Page Nav

HIDE

Grid Style

GRID_STYLE

Post/Page

Weather Location

Breaking News:

latest

হলদিয়াতে নিয়োগে 'দুর্নীতি', স্থগিত প্যানেল তদন্তে জেলাশাসক

হলদিয়াতে নিয়োগে 'দুর্নীতি', স্থগিত প্যানেল তদন্তে জেলাশাসক
এক বেসরকারি সংস্থায় কর্মী নিয়োগে আর্থিক অনিয়মের অভিযোগ উঠল হলদিয়ায়। জেলা প্রশাসনের নির্দেশে বাছাই কর্মীদের প্যানেল আটকে দেওয়া হয়েছে। শাসক দলের কিছু নেতা এই নিয়োগ …

 



হলদিয়াতে নিয়োগে 'দুর্নীতি', স্থগিত প্যানেল তদন্তে জেলাশাসক


এক বেসরকারি সংস্থায় কর্মী নিয়োগে আর্থিক অনিয়মের অভিযোগ উঠল হলদিয়ায়। জেলা প্রশাসনের নির্দেশে বাছাই কর্মীদের প্যানেল আটকে দেওয়া হয়েছে। শাসক দলের কিছু নেতা এই নিয়োগ দুর্নীতিতে জড়িত বলে অভিযোগ উঠেছে। যদিও তৃণমূল তা অস্বীকার করেছে।

স্থানীয় সূত্রের খবর, ২০২২ সালে জুন মাসে রাজ্য সরকারের তরফে হলদিয়া শিল্পাঞ্চলে শ্রমিক নিয়োগের জন্য 'কর্ম সংবাদ পোর্টাল' চালু করা হয়। শিল্পাঞ্চলে সমস্ত বেসরকারি সংস্থায় ওই পোর্টালের মাধ্যমে শ্রমিক নিয়োগ করতে হবে বলে নির্দেশ দেওয়া হয়। গত ১৪ আগস্ট হলদিয়ার এক রাষ্ট্রায়াত্ব কারখানার ক্যান্টিনের জন্য কর্ম সংবাদ পোর্টালের মাধ্যমে ১৭ জন শ্রমিক নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়। তাতে বলা হয়, ১৪ জন ক্যান্টিন বয় নেওয়া হবে। তাঁদের ন্যূনতম বয়স ২১ বছর হতে হবে ও দু' বছরের কাজের অভিজ্ঞতা থাকতে হবে। ৩ জন রাঁধুনি নিয়োগের বিজ্ঞপ্তিও দেওয়া হয়।

১ সেপ্টেম্বর মৌখিক পরীক্ষা নেওয়া হয়। ৪ সেপ্টেম্বর ১৭ জন কাজে যোগ দেন। কিন্তু এই নিয়োগে অস্বচ্ছতা রয়েছে বলে জেলা প্রশাসনের কাছে অভিযোগ জমা পড়ে। তখন প্রশাসন ১৭ জনের প্যানেল আপাতত স্থগিত রাখার নির্দেশ দেয়। অভিযোগ, এই নিয়োগের ক্ষেত্রে মোটা টাকার লেনদেন করা হয়েছে। তাতে নিয়োগের ক্ষেত্রে দায়িত্বপ্রাপ্ত কারখানার শ্রমিক সংগঠনের পদাধিকারীদের একাংশ এবং শহর তৃণমূলের এক প্রভাবশালী নেতার নাম উঠে এসেছে। চাকরিপ্রার্থী এক বলেন, "ইন্টারভিউর আগে চুক্তিমতো ৫০% টাকা তৃণমূলের শ্রমিক সংগঠনের নেতাকে দিয়েছি। স্থায়ী গেট পাস তৈরি হলে বাকি ৫০ শতাংশ টাকা দিতে হবে বলে চুক্তি হয়েছিল। আমাদের যে ১৭ জনের নাম উঠেছিল প্রত্যেকেই আমরা বিভিন্ন তৃণমূলের নেতাকে টাকা দিয়ে। নাম তুলেছিলাম। প্রায় ১ মাস আগে মোটা টাকার লেনদেন হয়েছিল।"

যগিও তা অস্বীকার করে তমলুক সাংগঠনিক জেলার আইএনটিটিইউসি-র সভাপতি চন্দন দে দাবি করেন, "আমাদের সংগঠন স্বচ্ছতার সঙ্গে কোনও সমঝোতা করে না। জেলা প্রশাসনের তদন্তে দলের কোনও নেতার বিরুদ্ধে দুর্নীতির প্রমাণ পাওয়া গেলে তাঁর বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ করবে দল।" পূর্ব মেদিনীপুর জেলাশাসক পূর্ণেন্দু মাজি বলেন, "অভিযোগ এসেছে। তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।"

No comments