আদালতের নির্দেশ মেনে আগামী ২০ নভেম্বরের মধ্যে মোট ১৪৪টি নির্মাণ ভেঙে ফেলতে উদ্যোগী জেলা প্রশাসন জাতীয় পরিবেশ আদালতের নির্দেশ মেনে আগামী ২০ নভেম্বরের মধ্যে মোট ১৪৪টি নির্মাণ ভেঙে ফেলতে উদ্যোগী জেলা প্রশাসন। যার ফলে মাথায় হাত হো…
আদালতের নির্দেশ মেনে আগামী ২০ নভেম্বরের মধ্যে মোট ১৪৪টি নির্মাণ ভেঙে ফেলতে উদ্যোগী জেলা প্রশাসন
জাতীয় পরিবেশ আদালতের নির্দেশ মেনে আগামী ২০ নভেম্বরের মধ্যে মোট ১৪৪টি নির্মাণ ভেঙে ফেলতে উদ্যোগী জেলা প্রশাসন। যার ফলে মাথায় হাত হোটেল-লজ মালিকদের। তবে মাঝে মাত্র আর দু’টি দিন। তার মধ্যে হোটেল-লজ ভাঙার নির্দেশ আদৌ কার্যকর হবে কিনা, তা নিয়ে সংশয় রয়েছে। প্রশাসনিক কর্তারাও এই ব্যাপারে মুখে কুলুপ এঁটেছেন। যদিও এই নির্দেশের বিরুদ্ধে আদালতে যাওয়ার কথা জানিয়েছেন হোটেল-লজ মালিকরা।
সপ্তাহখানেক আগে পরিবেশ আদালতের নির্দেশ মেনে বেআইনি হোটেল-লজগুলি ভেঙে ফেলার জন্য সিআরজেড (কোস্টাল রেগুলেশন জোন) কর্তৃপক্ষ উদ্যোগী হয়। তারা জেলা প্রশাসনকে নির্দেশ কার্যকর করার কথা বলে। যদিও ২০২২ সালের ২ মে জাতীয় পরিবেশ আদালত এই নির্দেশ জারি করেছিল। কারণ উপকূলবিধি না মেনেই হোটেলগুলি গড়ে উঠেছিল বলে অভিযোগ। তবে জেলা প্রশাসন দু’ বছর সেই নির্দেশ কার্যকর করেনি। আচমকা ২০ তারিখের মধ্যে হোটেল-লজ ভেঙে ফেলার নির্দেশ জারি করায় হোটেল মালিক ও ব্যবসায়ীদের মধ্যে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। জেলাশাসক পূর্ণেন্দু মাজী জানিয়েছেন, সব বেআইনি নির্মাণ ভেঙে ফেলতে বলা হয়েছে। না হলে প্রশাসন ব্যবস্থা নেবে। আরও জানা গিয়েছে, ১৪৪টির মধ্যে শুধু দাদনপাত্রবাড়েই রয়েছে ৫০টি হোটেল। সোনামুইয়ে ৩৬টি। সিলামপুরে ২৭টি, মন্দারমণিতে ৩০টি এবং দক্ষিণ পুরুষোত্তমপুরে একটি লজ রয়েছে। এগুলিই ভাঙার কথা। উল্লেখ্য, ডিসেম্বর মাস থেকে মন্দারমণিতে পর্যটকের ভিড় বাড়তে থাকে। আর নভেম্বর মাস থেকেই তার প্রস্তুতি শুরু করে দেয় হোটেল-লজগুলি। সেই নভেম্বরেই হোটেল-লজ ভাঙার নির্দেশ জারি হওয়ায় চিন্তার ভাঁজ পড়ে গিয়েছে হোটেল মালিক ও ব্যবসায়ীদের কপালে।
মন্দারমণি হোটেলিয়ার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মীর মমরেজ আলি বলেন, এই নির্দেশের প্রেক্ষিতে আমরা কোর্টে একটি রিট পিটিশন জমা দিয়েছি। তবে যেহেতু বিষয়টি আদালতের অধীনে, তাই এ ব্যাপারে বেশি কিছু বলব না। তাঁর কথায়, সামনেই পর্যটনের ভরা মরশুম আসছে। মন্দারমণির হোটেল-লজগুলির সঙ্গে হাজার হাজার মানুষের জীবন-জীবিকা জড়িত। এই পরিস্থিতিতে প্রশাসনের এই নির্দেশ দুর্ভাগ্যজনক। আমরা আশা করছি, প্রশাসন আমাদের আবেদন সহানুভূতির সঙ্গে বিবেচনা করবে।
No comments