Page Nav

HIDE

Grid Style

GRID_STYLE

Post/Page

Weather Location

Breaking News:

latest

তৃণমূলের জাতীয় কর্ম সমিতির বৈঠকে সর্বাধিক গুরুক্ব পেয়েছে দলীয় শৃঙ্খলার প্রসঙ্গ

তৃণমূলের জাতীয় কর্ম সমিতির বৈঠকে সর্বাধিক গুরুক্ব পেয়েছে দলীয় শৃঙ্খলার প্রসঙ্গ
ছয় বিধানসভা আসনের উপ নির্বাচনে সাফল্যের সূত্র ধরে এবার কড়া হাতে সংগঠন সামলাতে চলেছেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যেপাধ্যায়। যে বা যাঁরা দল বিরোধী কাজ ক…

 

তৃণমূলের জাতীয় কর্ম সমিতির বৈঠকে সর্বাধিক গুরুক্ব পেয়েছে দলীয় শৃঙ্খলার প্রসঙ্গ


ছয় বিধানসভা আসনের উপ নির্বাচনে সাফল্যের সূত্র ধরে এবার কড়া হাতে সংগঠন সামলাতে চলেছেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যেপাধ্যায়। যে বা যাঁরা দল বিরোধী কাজ করবেন, তাঁদের ক্ষেত্রে কড়া শাস্তি নিতে তৃণমূল পিছপা হবে না, সেটাই স্পষ্ট ভাষায় জানিয়ে দিয়েছেন তিনি। দলীয় শৃঙ্খলার প্রশ্নে কোনওভাবেই আপস নয়, সেটা উল্লেখ করেছেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ও। এই আঙ্গিকে তিনটি স্তরে দলের শৃঙ্খলারক্ষা কমিটি গড়ে দিয়েছেন মমতা। ঘোষণা করা হয়েছে একগুচ্ছ কর্মসূচির।

 কালীঘাটে তৃণমূলের জাতীয় কর্ম সমিতির বৈঠকে সর্বাধিক গুরুক্ব পেয়েছে দলীয় শৃঙ্খলার প্রসঙ্গ। আর জি কর ঘটনার সময় থেকে সাম্প্রতিককালে দেখা গিয়েছে, তৃণমূলের একাধিক জনপ্রতিনিধি ও দলীয় পদাধিকারী এমন কিছু মন্তব্য করেছেন, যাতে দলকে প্রবল অস্বস্তিতে পড়তে হচ্ছে। এমনকী রাজ্য সরকারের কাজ নিয়েও প্রশ্ন তুলে দিচ্ছেন। এই অবস্থায় তৃণমূল নেত্রীর স্পষ্ট বার্তা, দল বিরোধী কাজ, বেফাঁস মন্তব্য করে দলকে অস্বস্তিতে ফেলা, একজন অন্যজনের বিরুদ্ধে মন্তব্য কোনওভাবেই করা যাবে না। শৃঙ্খলা ভাঙলে কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বৈঠকে উল্লেখ করেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। শৃঙ্খলা ভাঙলে কী শাস্তি নেওয়া হবে, সেটা জানিয়েদেন মমতা। পরে তা সাংবাদিক বৈঠকে ঘোষণা করেন মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। বলা হয়েছে, দল বিরোধী কাজ করলে শোকজ করা হবে। তিনটি শোকজের উপযুক্ত জবাব না মিললে, করা হবে সাসপেন্ড। শৃঙ্খলার পরিসরে জোর দিয়ে তিনটি স্তরে কমিটি গঠন করা হয়েছে। সংসদের ক্ষেত্রে রয়েছেন সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়, ডেরেক ও’ব্রায়েন, কাকলি ঘোষদস্তিদার, কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় ও নাদিমুল হক। দলের বিষয়ে শৃঙ্খলা রক্ষা কমিটির সদস্য সুব্রত বক্সি, ফিরহাদ হাকিম, অরূপ বিশ্বাস, সুজিত বসু ও চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। আর বিধানসভার ক্ষেত্রে শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়, নির্মল ঘোষ, দেবাশিস কুমার, অরূপ বিশ্বাস, ফিরহাদ হাকিম ও চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। 

দলীয় সূত্রে খবর, একাধিক বিধায়কের কাজকর্মে ক্ষুব্ধ তৃণমূল নেত্রী। বিধায়করা বিধানসভায় এসে সই করে চলে যাচ্ছেন, এমন খবর তাঁর কাছে এসেছে। দলের বৈঠকে মমতা বলেছেন, যখন প্রার্থী করা হবে, তখন বিধায়কদের রেকর্ড দেখে নেওয়া হবে। সূত্রের খবর, কয়েক দিনের মধ্যে দলের বিধায়কদের নিয়ে মমতা বৈঠক করতে পারেন। বেশ কিছু কর্মসূচি নিয়েছে তৃণমূল। কেন্দ্রের ওয়াকফ বিলের বিরোধিতায় শনিবার ধর্মতলার রাণী রাসমণি অ্যাভিনিউতে সভা করবে তৃণমূলের সংখ্যালঘু সেল। ওই দিন ধর্ষণ বিরোধী ‘অপরাজিতা বিল’কে আইনে বলবৎ করার দাবিতে ব্লকে ব্লকে ২-৪টা মিছিল করবে তৃণমূল মহিলা কংগ্রেস। পরদিন একই দাবিতে ধর্না ও সভা হবে। আর ১০ ডিসেম্বরের পর রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সাক্ষাৎ করবে তৃণমূলের মহিলা ব্রিগেড। জাতীয় কর্ম  সমিতিতে স্থান পেয়েছেন বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়, মালা রায়, মানস ভুঁইয়া, কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়, জাভেদ খান। দিল্লিতে দলের হয়ে বিভিন্ন বিষয়ে বলবেন অভিষেক, ডেরেক ও’ব্রায়েন, কাকলি ঘোষদস্তিদার, কীর্তি আজাদ, সুস্মিতা দেব, সাগরিকা ঘোষ। আর মুখপাত্রদের কো-অর্ডিনেটর অরূপ বিশ্বাস।

No comments