছাড়া যে বুথে জমি দখল হচ্ছে সেটি বিজেপির দখলে রয়েছে। স্থানীয়দের অভিযোগ, প্রশাসনের চোখের সামনে দীর্ঘদিন ধরে একটু একটু করে ওই জমি দখল হচ্ছে। ওই এলাকায় একটি সরকারি প্রকল্প করার জন্য মাপজোকও হয়েছে। সেখানে আধিকারিকরা উপস্থিত ছিলেন। স্থানীয়রা বলেন, ব্লক ভূমি দপ্তর, ব্লক প্রশাসন দখল হওয়ার বিষয়টি জানার পরও মুখে কুলুপ এঁটে রয়েছেন। দখল হওয়ার বিষয়টি নিয়ে ব্লক ও পঞ্চায়েত প্রশাসন উভয়েই উদাসীন। জেলাশাসকের কাছেও এনিয়ে অভিযোগ হয়েছে। শেষমেস মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে সরাসরি সরকারি জমি দখল নিয়ে অভিযোগ করা হয়েছে। গ্রাম পঞ্চায়েত সূত্রে জানা গিয়েছে, দখল হওয়া জমির আনুমানিক মূল্য কয়েক কোটি টাকা। 

মুখ্যমন্ত্রীকে অভিযোগ করা হয়েছে, 'মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী, আপনার অবগতির জন্য জানাই, পূর্ব মেদিনীপুর জেলার মহিষাদল বিধানসভার অন্তর্গত হলদিয়া উন্নয়ন ব্লকের অধীন( বিএলএলআরও, সুতাহাটা টু) ৪১ নম্বর জাতীয় সড়কের দক্ষিণ দিকে বহু সরকারি জমি বেআইনিভাবে দখল করে কনস্ট্রাকশন করে বাউন্ডারি ওয়াল তুলে দেওয়া হচ্ছে। কাষ্ঠখালি মৌজায় জেএল নম্বর ৫১-তে ১২৩২ ও ১২৩৩ দাগে ওই জমি রয়েছে। অবিলম্বে ওই বেআইনি দখলদার এবং কনস্ট্রাকশন ভেঙে না দিলে এই প্রবণতা বাড়তে থাকবে। উল্লেখিত ওই এলাকায় প্রচুর খাস জমি আছে ওই জমি অবিলম্বে চিহ্নিতকরণ ও বেআইনি দখলদার হটিয়ে দেওয়া প্রয়োজন। অবিলম্বে এর বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় প্রশাসনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করে সরকারি জমি দখলদার বন্ধ করতে হবে।' হলদিয়া ব্লক প্রশাসন ও স্থানীয় বাড়উত্তরহিংলি গ্রাম পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষ এই দখলের কথা স্বীকার করেছে। পঞ্চায়েত সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০২৩ সালে গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার জন্য সলিড ওয়েস্ট ম্যানেজমেন্টের একটি প্রকল্প করতে গিয়েই বিষয়টি নজরে আসে প্রশাসনের। ওই সময় পঞ্চায়েত এলাকায় খাস জমির খোঁজ চলছিল। ওইবছর আগস্ট মাসে প্রকল্পের জন্য ১২৩২ দাগ নম্বরে কয়েক ডেসিমল জমি প্রকল্পের জন্য চিহ্নিত হয়। একইসঙ্গে টেন্ডারও ডাকা হয়েছিল। পরে জমি সংক্রান্ত বাধার কারণে প্রকল্প থমকে যায়।

জানা গিয়েছে, ওই এলাকায় ১২৩২ ও ১২৩৩ দাগ নম্বরে ১১৩ ডেসিমল বা এক একরের বেশি জমি রয়েছে। অভিযোগ, হলদিয়ার এক ঠিকাদার প্রায় ৭০ ডেসিমল জমি দখল করে প্রাচীর তুলছে। হলদিয়া ব্লকের ভূমি আধিকারিক তমালি দাস বলেন, আমি ছুটিতে রয়েছি। এবিষয়ে খোঁজ নিয়ে দেখব। বাড়উত্তরহিংলি গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান সঙ্গীতা মেহেতা দাস বলেন, 

ওই জমি নিয়ে রাজনীতি ঠিক নয়। বিষয়টি পঞ্চায়েতের নজরে রয়েছে। পঞ্চায়েত চায় ওই এলাকায় দখলদার হটিয়ে প্রকল্প গড়ে উঠুক। হলদিয়া ব্লকের বিরোধী দলনেতা ও বিজেপি নেতা চন্দন সামন্ত বলেন, ওই খাস জমির বিষয়টি প্রথম বিডিওর নজরে এনেছিলাম প্রকল্পের বিষয়ে। জমি দখলের বিষয়টিও ভূমি দপ্তরকে একাধিকবার জানিয়েও কোনও লাভ হয়নি। হলদিয়ার বিডিও সৌরভ মাজি বলেন, ওই এলাকায় জমি দখলের বিষয়টি নজরে এসেছে। এব্যাপারে ব্লক ভূমি আধিকারিককে সাম্প্রতিক স্ট্যাটাস জানানোর কথা বলেছি।

No comments