Page Nav

HIDE

Grid Style

GRID_STYLE

Post/Page

Weather Location

Breaking News:

latest

পুজোর আগেই দীঘাতে শুরু হতে পারে প্রমোদতরীর যাত্রা

পুজোর আগেই দীঘাতে শুরু হতে পারে প্রমোদতরীর যাত্রা সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে পুজোর আগেই দীঘার বহু প্রতীক্ষিত প্রমোদতরীর যাত্রা শুরু হতে পারে। ‘এমভি নিবেদিতা’ নামে ওই প্রমোদতরীটি চালুর জন্য প্রয়োজনীয় সমস্ত পরিকাঠামোই প্রস্তুত। দীঘা লাগ…

 






পুজোর আগেই দীঘাতে শুরু হতে পারে প্রমোদতরীর যাত্রা

 সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে পুজোর আগেই দীঘার বহু প্রতীক্ষিত প্রমোদতরীর যাত্রা শুরু হতে পারে। ‘এমভি নিবেদিতা’ নামে ওই প্রমোদতরীটি চালুর জন্য প্রয়োজনীয় সমস্ত পরিকাঠামোই প্রস্তুত। দীঘা লাগোয়া পূর্ব মুকুন্দপুরের নায়েকালী মন্দির সংলগ্ন চম্পা খালে সেটিকে নোঙর করে রাখা হয়েছে। দীঘা-শঙ্করপুর উন্নয়ন সংস্থার উদ্যোগে প্রমোদতরীতে পর্যটকদের যাওয়া-আসার সুবিধার জন্য পন্টুন জেটি ও গ্যাংওয়ে তৈরি হয়েছে। মেরিন ড্রাইভ লাগোয়া মোরামের রাস্তা থেকে জেটি পর্যন্ত লম্বা কাঠের ব্রিজ তৈরি করা হয়েছে। ব্রিজে অনেকগুলি পথবাতি লাগানো হয়েছে এবং সামনে গেট তৈরি হয়েছে। হোটেল-লজ থেকে পর্যটকদের জেটি পর্যন্ত নিয়ে আসতে অত্যাধুনিক আলোকসজ্জা ও মিউজিক সিস্টেমযুক্ত ৫২ আসনের ‘ডবল ডেকার’ বাসও এসে গিয়েছে। উন্নয়ন সংস্থা নিযুক্ত একটি ঠিকাদার সংস্থা পুরো পরিকল্পনা রূপায়ণ করেছে। পিপিপি মডেলে চলবে ক্রুজটি। তবে জানা গিয়েছে, যেহেতু অক্টোবরের শেষ পর্যন্ত সমুদ্র উত্তাল থাকে, তাই আপাতত দীঘা-শঙ্করপুরের মোহনা পর্যন্ত চলবে ক্রুজটি। তাছাড়া বর্তমানে মোহনার কাছে চরায় ড্রেজিংয়ের কাজ চলছে। জলযানটি যাতে চরায় আটকে না পড়ে, সেটাও দেখে নেওয়া হবে। তারপর শীতকালে সমুদ্রবক্ষে চলবে। মন্দির সংলগ্ন জেটি থেকেই যাত্রা শুরু করবে প্রমোদতরী। যাত্রা শেষে ফের সেখানেই ফিরে আসবে। 

উল্লেখ্য, পরিবহণ দপ্তরের এই জলযানটি হলদিয়া থেকে আনা হয়েছিল। তারপর উন্নয়ন সংস্থা টেন্ডার ডেকে প্রমোদতরীটি পরিচালনার দায়িত্ব ওই ঠিকাদার সংস্থাটির হাতে তুলে দেয়। তৈরি হয় পন্টুন জেটি ও গ্যাংওয়ে। পাশাপাশি জলযানটি কতটা সুরক্ষিত, তা খতিয়ে দেখার জন্য জেটি থেকে শঙ্করপুর বন্দর ও দীঘা মোহনা পর্যন্ত সমুদ্রে দেড় কিলোমিটার জলপথে দু’বার পরীক্ষামূলকভাবে ট্রায়ালও হয়। জেটি পর্যন্ত যাওয়ার মাটির রাস্তাটি যাতায়াতের অনুপযুক্ত ছিল। খালের পাড় ভাঙা ছিল। ধীর ধীরে রাস্তা সহ সব পরিকাঠামোই তৈরি হয়েছে।   

জানা গিয়েছে, রাতের বেলায় আলোকমালায় সেজে উঠবে প্রমোদতরী। থাকছে সাউন্ড সিস্টেম, নাচ-গান ও খানাপিনার আসর সহ সমুদ্রবিলাসের নানা ব্যবস্থা। আধুনিক সুবিধাযুক্ত এই জলযানে রেস্তরাঁর পাশাপাশি থাকবে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের ব্যবস্থা। প্রাথমিকভাবে প্রত্যেকদিন দু’টি করে সফর নির্দিষ্ট করা হয়েছে। দু’টি ডেকে সর্বাধিক ৮০ জন পর্যটক বসতে পারবেন। এলইডি স্ক্রিনে দীঘার উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ডের চলচ্ছবি তুলে ধরা হবে এবং যাত্রীরা দীঘা সহ সন্নিহিত এলাকা সম্পর্কে অনেককিছু জানতে পারবেন। 

উন্নয়ন সংস্থার এক কর্তা বলেন, মাথাপিছু কত ভাড়া হবে, তা এখনও চূড়ান্ত হয়নি। চালু হলে তা স্থির করা হবে। তবে প্রমোদতরীতে ভ্রমণের জন্য স্পট ও অনলাইন, দু’ধরনের বুকিংয়ের ব্যবস্থা থাকবে। প্রয়োজনে ছোটখাট অনুষ্ঠান, পার্টি প্রভৃতির জন্যও ভাড়া করা যাবে প্রমোদতরী। ঠিকাদার সংস্থার কর্তা প্রদীপ দাস বলেন, প্রমোদতরী চালানোর যাবতীয় পরিকাঠামোই তৈরি। প্রশাসন সবুজ সঙ্কেত দিলেই আমরা চালু করে দেব। উন্নয়ন সংস্থার মুখ্য কার্যনির্বাহী আধিকারিক তথা কাঁথির মহকুমা শাসক সৌভিক ভট্টাচার্য বলেন, পুজোর আগেই প্রমোদতরীটি চালু করার পরিকল্পনা রয়েছে। আমরা পরিবহণ দপ্তরের কাছে ফিটনেস সার্টিফিকেটের জন্য  আবেদন করেছি। আশা করছি, যথাসময়েই সমস্ত কাজ মিটে যাবে।

No comments