১১ ই নভেম্বর ২০২৪ সোমবার হাওড়ায় রাম গোপাল মঞ্চে বিকাল ৪.৩০ থেকে প্রয়াত প্রধান বিচার পতি মলয় সেনগুপ্তের স্মরণ সভা হয় - -
চামেলী ভট্টাচার্য -হাওড়া : প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি প্রয়াত মলয় সেনগুপ্ত মহাশয়ের স্মরণসভাসিকিম হাইকোর্টের প…
১১ ই নভেম্বর ২০২৪ সোমবার হাওড়ায় রাম গোপাল মঞ্চে বিকাল ৪.৩০ থেকে প্রয়াত প্রধান বিচার পতি মলয় সেনগুপ্তের স্মরণ সভা হয় - -
চামেলী ভট্টাচার্য -হাওড়া : প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি প্রয়াত মলয় সেনগুপ্ত মহাশয়ের স্মরণসভা
সিকিম হাইকোর্টের প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি প্রয়াত মলয় সেনগুপ্ত মহাশয়ের স্মরণসভায় যে সকল সম্মানীয় অতিথিরা উপস্থিত ছিলেন।কলকাতা হাইকোর্টের প্রাক্তন বিচারপতি ও অন্ধ্রপ্রদেশের হাইকোর্টের প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি কল্যাণ জ্যোতি সেনগুপ্ত,কলকাতা হাইকোর্টের প্রাক্তন বিচারপতি দীপক সাহারায়।কলকাতা হাইকোর্টের প্রাক্তন বিচারপতি শ্রীমতী কেসান ডোমা।পশ্চিমবঙ্গ সরকারের মাননীয় মন্ত্রী শ্রী অরূপ রায়,সর্বভারতীয় হরিজন সেবক সংঘের সভাপতি ড: শঙ্কর কুমার সান্যাল,বিশিষ্ট সঙ্গীত শিল্পী ড: দীপঙ্কর চট্টোপাধ্যায় বেলুড় শ্রমজীবী স্বাস্থ্য প্রকল্প সমিতির সভাপতি বিদ্যুৎ নন্দী, সহ সভাপতি ফণী ভূষন ভট্টাচার্য্য, হাওড়া সংস্কৃত সাহিত্য সমাজের সম্পাদক ড: দেবব্রত মুখোপাধ্যায়, অলইন্ডিয়া ওমেন্স কনফারেন্স হাওড়া শাখার সম্পাদিকা শিখা সান্যাল , কলকাতা হাইকোর্টের আইনজীবী ভূদেব ভট্টাচার্য, হাওড়া বার লাইব্রেরীর সভাপতি সমীর বসুরায়,প্রয়াত মলয় সেনগুপ্তের সুযোগ্য পুত্র ড. দেবাঞ্জন সেনগুপ্ত, পুত্রবধূ মধুমিতা সেনগুপ্ত, আইআইপি-এর সভাপতি রোটারীয়ান দিলীপ দাস রোটারিয়ান রবীন্দ্রনাথ দত্ত,হাওড়া কর্পোরেশনে প্রাক্তন সভাপতি অরবিন্দ গুহ, হরিজন সেবক সংঘ বাংলা শাখার সম্পাদক ড: নরেন্দ্র প্রসাদ সিং, হাওড়া প্রেস ক্লাবের সহ সভাপতি শৈবাল বসু,সম্পাদক সুজিত পাল যুগ্ম সম্পাদক সৌরভ সিংহ, বিশিষ্ট সমাজ সেবক রাখাল চন্দ্র দাস প্রমূখ সহ বহু বিশিষ্ট ব্যাক্তিবর্গ। প্রত্যেকেই জীবনী নিয়ে আলোচনা করলেন।
