বন্দর স্বয়ংক্রিয় করতে বড় বিনিয়োগ করছে রিপ্লে ও বোথরার যৌথ সংস্থা
হলদিয়া বন্দরের বার্থ আধুনিকীকরণের দায়িত্ব গেল রিপ্লে এন্ড কোম্পানি এবং বোথরা শিপিং সার্ভিসের কনসর্টিয়াম। ওই দুই সংস্থার কনসর্টিয়ামকে 'লেটার অব ইনটেন্ট' ইস্…
বন্দর স্বয়ংক্রিয় করতে বড় বিনিয়োগ করছে রিপ্লে ও বোথরার যৌথ সংস্থা
হলদিয়া বন্দরের বার্থ আধুনিকীকরণের দায়িত্ব গেল রিপ্লে এন্ড কোম্পানি এবং বোথরা শিপিং সার্ভিসের কনসর্টিয়াম। ওই দুই সংস্থার কনসর্টিয়ামকে 'লেটার অব ইনটেন্ট' ইস্যু করেছে কলকাতা-হলদিয়া বন্দর কর্তৃপক্ষ ( ডঃ শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায় পোর্ট)। অর্থাৎ বন্দর এলাকায় তাদের প্রকল্প শুরু করার ছাড়পত্র দিয়ে 'ইচ্ছাপত্র' হস্তান্তর করেছে। সম্প্রতি বন্দরের ট্রাস্টি বোর্ডের মিটিংয়ে টেন্ডারে বাচ্ছাই প্রক্রিয়ার উপর চূড়ান্ত সীলমোহর দেওয়া হয়। এরআগে গত জুলাই মাসে ৫ নম্বর বার্থ মেকানাইজেশনের 'রেসপন্ড ফর প্রোপোজাল' বা আরগুশি টেন্ডারের ফাইনাল বিল খোলা হয়। ওই সময়ে টেন্ডারে প্রথম হওয়ার জন্য রিপ্লে-বোখারা কনসর্টিয়াম বা যৌথ সংস্থাকে দায়িত্ব দেওয়ার কথা বন্দর সূত্রে জানা গিয়েছিল। জানা গিয়েছে, ওই সংস্থা সবচেয়ে বেশি রাজস্ব দিতে পারবে এই শর্তেই তাদের আধুনিকীকরণের জন্য বেছে নিয়েছে বন্দর কর্তৃপক্ষ। হলদিয়া বন্দর কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, বন্দরের ডকে ফোর-বি বার্থ বর্তমানে নাম পরিবর্তন করে ও ৫নম্বর বার্থ হয়েছে। এটি সেমি মেকানাইজড ছিল, এখন আধুনিকীকরণ করে সম্পূর্ণ স্বয়ংক্রিয় করা হবে।
এদিন প্রেসবিজ্ঞপ্তি দিয়ে বন্দর কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ওই বার্থে এখন পণ্য পরিবহন ক্ষমতা অর্থাৎ জাহাজে পণ্য ওঠানামা হয় বছরে ৪ মিলিয়ন টন বা ৪০ লক্ষ টন। কমলা ও লৌহ আকরিকের মতো ড্রাই বার্থ কার্গো ওই বার্থে হ্যান্ডেলিং হয়। আধুনিকীকরণ হলে আরও এক মিলিয়ন টন ক্ষমতা বেড়ে ৫ মিলিয়ন টন হবে। আধুনিকীকরণের সময় বসানো হচ্ছে প্রতি ঘণ্টায় এক হাজার টন পণ্য ওঠাতে নামাতে পারে এমন ক্ষমতাসম্পন্ন রেল মাউন্টেড মোবাইল হারবার ক্রেন। প্রতি ঘণ্টায় ২ হাজার টন ক্ষমতা সম্পন্ন কনভেয়ার সিস্টেম, স্ট্যাকার কাম রিক্লেইমার ও সাইদো সিস্টেম। এই সিসেস্টম তৈরি হলে কার্যত জাহাজে পণ্য ওঠানামা পদ্ধতির খোলনলচে বদলে যাবে হলদিয়া বন্দরে। শেষ হতে চলছে ডাম্পার, পেলোডারের দিন। এবার জাহাজ থেকে পণ্য সরাসরি কনভেয়ার বেল্ট ও অটোমেটিক সাইলোর মাধ্যমে
রেলের ওয়াগনে বোঝাই হবে। বন্দর কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ডিজাইন, বিল্ট, ফিনান্স, অপারেট এন্ড ট্রান্সফার (ডিবিএফওটি) ভিত্তিতে ওই বেসরকারি সংস্থাটি বিনিয়োগ করবে। আধুনিকীকরণ প্রকল্পে ৩৬৯ কোটি টাকা হলদিয়ায় নয়া বিনিয়োগ হতে চলেছে। ৩০ মাসের মধ্যে প্রকল্পের কাজ শেষ হবে। জানা গিয়েছে, টেন্ডারে ৩৬৮ কোটি টাকা বিনিয়োগের কথা বলা হলেও কনসর্টিয়াম ৬০০ কোটি টাকা বিনিয়োগে আগ্রহী। বন্দরের চেয়ারম্যান রখেন্দ্র রমন বলেন, গত অর্থবর্ষে বন্দরে রেকর্ড প্রায় ৫০ মিলিয়ন টন পণ্য ওঠানামা হয়েছে। আধুনিকীকরণে হলদিয়ার দক্ষতা আরও বাড়বে যা বন্দরকে দীর্ঘমেয়াদি সুবিধে দেবে। স্বয়ংক্রিয় পদ্ধতিতে পণ্য পরিবহণ বাড়ার সঙ্গে দ্রুত পরিষেবা মিলবে। বিদেশি জাহাজকে বেশিক্ষণ আটকে থাকতে হবে না। বন্দরের পণ্য পরিবন্ত্রণ খমতা বাড়িয়ে বৈদেশিক বাণিজ্যে আরও গুরুত্ব দিচ্ছি।
No comments