Page Nav

HIDE

Grid Style

GRID_STYLE

Post/Page

Weather Location

Breaking News:

latest

রূপনারায়ণ নদের গতিপথ পরিবর্তনে মহিষাদলে নদীবাঁধে ভাঙনের এলাকা বাড়তে থাকায় উদ্বিগ্ন সেচদপ্তর

রূপনারায়ণ নদের গতিপথ পরিবর্তনে মহিষাদলে নদীবাঁধে ভাঙনের এলাকা বাড়তে থাকায় উদ্বিগ্ন সেচদপ্তর
রূপনারায়ণ নদের গতিপথ পরিবর্তনে মহিষাদলে নদীবাঁধে ভাঙনের এলাকা বাড়তে থাকায় উদ্বিগ্ন সেচদপ্তর।  সন্ধ্যায় মহিষাদলের বাড়অমৃতবেড়িয়ার জামাইপাড়া …

 



রূপনারায়ণ নদের গতিপথ পরিবর্তনে মহিষাদলে নদীবাঁধে ভাঙনের এলাকা বাড়তে থাকায় উদ্বিগ্ন সেচদপ্তর


রূপনারায়ণ নদের গতিপথ পরিবর্তনে মহিষাদলে নদীবাঁধে ভাঙনের এলাকা বাড়তে থাকায় উদ্বিগ্ন সেচদপ্তর।  সন্ধ্যায় মহিষাদলের বাড়অমৃতবেড়িয়ার জামাইপাড়া এলাকায় ভয়াবহ ভাঙনের পর উদ্বেগ দ্বিগুণ হয়েছে। শালবল্লি পুঁতে, বস্তা ফেলে তৈরি অস্থায়ী বাঁধও ধসে যাচ্ছে নদীতে। ফলে ওই এলাকায় ভাঙন নিয়ে চিন্তায় পড়েছে প্রশাসন। জামাইপাড়া থেকে ৫০০মিটার দূরে বেলাতলা এলাকায় শনিবার ভাঙন দেখা দেয়। রূপনারায়ণের গতিপথ বদলের কারণ জানতে আজ, সোমবার থেকে অত্যাধুনিক প্রযুক্তিতে সার্ভে শুরু করছে সেচদপ্ত। 

সেচদপ্তরের ইঞ্জিনিয়ারদের মতে, মহিষাদলের অমৃতবেড়িয়া পঞ্চায়েতের উল্টোদিকে রূপনারায়ণের মাঝ বরাবর চর পড়ায় বিপদ বাড়ছে নদীবাঁধে। রূপনারায়ণের গভীর নদীখাত বা চ্যানেল অমৃতবেড়িয়ার দিকে সরে এসেছে। নদীর মূল চ্যানেল একেবারে নদীবাঁধের গা ঘেঁষে বইছে। জলের প্রবল ধাক্কায় বাঁধের তলায় ক্ষয় বাড়ছে। বেলতলা, জামাইপাড়ার মতো দুর্বল এলাকাগুলিতে ধস নামছে। 

ষাঁড়াষাঁড়ি কোটালের জোয়ার-ভাটার ধাক্কায় বাড়অমৃতবেড়িয়ার জামাইপাড়া এলাকায় নদীবাঁধ ভয়াবহ ভাঙনের কবলে পড়েছে। বাঁধ ধসে গিয়ে দেড়শো মিটারের বেশি কংক্রিটের রাস্তা নদী গর্ভে তলিয়ে গিয়েছে। বাঁধের কয়েক ফুট খুবই বিপজ্জনক অবস্থায় রয়েছে। এই মুহূর্তে জোয়ার ভাটার সময়ে নদীবাঁধ রক্ষা করাই চ্যালেঞ্জ। জেনারেটর চালিয়ে সারারাত শিফ্টিং ডিউটিতে কাজ করছেন শতাধিক শ্রমিক। সেচমন্ত্রী মানস ভুঁইয়ার নজরদারিতে নদীবাঁধ রক্ষা করতে দিনরাত কাজ চলছে। ভেঙে যাওয়া বাঁধের অংশ মাঝখানে রেখে তার দু’পাশে শালবল্লি ও বাঁশের খাঁচা তৈরি করে বস্তা দিয়ে অস্থায়ী বাঁধ তৈরি করা হচ্ছে। মাটি ভরে বস্তাগুলি একসঙ্গে নাইলনের জালে বেঁধে রাখা হচ্ছে যাতে জোয়ার ভাটার স্রোতে ভেসে না যায়। কিন্তু ওই অংশে নদীখাত গভীর হওয়ায় শনিবার দিনভর যে বাঁধ তৈরি হয়েছিল, তা রবিবার ফের ধসে নদীগর্ভে চলে গিয়েছে। 

বিধায়ক তিলক চক্রবর্তী বলেন, শুক্রবার রাতে মাত্র এক ঘণ্টার নোটিসে সেচদপ্তর ও প্রশাসন দ্রুত ঝাঁপিয়ে না পড়লে ১৫-২০টি গ্রাম প্লাবিত হওয়ার আশঙ্কা ছিল। বিডিও বরুণাশিস সরকার নিজে মাইকিং করে বাসিন্দাদের ভয় কাটানোর চেষ্টা করেন।

সেচদপ্তরের এগজিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ার দেবব্রত সরকার বলেন, বাড়অমৃতবেড়িয়ার জামাইপাড়ার কাছে বাঁধ রক্ষার জন্য অন্য পরিকল্পনা করা হয়েছে। কারণ নদীখাত খাড়া হওয়ায় উপরে চাপ পড়লেই নীচের কাদা অংশে তা হড়কে যাচ্ছে। ফলে বস্তার বাঁধ টেকানো যাচ্ছে না। নদীতে ভাটা হলেই এঘটনা ঘটছে। নদীর স্রোতের সরাসরি ধাক্কা থেকে বর্তমান বাঁধ আড়াল করার ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। এরপর নদীবাঁধ তৈরি হলে তা ধসে যাওয়ার আশঙ্কা কম থাকবে। শনিবারই সেচদপ্তরের রাজ্যের চিফ ইঞ্জিনিয়ার এলাকা ঘুরে গিয়েছেন। তারপরই নদীর গতিপথ সার্ভের নির্দেশ দেন। 

ইঞ্জিনিয়াররা এদিন বলেন, নদীর গতিপথ কীভাবে পরিবর্তন হচ্ছে এবং কেন হচ্ছে, তা জানার জন্য ‘অ্যাকুইস্টিক ডপলার কারেন্ট প্রোফাইলার’ বা এডিসিপি সার্ভে করা হবে। একটি যন্ত্রের সাহায্যে নদীর গভীরে তরঙ্গ পাঠানো হবে। ওই তরঙ্গের সাহায্যে নদীর বিভিন্ন অংশের গভীরতার মানচিত্র তৈরি করে স্রোতের গতি বিশ্লেষণ করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

No comments