ওল্ড দীঘার একটি হোটেলে হানা দিয়ে ছয় যুবতীকে উদ্ধারউপকূলের পর্যটনকেন্দ্রে বিভিন্ন হোটেলে মধুচক্রের বিরুদ্ধে লাগাতার পুলিসি অভিযান চলছে। বৃহস্পতিবার ওল্ড দীঘার একটি হোটেলে হানা দিয়ে ছয় যুবতীকে উদ্ধার করে দীঘা কোস্টাল থানার পুলি…
ওল্ড দীঘার একটি হোটেলে হানা দিয়ে ছয় যুবতীকে উদ্ধার
উপকূলের পর্যটনকেন্দ্রে বিভিন্ন হোটেলে মধুচক্রের বিরুদ্ধে লাগাতার পুলিসি অভিযান চলছে। বৃহস্পতিবার ওল্ড দীঘার একটি হোটেলে হানা দিয়ে ছয় যুবতীকে উদ্ধার করে দীঘা কোস্টাল থানার পুলিস। তাদের হোটেলে রেখে দেহব্যবসা চালানো হতো। ওই যুবতীদের বাড়ি রাজ্যের বিভিন্ন জেলায়। পুলিস গোপন সূত্রে খবর পেয়ে অভিযান চালালেও তারা পৌঁছনোর আগেই হোটেলের ম্যানেজার ও কর্মীরা পালিয়ে যায়। ছিল না কোনও খদ্দেরও।
কয়েকদিনের মধ্যে দু’দফায় মন্দারমণিতে মধুচক্রের বিরুদ্ধে অভিযান হয়েছে। প্রথম দফায় ২৬ জুলাই মন্দারমণির একটি হোটেল থেকে ম্যানেজার, কর্মী, এজেন্ট, খদ্দের মিলিয়ে ১৩জনকে গ্রেপ্তার এবং ছয় যুবতীকে উদ্ধার করেছিল মন্দারমণি কোস্টাল থানার পুলিস। তারপর ৩১ জুলাই রাতে মন্দারমণিতেই ফের অভিযানে ১১জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। উদ্ধার হয় পাঁচ যুবতী।
সূত্রের খবর, একাংশ অসাধু হোটেল মালিক বিভিন্ন জেলা থেকে যুবতীদের মোটা টাকার বিনিময়ে এনে দেহব্যবসার কাজে লাগাচ্ছে। মোটা টাকার বিনিময়ে ওই যুবতীদের হোটেলে পর্যটকদের ঘরে পাঠানো হচ্ছে। এমনকী, মোবাইলে ছবি পাঠিয়ে পছন্দমতো যুবতী সরবরাহ করা হচ্ছে।
বারবার এমন অভিযোগ পেয়ে মন্দারমণি সহ উপকূলের বিভিন্ন থানার পুলিস নড়েচড়ে বসেছে। লাগাতার অভিযান চলছে। উপকূলের থানাগুলির দায়িত্বপ্রাপ্ত ডিএসপি (ডিঅ্যান্ডটি) আবু নুর হোসেন বলেন, এধরনের বেআইনি কারবারের বিরুদ্ধে নিয়মিত অভিযান জারি থাকবে। আমরা এলাকার বিভিন্ন হোটেলে নজরদারি জোরদার করছি।
No comments