সমীক্ষায় আবাসের আওতায় ১ লাখ ৯০ হাজার পরিবারপূর্ব মেদিনীপুর জেলাজুড়েআবাস যোজনার সমীক্ষায় বিশেষ জোর দেওয়া হয়েছে। জেলার হলদিয়া, তমলুক, কাঁথি এবং এগরা মহকুমা এলাকার ২৫টি ব্লকের ২২৩টি গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় ১ লাখ ৯০ হাজার পরিবারকে এই প…
সমীক্ষায় আবাসের আওতায় ১ লাখ ৯০ হাজার পরিবার
পূর্ব মেদিনীপুর জেলাজুড়েআবাস যোজনার সমীক্ষায় বিশেষ জোর দেওয়া হয়েছে। জেলার হলদিয়া, তমলুক, কাঁথি এবং এগরা মহকুমা এলাকার ২৫টি ব্লকের ২২৩টি গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় ১ লাখ ৯০ হাজার পরিবারকে এই প্রকল্পের আওতায় নিয়ে আসা হচ্ছে। ইতিমধ্যে জেলাজুড়ে সমীক্ষার কাজ ৯৭ শতাংশের বেশি এগিয়েছে বলে খবর। আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে বাকি কাজ সম্পূর্ণ করার টার্গেট নিয়েছে পূর্ব মেদিনীপুর জেলা প্রশাসন। ২০২২ সালে পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনায় ৫৪,৬০০ জনের নাম নথিভুক্ত হয়েছিল। তারপরও বাংলা আবাস যোজনায় কয়েক হাজার নাম নথিভুক্ত হয়েছে। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর কাছে এই জেলা থেকে সরাসরি আবেদন করেছেন ১৮ হাজার মানুষ। প্রাকৃতিক দুর্যোগ রেমালে বাড়ি বিধ্বস্ত হয়ে পড়েছিল তেমন ২২টি পরিবার কলকাতা হাই কোর্টের রায়ের ভিত্তিতে এই প্রকল্পের সুবিধা পাবেন। সরকারি নিয়ম অনুযায়ী পাবেন না,যাঁদের মোটরচালিত তিন কিংবা চার চাকার গাড়ি রয়েছে। তিন কিংবা চার চাকার যন্ত্র চালিত কৃষি সরঞ্জাম রয়েছে। পঞ্চাশ হাজার টাকার বেশি মূল্যের কিষান ক্রেডিট কার্ড থাকলে এই আবাস যোজনার সুবিধা পাবেন না। কোনও পরিবারে সরকারি কর্মী কিংবা আধিকারিক থাকলে, পরিবারের কোনও সদস্য প্রতিমাসে ১৫,০০০ টাকা উপার্জনশীল হলে, ইনকাম ট্যাক্স দেন, কিংবা প্রফেশনাল ট্যাক্স দিয়ে থাকেন তেমন ব্যক্তি পাবেন না। যাঁদের আড়াই একর সেচ জমি রয়েছে, তেমন ব্যক্তি কিংবা পরিবার এই প্রকল্পের বাইরে থাকবেন। এমন দশটি শর্তের কোনও একটি 'ম্যাচ' করলে এই প্রকল্পের সুবিধা পাওয়া যাবে না বলে স্পষ্টভাবে জানানো হয়েছে। সেই নিয়মে জেলাভিত্তিক সমীক্ষায় ইতিমধ্যে ২৪ শতাংশ আবেদনকারীর নাম বাদ পড়েছে। আর প্রকল্পের সুবিধা পাবেন জেলার ১ লাখ ৯০ হাজার মানুষ। সরকারের দেওয়া ১ লাখ ২০ হাজার টাকায় ২৫০ বর্গফুটেরবাড়ি তাঁরা বানাতে পারবেন। এই টাকার মধ্যে নিরাপদ আশ্রয় হিসাবে ছোট দুটো কুঠুরি, একটি শৌচাগার এবং রান্নাঘর বানানোর কাজ করা যেতে পারে বলেপ্রশাসনিক মহলের ধারণা। সেখানে বাড়ি বানানোর জন্য প্রয়োজনে কেউ তাঁর নিজের গাঁটের পয়সা খরচ করতে পারেন। সরকার নির্ধারিত মূল্য কিন্তু নির্দিষ্টই থাকছে নথিভুক্ত ব্যক্তিদের জন্য। পূর্ব মেদিনীপুর জেলা পরিষদের সভাধিপতি উত্তম বারিক জানিয়েছেন, "রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী নির্দেশে আমরা আবাস যোজনার প্রকল্পে সমীক্ষার কাজ প্রায় শেষ করে ফেলেছি। অল্প কিছু বাকি আছে, খুব শীঘ্রই সেটা সম্পূর্ণ হয়ে যাবে। ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে প্রত্যেক বেনিফিশিয়ারির অ্যাকাউন্টে টাকা ঢুকবে।" রাজ্যে নথিভুক্ত প্রায় ১৩ লাখ মানুষ এই প্রকল্পের সুবিধা পেতে চলেছেন। পূর্ব মেদিনীপুরে ১ লাখ ৯০ হাজার জন। দুর্যোগপ্রবণ উপকূল জেলা হওয়ার কারণে এই জেলায় প্রাপকের সংখ্যা বেড়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। এখন কবে আবাস যোজনার টাকা আসবে, সেই অপেক্ষায় রয়েছেন সরকারি তালিকাভুক্ত ব্যক্তিরা।
No comments