৮৫ লক্ষ টাকা লেনদেন!আইওসি রিফাইনারি ক্যান্টিনে নিয়োগ ঘিরে চাঞ্চল্যহলদিয়ার আইওসি রিফাইনারি ক্যান্টিনে নিয়োগে অনিয়মের অভিযোগে চাঞ্চল্য। সপ্তাহখানেক আগে কর্মসংস্থান পোর্টালের মাধ্যমে ইন্টারভিউ করে ১৭ জনকে ক্যান্টিনে নিয়োগ করা হয়। এর…
৮৫ লক্ষ টাকা লেনদেন!আইওসি রিফাইনারি ক্যান্টিনে নিয়োগ ঘিরে চাঞ্চল্য
হলদিয়ার আইওসি রিফাইনারি ক্যান্টিনে নিয়োগে অনিয়মের অভিযোগে চাঞ্চল্য। সপ্তাহখানেক আগে কর্মসংস্থান পোর্টালের মাধ্যমে ইন্টারভিউ করে ১৭ জনকে ক্যান্টিনে নিয়োগ করা হয়। এরপরই হঠাৎ মঙ্গলবার জেলাশাসকের কাছে অনিয়মের অভিযোগ জমা পড়ে। ওই নিয়োগ ঘিরে বড় অঙ্কের আর্থিক লেনদেনের অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগের আঙুল আইএনটিটিইউসির আইওসি ইউনিট এবং শহর তৃণমূলের প্রভাবশালী নেতাদের দিকে। অভিযোগ পাওয়ার পরই বুধবার দুপুরে জরুরি মিটিং ডাকেন জেলাশাসক পূর্ণেন্দু মাজি। তিনি বলেন, অভিযোগ পেয়েছি, তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। আইওসির শ্রমিক ক্যান্টিন চালানোর দায়িত্বে রয়েছে একটি বেসরকারি সংস্থা। ভিন রাজ্যের ওই সংস্থাটি আইওসির রিফাইনারিতে দীর্ঘদিন ধরে ক্যান্টিন চালাচ্ছে। ওই সংস্থার দাবি, ক্যান্টিন বয় ও কুকারের হেল্পার- এই দুটি পদে কাজের জন্য প্রায় সাড়ে ৫০০জনের ইন্টারভিউ করা হয়েছিল। এদের মধ্যে থেকে বাছাই করে ওই ১৭ জনকে নেওয়া হয়েছে।
গত আগস্ট মাসের মাঝামাঝি আইওসি রিফাইনারির ক্যান্টিনে নিয়োগের জন্য সরকারি কর্মসংস্থান পোর্টালে বিজ্ঞপ্তি বেরয়। 'ক্যান্টিন বয়' পদে ১৪ জন এবং কুকারের হেল্পার পদে ৩ জন চুক্তিভিত্তিক কর্মী নেওয়া হবে বলে জানানো হয়। আগস্ট মাসের শেষে চারদিন ধরে ইন্টারভিউ হয়েছিল। নিয়োগ প্রক্রিয়া শেষে সেপ্টেম্বরের শুরুতে টানা ৭ দিন নিযুক্ত কর্মীদের ট্রেনিং দেওয়া হয়। কর্মীদের প্রত্যেকের বয়স তিরিশের মধ্যে। এদের স্থায়ী গেটপাস তৈরির জন্য সমস্ত নথি চেয়ে নেয় সংস্থা। হঠাৎই মঙ্গলবার দুপুরে ওই ১৭ জনকে জানিয়ে দেওয়া হয়, গেটপাস তৈরি আপাতত স্থগিত থাকছে। জানা গিয়েছে, এদিন দুপুরেই যারা ইন্টারভিউতে ডাক পেয়েও চাকরি পায়নি, তাদের কয়েকজন জেলা প্রশাসনের কাছে নিয়োগে বেনিয়মের অভিযোগ করে। তাদের অভিযোগ, আইওসির ক্যান্টিনে কর্মী নিয়োগে লক্ষ টাকা লেনদেন হয়েছে। যারা কাজ পেয়েছে তাদের কাছ থেকে গড়ে ৫ লক্ষ টাকা করে নেওয়া হয়েছে। মোট ৮৫ লক্ষ টাকা লেনদেন হয়েছে বলে অভিযোগ তাদের। অভিযোগ, দালালদের মাধ্যমে ওই টাকা তোলা হয়েছে চাকরিপ্রার্থীদের থেকে। এরপর ঘুরপথে তা গিয়েছে প্রভাবশালী কয়েকজন নেতার কাছে। শহর তৃণমূলের এক নেতা বলেন, কর্মপ্রার্থী পোর্টালে বিজ্ঞপ্তি বেরলেই ঠিকাদারদের কাছে নেতাদের লিস্ট চলে যায়। ৭০-৮০ শতাংশ, কখনও ১০০ শতাংশ ওই লিস্ট থেকেই কর্মী নিতে ঠিকাদার বাধ্য থাকে। কর্মপ্রার্থী পোর্টালের মাধ্যমে প্রশাসন যতই স্বচ্ছতার চেষ্টা করুক, ঠিকাদার-নেতা সিন্ডিকেট ভাঙা সহজ নয় বলে তাঁর দাবি। ওই নেতার পরামর্শ, প্রিন্সিপাল এমপ্লয়ার বা প্রধান নিয়োগকারী হিসেবে সরাসরি কারখানা কর্তৃপক্ষের প্রতিনিধি নিয়োগ প্রক্রিয়ায় থাকলে স্বচ্ছতা বজায় থাকবে। এই ঘটনায় উদ্বিগ্ন জেলা প্রশাসন।
No comments