টানা চার দিন লন্ডভন্ড করার পর অবশেষে ধরা পড়লো হনুমান!
টানা ৪ দিন দৌরাত্মের পর অবশেষে ধরা পড়ল হনুমান । মহিষাদলের কাঞ্চনপুর জালপাই গ্রাম থেকে বন দপ্তরের কর্মীরা অনেক চেষ্টা করে হনুমানটিকে খাঁচা বন্দি করেছেন । স্বস্তি ফিরে পেলেন স্…
টানা চার দিন লন্ডভন্ড করার পর অবশেষে ধরা পড়লো হনুমান!
টানা ৪ দিন দৌরাত্মের পর অবশেষে ধরা পড়ল হনুমান । মহিষাদলের কাঞ্চনপুর জালপাই গ্রাম থেকে বন দপ্তরের কর্মীরা অনেক চেষ্টা করে হনুমানটিকে খাঁচা বন্দি করেছেন । স্বস্তি ফিরে পেলেন স্থানীয় কাপাসএড়্যা,কাকুড়দা, বামুনিয়া সহ পাশাপাশি এলাকার লোকজন ।
শুক্র বার থেকে ছয়টি হনুমানের দল কখনো কারো বাড়িতে ঢুকে বিস্কুট মুড়ি টেনে বের করে নিয়ে চম্পট দিয়েছে । এলাকার বাগানের কলা কান্দি, পেয়ারা পেঁপে সব সাবাড় করে দিয়েছে । তাদের মধ্যে একটি হনুমান রাস্তায় মানুষ দেখলেই তারা করেছে । তার কামড়ে ইতিমধ্যে এলাকার ২৪ জন জখম হয়েছেন । তাদের মধ্যে ছেলে বুড়ো মহিলা রয়েছেন । হনুমানের দৌরাত্মের খবর যায় পূর্ব মেদিনীপুর বন দপ্তরের স্থানীয় হলদিয়া রেঞ্জ অফিসে । বনদপ্তরের ৮ জন কর্মী জাল খাঁচা লাঠি সোটা নিয়ে হনুমান গ্রেপ্তারে কোমর বেঁধে মাঠে নামেন । অনেক চেষ্টা করেও দুষ্টু হনুমানটিকে নাগালে আনতে পারেননি বন কর্মীরা । শুধু তাই নয় তাকে ধরতে গিয়ে বন কর্মীদেরকেও জখম হতে হয়েছে । তবুও দুষ্টু হনুমানটিকে খাঁচা বন্দি করতে পিছপা হননি তারা । শেষমেশ আজ মহিষাদলের কাঞ্চনপুর জালপাই গ্রামের বাঁশ বনে বন কর্মীদের পাতা জালে ধরা পড়ে হনুমানটি । এ বিষয়ে পূর্ব মেদিনীপুর বনদপ্তরের হলদিয়া রেঞ্জ অফিসার অতুলপ্রসাদ দে জানিয়েছেন,"পূর্ব মেদিনীপুরের মূলত বাজকুল, তমলুক গেঁওখালি এলাকায় হনুমানের গতিবিধি দেখা যায় । মহিষাদলের কাপাসএড়্যা এলাকায় আসার পিছনে ওদের খাদ্যান্বেশনের বিষয়টি লুকিয়ে রয়েছে বলে মনে করি । তাদের মধ্যে একটি হনুমান দৌরাত্ম্য করেছে বেশি । তার কামড়ে বেশ কিছু জন জখম হয়েছেন । আজ আমরা ওই হনুমানটিকে খাঁচা বন্দি করতে পেরেছি । আর ভয়ের কোন কারণ নেই ।" হনুমানের কামড় খাওয়ার ভয় না থাকলেও যারা ইতিমধ্যে কামড় খেয়েছেন তারা জলাতঙ্ক রোগের আতঙ্কে আতঙ্কিত হয়েছেন । হনুমানের কামড়ে রেবিস ভাইরাসের সংক্রমণ ঘটে । তার থেকে হাইড্রোফোবিয়া বা জলাতঙ্ক রোগ, দৃষ্টিভ্রম, এমনকি পক্ষাঘাত হওয়ার সম্ভাবনা থেকেই যায় । তবে তার আগেই মহিষাদল ব্লক স্বাস্থ্য কর্মাধ্যক্ষ তরুণ কান্তি মন্ডল আক্রান্ত ব্যক্তিদের প্রয়োজনীয় চিকিৎসার ব্যবস্থা করেছেন । তিনি বলেন,"হনুমানের কামড়ে যারা জখম হয়েছিলেন, তাদের প্রত্যেককে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে গিয়ে ভ্যাকসিন দেওয়া হয়েছে । ভয় পাওয়ার কিছু নেই । সবাই সুস্থ আছেন ।" হনুমান খাঁচাবন্দি হওয়ার ফলে আপাতত স্বস্তিতে এলাকার মানুষজন ।
No comments