Page Nav

HIDE

Grid Style

GRID_STYLE

Post/Page

Weather Location

Breaking News:

latest

পঞ্চদশ অর্থ কমিশনের টাকা খরচে পিছিয়ে পূর্ব মেদিনীপুর, পড়ে আছে প্রায় ৯০ কোটি

পঞ্চদশ অর্থ কমিশনের টাকা খরচে পিছিয়ে পূর্ব মেদিনীপুর, পড়ে আছে প্রায় ৯০ কোটি



পঞ্চদশ অর্থ কমিশনের টাকা খরচে অনেকটাই পিছিয়ে পূর্ব মেদিনীপুর জেলা। ২৫টি গ্রাম পঞ্চায়েত ও ২২৩টি পঞ্চায়েত সমিতিতে পড়ে থাকা টাকার পরিমাণ ৮৯ কোটি ১২লক্ষ টাকা।…

 




পঞ্চদশ অর্থ কমিশনের টাকা খরচে পিছিয়ে পূর্ব মেদিনীপুর, পড়ে আছে প্রায় ৯০ কোটি





পঞ্চদশ অর্থ কমিশনের টাকা খরচে অনেকটাই পিছিয়ে পূর্ব মেদিনীপুর জেলা। ২৫টি গ্রাম পঞ্চায়েত ও ২২৩টি পঞ্চায়েত সমিতিতে পড়ে থাকা টাকার পরিমাণ ৮৯ কোটি ১২লক্ষ টাকা। ভোটের সময় এই জেলা অর্থ কমিশনের টাকা খরচে রাজ্যের মধ্যে ২২তম স্থানে চলে গিয়েছিল। গত দেড় মাসে স্পেশাল ড্রাইভে ২২থেকে নবম স্থানে উঠে এসেছে পূর্ব মেদিনীপুর। তবে, প্রথম তিনে থাকার লক্ষ্য নিয়ে জেলাশাসক পূর্ণেন্দু মাজী প্রত্যেক বিডিওকে এনিয়ে উদ্যোগী হওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। সেইমতো টাকা খরচ নিয়ে বিশেষ নজরদারিও চলছে। এই মুহূর্তে জেলায় ৪৭ শতাংশ টাকা খরচ হয়েছে। আগস্ট মাসের মধ্যে ৬০ শতাংশ পার করার টার্গেট দেওয়া হয়েছে।

২০২৩-’২৪ আর্থিক বছরে পূর্ব মেদিনীপুর পঞ্চদশ অর্থ কমিশনে মোট ১৬৮কোটি ৩৫লক্ষ টাকা পেয়েছিল। এখনও পর্যন্ত খরচ হয়েছে ৭৯কোটি ২২লক্ষ টাকা। পড়ে আছে ৮৯কোটি ১২লক্ষ টাকা। বিজেপি পরিচালিত শহিদ মাতঙ্গিনী ব্লক পঞ্চদশ অর্থ কমিশনের টাকা খরচে সবার নীচে। খরচের নিরিখে ২৫টি ব্লকের মধ্যে ২৫তম স্থানে এই ব্লক। ব্লকের অন্তর্গত ১০টি গ্রাম পঞ্চায়েতে মাত্র ৩৯ শতাংশ টাকা খরচ হয়েছে। কোলাঘাট, নন্দকুমার, পাঁশকুড়া-১, এগরা-২, হলদিয়া এবং তমলুক ব্লকের গ্রাম পঞ্চায়েতগুলিও ঠিকমতো খরচ করতে পারেনি। গ্রাম পঞ্চায়েত স্তরে কাজের নিরিখে পিছিয়ে থাকা ওই ব্লকের বিডিওকে আরও সক্রিয় হওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।গ্রাম পঞ্চায়েতে পঞ্চদশ অর্থ কমিশনের টাকা খরচে পটাশপুর-১ ব্লক সবার শীর্ষে। এই ব্লকে ৭৫ শতাংশ টাকা খরচ হয়েছে। এছাড়া রামনগর-২, খেজুরি-২, দেশপ্রাণ এবং কাঁথি-৩ ব্লক ৬০ শতাংশের বেশি অর্থ খরচ করেছে। বাকি কোনও ব্লক ৬০ শতাংশ পার করতে পারেনি।

এদিকে পঞ্চায়েত সমিতির মাধ্যমে টাকা খরচে সবার শেষে রয়েছে সুতাহাটা ব্লক। মাত্র ৩৩ শতাংশ অর্থ খরচ হয়েছে। তারপরেই রয়েছে শহিদ মাতঙ্গিনী ব্লক। ওই ব্লকে মাত্র ৩৬ শতাংশ টাকা খরচ হয়েছে। ভগবানপুর-২, এগরা-১, পাঁশকুড়া-১, ভগবানপুর-১ পঞ্চায়েত সমিতিও পঞ্চদশ অর্থ কমিশনের টাকায় ঠিকমতো উন্নয়নমূলক কাজ করতে পারেনি। গ্রাম পঞ্চায়েত এবং পঞ্চায়েত সমিতির মাধ্যমে পঞ্চদশ অর্থ কমিশনের টাকায় যাতে দ্রুত কাজ হয়, সেজন্য প্রত্যেক বিডিওকে নির্দেশ দিয়েছে জেলা প্রশাসন।পঞ্চায়েত সমিতির মাধ্যমে খরচে এগিয়ে রয়েছে পটাশপুর-১, দেশপ্রাণ, মহিষাদল, রামনগর-২, হলদিয়া, খেজুরি-২ ও কোলাঘাট। এই সাতটি পঞ্চায়েত সমিতিতে ৬০ শতাংশের বেশি অর্থ খরচ হয়েছে। বাকি ১৮টি ব্লক খরচে পিছিয়ে রয়েছে। শহিদ মাতঙ্গিনী পঞ্চায়েত সমিতি ও পাঁচটি গ্রাম পঞ্চায়েত বিজেপির দখলে। গেরুয়া পার্টির মধ্যে দলাদলিতে পঞ্চায়েত সমিতি এবং গ্রাম পঞ্চায়েতে উন্নয়ন ব্যাহত হচ্ছে। পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতিকে বয়কট করে চলছে দলের অফিসিয়াল গোষ্ঠী। যে কারণে উন্নয়নের কাজ ব্যাহত হচ্ছে। সার্বিক পারফরমেন্সে তার প্রভাব পড়ছে।একশো দিনের কাজ ও পঞ্চদশ অর্থ কমিশন গ্রামীণ এলাকার উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেয়। কেন্দ্রীয় সরকার দু’বছরের বেশি সময় একশো দিনের কাজের টাকা আটকে রেখেছে। এরফলে গ্রামীণ এলাকায় পরিকাঠামো উন্নয়নে পঞ্চদশ অর্থ কমিশনের টাকাই সম্বল। অথচ, সেই টাকা ঠিকমতো খরচ করতে পারছে না পূর্ব মেদিনীপুরের গ্রাম পঞ্চায়েত ও পঞ্চায়েত সমিতি। জেলাশাসক পূর্ণেন্দু মাজী বলেন, পঞ্চদশ অর্থ কমিশনের টাকা ঠিকমতো খরচ হয়নি। আমরা এই কাজে গতি এনেছি। আশা করি, ভালো জায়গায় পৌঁছতে পারব।

No comments