শীতের শুরুতেও মরণকামড় দিতে ছাড়ছে না ডেঙ্গু। নবান্ন ও হাসপাতাল সূত্রের খবর, জটিল ধরনের ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে রবিবার রাতে মারা গেলেন নবান্নের এক কর্মী। কিশোরকুমার সর্দার (৫৭) নামে ওই ব্যক্তি ছিলেন মহেশতলা এলাকার বাসিন্দা এবং রাজ্য…
শীতের শুরুতেও মরণকামড় দিতে ছাড়ছে না ডেঙ্গু। নবান্ন ও হাসপাতাল সূত্রের খবর, জটিল ধরনের ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে রবিবার রাতে মারা গেলেন নবান্নের এক কর্মী। কিশোরকুমার সর্দার (৫৭) নামে ওই ব্যক্তি ছিলেন মহেশতলা এলাকার বাসিন্দা এবং রাজ্য বিপর্যয় মোকাবিলা দপ্তরের ইউডিএ। শুক্রবার দক্ষিণ কলকাতার এক বেসরকারি হাসপাতালে তাঁকে ভর্তি করা হয়। অবস্থার অবনতি হতেই তাঁকে রাখা হয় আইসিইউতে। সেখানেই রাতে তিনি মারা যান। তাঁর মৃত্যুতে পরিচিত সকলেই শোকাহত। হাসপাতাল সূত্রের খবর, কিশোরবাবুর অবস্থা ছিল অত্যন্ত আশঙ্কাজনক। তা সত্ত্বেও যাবতীয় চেষ্টা করা হয়েছে। তিনি ডেঙ্গু শক সিনড্রোমে মারা গিয়েছেন। এদিকে, ২০ নভেম্বর পর্যন্ত পাওয়া হিসেব অনুযায়ী, রাজ্যে ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা ২১ হাজার ছাড়িয়েছে। আক্রান্তের সংখ্যায় শীর্ষে মুর্শিদাবাদ। দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থানে যথাক্রমে মালদহ ও উত্তর ২৪ পরগনা। গত এক-দেড় মাসের মধ্যে হঠাৎ করেই এই মশাবাহিত রোগের দাপট বেড়েছে।
সোমবার সন্ধ্যায় কিশোরবাবুর এক নিকটাত্মীয়া বলেন, কিছুদিন আগে তিনি সপরিবার বেড়াতে গিয়েছিলেন। গত সোমবার হঠাৎ সামান্য জ্বর আসে তাঁর। ডাক্তার দেখিয়ে ওষুধও খাচ্ছিলেন তিনি। তাতেও শারীরিক অবস্থার অবনতি হয় তাঁর। শুক্রবার বেহালার একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে গিয়ে বেড মেলেনি। তাই আলিপুরের একটি বড় বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় তাঁকে। রবিবার রাতে সেখানেই তিনি মারা যান।
No comments