মাননীয় বিচারপতি মলয় সেনগুপ্ত মহাশয়-এর সংক্ষিপ্ত জীবনপঞ্জী 'হে চির-সুন্দর মোর, বিদায়-সন্ধ্যা মম রাঙালে এ কি রঙে উদয়-উষার সম.. ঝ'রে পড়ুক তব পায়ে আমার এই জীবন মুকুল।' কলকাতা হাইকোর্টের প্রাক্তন বিচারপতি এবং সিকিম হাইকোর্টের প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি মলয় সেনগুপ্ত মহাশয়- ১৯৩৬ সালে জন্মগ্রহণ করেন । তাঁর বড় হয়ে ওঠা পিতার কর্মস্থল জামালপুরে। তাঁর বিদ্যালয় জীবন অতিবাহিত হয় ঈশ্বরচন্দ্র ইনস্টিটিউশনে। কৃষ্ণনাথ কলেজ থেকে তিনি স্নাতক ও পরে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তিনি এলএল.বি ও এলএলএম ডিগ্রী অর্জন করেছিলেন। অল্প বয়স থেকে বিভিন্ন রকম ঐচ্ছিক বিষয়ের প্রতি তাঁর আকর্ষণ ছিল। যুবা বয়সে এশিয়া মহাদেশের গঙ্গানদীতে দীর্ঘতম ৭৮ কিলোমিটার সন্তরণ প্রতিযোগিতায় পরিচালক গোষ্ঠীর মধ্যে তিনি অন্যতম ছিলেন। আইনজীবি হিসাবে তাঁর বিভিন্ন কর্মক্ষেত্রগুলির মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ হল মেট্রো রেলের ল অফিসার, আন্দামান ও নিকোবরের ল সেক্রেটারী, দার্জিলিঙের জেলাশাসক, কিছুদিনের জন্য কলকাতা হাইকোর্টের অতিরিক্ত রেজিষ্টার। পরবর্তীকালে কলকাতার বিচারপতি পদে উন্নীত করেছিল। বিচারকের কর্মকৌশল পারদর্শিতা আবার তাঁকে সিকিম হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির হন । ১৯৯৮ সালে তিনি অবসর গ্রহণ করেন। তাঁর বহুমুখী কর্মধারা এখানেই থেমে থাকে নি, জীবনের পরবর্তী বছরগুলিতে । তিনি কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় হাজরা ক্যাম্পাসের আইন কলেজের এবং ন্যাশনাল ইউনিভারসিটি অফ জুরিডিকাল বিভাগের অধ্যাপনা করেছিলেন। পশ্চিমবঙ্গ সরকারের অনগ্রসর শ্রেণী কমিশন ও রাজনৈতিক বন্দীমুক্তি কমিশনের চেয়ারম্যান হিসাবেও দীর্ঘদিন কাজ করেছিলেন। ২০০০ সালে তাঁর বিচারপতি জীবন থেকে অবসরপ্রাপ্তির পর ১৯৩২ সালে মহাত্মা গান্ধী প্রতিষ্ঠিত হরিজন সেবক সংঘের বাংলা শাখার তদানীন্তন সম্পাদক অধ্যাপক শঙ্কর কুমার সান্যালের আমন্ত্রণে সম্মত হয়ে সংঘের সহ- সভাপতির পদ অলঙ্কৃত করেন। ২০১৩ সালে সুপ্রীম কোর্টের প্রাক্তন বিচারপতি ও সংঘের সভাপতি মুরারী মোহন দত্ত প্রয়াত হবার পর বিচারপতি সেনগুপ্ত আমৃত্যু সংঘের সভাপতির পদে ক্রিয়াকলাপের সর্বোচ্চ পদে আসীন অসুস্থতার পর ২০২৪ সালের ৫ই সেপ্টেম্বর তিনি আমাদের সকলকে ছেড়ে অমৃতলোকে পাড়ি দেন। তাঁকে হারিয়ে আমরা সততই অভিভাবকহীন হয়েছি। তাঁর আকস্মিক প্রয়াণে আমরা বাকরুদ্ধ। আমৃত্যু তিনি ছিলেন একজন সুদক্ষ বিচারক, একজন অসাধারণ ব্যক্তিত্বসম্পন্ন অনন্য চরিত্রের মানব-সন্তান ও সর্বদা হাস্যোজ্জ্বল এক পবিত্র আত্মা। আমরা গভীরভাবে শোকাহত মনে তাঁর আত্মার শান্তি প্রার্থনা করি। তাঁর অভাব কোনভাবেই পূরণ হবার না ।
No comments