এবার পুজোতে রাস্তার উপর তোরণ বানানো যাবে না জানিয়ে দিল পুলিস ও মহকুমা প্রশাসন
রাস্তার উপর তোরণ বানানো যাবে না বলে পুজোর উদ্যোক্তাদের জানিয়ে দিল পুলিস ও মহকুমা প্রশাসন। শনিবার হলদিয়ায় পুজোর মিটিংয়ে এই নির্দেশ দেওয়া হয়। এদিন হলদিয়ার…
এবার পুজোতে রাস্তার উপর তোরণ বানানো যাবে না জানিয়ে দিল পুলিস ও মহকুমা প্রশাসন
রাস্তার উপর তোরণ বানানো যাবে না বলে পুজোর উদ্যোক্তাদের জানিয়ে দিল পুলিস ও মহকুমা প্রশাসন। শনিবার হলদিয়ায় পুজোর মিটিংয়ে এই নির্দেশ দেওয়া হয়। এদিন হলদিয়ার দুর্গাচকে কুমারচন্দ্র জানা অডিটোরিয়ামে মহকুমার পুজো কমিটিগুলিকে নিয়ে বৈঠক করে প্রশাসন। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন হলদিয়ার মহকুমা শাসক সুপ্রভাত চট্টোপাধ্যায়, হলদিয়ার এসডিপিও অরিন্দম অধিকারী এবং ৫টি ব্লকের বিডিও এবং বিভিন্ন থানার পুলিস আধিকারিকরা। পুজো মিটিংয়ে প্রায় ৫০০ কমিটির প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন। কমিটিগুলিকে একাধিক নির্দেশিকা দেওয়ার পাশাপাশি এবং সরকারি তরফে আবেদনও করা হয়। বিশ্বকর্মা পুজোর জন্য অফলাইনে অনুমতি নিতে হবে বলে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে প্রশাসনের তরফে। তবে দুর্গাপুজো ও কালীপুজোর জন্য অনলাইনে অনুমতি মিলবে বলে জানানো হয়েছে। কয়েকদিন আগেই হলদিয়ার দুর্গাচকে একটি তোরণ ভেঙে পড়ায় ব্যাপক হইচই হয়। একটি গাড়ি দুমড়ে মুচড়ে যায়। দু’ মাসের বেশি সময় ধরে ওই তোরণটি হলদিয়া-মেচেদা রাজ্য সড়কে বাঁধা ছিল। পুলিসের নাকের ডগায় ওই তোরণ থাকা সত্ত্বেও কেউ সরানোর উদ্যোগ নেয়নি। সেটি ভেঙে পড়ার পর ক্ষোভে ফেটে পড়েন এলাকাবাসী। হলদিয়া থেকে মহিষাদল পর্যন্ত পুজো মরশুমে শতাধিক তোরণ বাঁধা হয় রাস্তার উপর এবং বিভিন্ন মোড়ে। অভিযোগ, পুজোর সময়ে রাস্তার উপর তোরণের কারণে যানজট হয়। গত দু’ বছরে হলদিয়া এবং মহিষাদলে রাস্তার উপরে একাধিক তোরণ ভেঙে দুর্ঘটনার সাক্ষী আছে হলদিয়া মহাকুমা। এদিন বৈঠকে মহকুমা শাসক স্পষ্ট করে জানিয়ে দেন, মহকুমা পুলিস এবং প্রশাসন কোনওভাবেই রাস্তার উপরে তোরণ করার অনুমতি দেবে না। নির্দেশ উপেক্ষা করে কোনও পুজো উদ্যোক্তা যদি রাস্তার উপরে তোরণ করেন, প্রশাসন গিয়ে ভেঙে দেবে। মহকুমা শাসক বলেন, কোনও পুজো উদ্যোক্তার আনন্দ অপরের অসুবিধা কারণ হয়ে উঠবে তা প্রশাসন মেনে নেবে না। কোনও উদ্যোক্তা নির্দেশ উপেক্ষা করে তোরণ করলে প্রশাসন পদক্ষেপ গ্রহণ করবে। প্রশাসনের এই নির্দেশিকায় পুজো উদ্যোক্তাদের একাংশ খানিকটা বিপাকে পড়েছেন। তাদের বক্তব্য, বিভিন্ন সংস্থার কাছ থেকে যে অনুদান পাওয়া যায় তার বিজ্ঞাপনের জন্যই তোরণ তৈরি করা হয়। প্রশাসনের এই নির্দেশের ফলে পুজোর বাজেটে কিছুটা ঘাটতি হতে পারে। হলদিয়ার এসডিপিও অরিন্দম অধিকারী বলেন, উদ্যোক্তাদের মণ্ডপে পর্যাপ্ত সিসি ক্যামেরা রাখার অনুরোধ করা হয়েছে। প্রত্যেক মণ্ডপে জেনারেটরের ব্যবস্থা রাখতে বলা হয়েছে। প্রশাসনের এই নির্দেশে অবশ্য স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলেছেন শহরের বাসিন্দারা।
No comments