২ কোটি খরচে রিসর্ট, মুখ্যমন্ত্রীর হাত ধরে উদ্বোধনের অপেক্ষানতুন বছরে গেঁওখালিতে এইচডিএর হাত ধরে পর্যটকদের জন্য নতুন উপহার 'ত্রিস্রোতা'হলদিয়া গেঁওখালির মুকুটে নয়া পালক। এবার পর্যটকদের চাহিদা মেটাতেই মহিষাদলের গেঁওখালি ত্রি…
২ কোটি খরচে রিসর্ট, মুখ্যমন্ত্রীর হাত ধরে উদ্বোধনের অপেক্ষা
নতুন বছরে গেঁওখালিতে এইচডিএর হাত ধরে পর্যটকদের জন্য নতুন উপহার 'ত্রিস্রোতা'
হলদিয়া গেঁওখালির মুকুটে নয়া পালক। এবার পর্যটকদের চাহিদা মেটাতেই মহিষাদলের গেঁওখালি ত্রিবেণী সঙ্গমে নতুন করে তৈরি হল রিসর্ট 'ত্রিস্রোতা'। - হলদিয়ায় ডেভেলপমেন্ট অথরিটির উদ্যোগে নির্মিত নতুন রিসর্ট পর্যটকদের আকর্ষণের কেন্দ্র বিন্দু হয়ে পাঁড়িয়েছে। এখন শুধু উদ্বোধনের অপেক্ষায়। প্রশাসনিক সূত্রে জানা গিয়েছে, ডিসেম্বরের প্রথমার্ধে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী দীঘাতে আসবেন। সেই সময় মুখ্যমন্ত্রীর হাত ধরে 'ত্রিস্রোতা'র উদ্বোধন ঘটবে। যা ২০২৫ নতুন বছরের শুরুতে পর্যটকদের জন্য ঘুরে বেড়ানোর নতুন 'ডেস্টিনেশন' বলতেই হয়।এখন শীতের মরশুম। আর শীত মানেই ভ্রমণ পিপাসুদের চড়ুইভাতি, জামিয়ে আড্ডা, ঘুরে বেড়ানোর সময়। হাতে অঙ্ক ছুটি পেলেই ভ্রমণ পিপাসুদের বরাবরের ডেস্টিনেশন দীঘা কিংবা দার্জিলিং। কিন্তু যদি শ্যান্ত নদীর ফুরফুরে হাওয়া খেতে খেতে পার্কে বেড়ানো,নির্জনতায় ভাবনার একাকিত্বে ডুবে ছুটি কাটানোর ইচ্ছে হয়, তাহলে তো গেঁওখালির কথা উঠে আসবেই। এখানে গঙ্গার সাগর মোহানা মুখে অংশ হুগলির নাম নিয়ে বঙ্গোপসাগরের দিকে ধাবিত হয়েছে। তার সঙ্গেই মেদিনীপুরের পশ্চিম প্রান্ত থেকে আসা রূপনারায়ণ। যা ত্রিবেনী সঙ্গম নামে পরিচিত।
পর্যটকদের আনাগোনার ভিত্তিতে এখানেই হলদিয়া ডেভেলপমেন্ট অথরিটি 'ত্রিবেণী' নামে একটি রিসর্ট দীর্ঘ ৩০ বছর আগে থেকেই তৈরি করে রেখেছে। তাতে ৮টি রুম এবং চারটি তাঁবু (টেন্ট) রয়েছে। পর্যটকদের চাহিদা মেটাতেই এবার তারই পাশে গড়ে উঠেছে নবনির্বিত রিসর্ট 'ত্রিস্রোতা'।
গেঁওখালির মুকুটে নয়া পালক। ২ কোটি টাকা খরচে ১১ টি এসি রুম, কনফারেন্স হল রয়েছে। যেখানে রুম থেকেই সূর্যোদয়, নদীতে জাহাজের চলাচল, নৌকার আনাগোনা, এমন সমস্ত আনন্দের মজা পাওয়া সম্ভব। নদীর তীরে রিসর্টে রাত্রিযাপন, সে আরেক রোমাঞ্চ। অফিস কিংবা কোনও প্রতিষ্ঠানের মিটিং কিংবা পিকনিক করা যাবে এখানে। ২০০০ টাকা থেকে শুরু হচ্ছে সম্পূর্ণ শীততাপ নিয়ন্ত্রিত এই রুমের ভাড়া। হলদিয়া উন্নয়ন পর্ষদের ওয়েবসাইট থেকে বুক করা যাবে রুমগুলি। বাইরে রয়েছে তাঁবুতে থাকার ব্যবস্থাও। করা যাবে বন ফায়ার। নদীর মাছ কিনে নিজেরাই বানাতে পারবেন রকমারি পদ। এছাড়াও পাশের একটি ৬ একরের পুকুর, তা সংস্কার করে সাজিয়ে তোলা হয়েছে। সেখানেই বোটিং চালু হবে খুব শীঘ্রই। মাত্র কয়েক হাত দূরেই রয়েছে বিশেষ উদ্যান। দোলনা থেকে স্লিপার রয়েছে এই উদয়নে।
আগামী দিনে গেঁওয়াখালীতে পর্যটকদের নিয়ে প্যাকেজ ট্যুরে পরিকল্পনা রয়েছে হলদিয়া উন্নয়ন পর্ষদের। স্থানীয় ঐতিহ্যবাহী মহিষাদল রাজবাড়ি, তমলুক রাজবাড়ি, গেঁওখালির খ্রিস্টানপল্লি ও হলদিয়া বন্দর নিয়ে এই টুর প্যাকেজের পরিকল্পনা চলছে। এর ফলে পর্যটকদের আকর্ষণ আরও বৃদ্ধি হবে বলে মনে করছেন পর্ষদের আধিকারিকরা। ইতিমধ্যে পর্যটনকেন্দ্র গেঁওখালিতে স্ট্রিট লাইট বসিয়ে আলোকিত করা হয়েছে গোটা এলাকা। ফলে রাত পর্যন্ত নদীর অপরূপ সৌন্দর্য উপভোগ করতে পারবেন পর্যটকরা। এ বিষয়ে হলদিয়া উন্নয়ন পর্ষদের চেয়ারম্যান জ্যোতির্ময় কর জানিয়েছেন, "পর্যটকদের কথা মাথায় রেখে গেঁওখালিতে আমরা নতুন রিসট 'ত্রিস্রোতা' তৈরি করেছি। আশা করি তাঁদের ভালো লাগবে। ২০২৫ নতুন বছরের এটি উপহার বলতেই পারেন। এই নতুন উপহারে পর্যটকরা কতটা খুশি হবেন, সেটাই দেখার।
No comments