Page Nav

HIDE

Grid Style

GRID_STYLE

Post/Page

Weather Location

Breaking News:

latest

হাসপাতাল থেকে বিএম ওএইচকে সরানোর দাবি তুলেছেন শাসক দলের বিধায়ক তিলক চক্রবর্তী

হাসপাতাল থেকে বিএম ওএইচকে সরানোর দাবি তুলেছেন শাসক দলের বিধায়ক তিলক চক্রবর্তী
মহিষাদল ব্লক হাসপাতালের বিএমওএইচ শারুক আজাদকে ওই হাসপাতাল থেকে সরানোর জোরালো দাবি তুলেছেন মহিষাদলেরই বিধায়ক তিলক কুমার চক্রবর্তী । সম্প্রতি রাজ্যের স্…

 


হাসপাতাল থেকে বিএম ওএইচকে সরানোর দাবি তুলেছেন শাসক দলের বিধায়ক তিলক চক্রবর্তী


মহিষাদল ব্লক হাসপাতালের বিএমওএইচ শারুক আজাদকে ওই হাসপাতাল থেকে সরানোর জোরালো দাবি তুলেছেন মহিষাদলেরই বিধায়ক তিলক কুমার চক্রবর্তী । সম্প্রতি রাজ্যের স্বাস্থ্য ভবনের ডেপুটি হেলথ সেক্রেটারিকে লেখা চিঠিতে তীব্র ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন বিধায়ক । বাসুলিয়া গ্রামীণ হাসপাতাল নামে মহিষাদল ব্লক হাসপাতালের বিএমওএইচ সপ্তাহে বেশিরভাগ দিন অনুপস্থিত থাকেন । যার ফলে যাবতীয় উন্নয়ন কাজ পড়ে রয়েছে । বেহাল অবস্থায় রয়েছে হাসপাতালের সার্বিক পরিস্থিতি । মহিষাদল ব্লক স্বাস্থ্য কর্মাধ্যক্ষ তরুণকান্তি মণ্ডল এমন অভিযোগ তুলে সরব হয়েছেন । 

             শারুক আজাদ ২০২৩ সালের ৫ মে বাসুলিয়া গ্রামীণ হাসপাতালে বিএমওএইচ হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন । প্রথম কয়েক মাস তার কাজের প্রশংসা শোনা গেলেও পরে তিনি কাজে ঢিলেমি দিচ্ছেন বলে অভিযোগ উঠতে থাকে । যত দিন গড়িয়েছে, তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ ততোই বেড়েছে । এলাকার বাসিন্দাদের একাংশ স্থানীয় বিধায়ক তিলক কুমার চক্রবর্তী থেকে স্বাস্থ্য কর্মাধ্যক্ষের কাছেও অভিযোগ জানিয়েছেন । অভিযোগের বাস্তবতা খতিয়ে দেখেছেন দু'জনেই । বিএমওএইচের বিরুদ্ধে বড়ো অভিযোগ, তিনি সপ্তাহে বেশিরভাগ সময় হাসপাতালে থাকেন না । দুই থেকে তিন দিন যেটুকু সময় থাকেন, পরিষেবা দেওয়ার কাজে তাঁকে পাওয়া যায় না । জেলা কেন্দ্রে সিএমওএইচের সঙ্গে মিটিং আছে বলে তিনি চলে যান । ফলে হাসপাতালে ডাক্তার, নার্স কিংবা স্বাস্থ্যকর্মী কারুর সঙ্গে তাঁর সুসম্পর্ক গড়ে ওঠেনি আজও পর্যন্ত । ডাক্তার,নার্সদের একাংশ এমন অভিযোগও তুলেছেন । এলাকার বিধায়ক শুধু না, হাসপাতালের রোগী কল্যাণ সমিতির চেয়ারম্যান হিসেবে তিলক কুমার চক্রবর্তীর কাছে এমন বহু অভিযোগ এসেছে । তিনি বিএমওএইচকে ভুল ধরিয়ে সাবধান করেছেন । তা সত্ত্বেও তাঁর কোনো পরিবর্তন ঘটেনি বলে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন বিধায়ক । তিনি বলেন,"সকলের জানা হাসপাতাল জরুর পরিষেবার মধ্যেই পড়ে । কিন্তু মহিষাদল ব্লক হাসপাতালের বি এম ও এইচ সেটি জানেন না । বেশিরভাগ কাজের দিনে অনুপস্থিতি, রাজ্য সরকারের স্কিম কাজে না লাগিয়ে নিষ্ক্রিয় থাকা, হাসপাতালের ডাক্তার,নার্স,কর্মীদের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় না রেখে চলা সহ বিভিন্ন অভিযোগ রয়েছে । উনি কেবল প্রশাসনিক কাজে ব্যস্ত, এমন অজুহাত দেখে পালিয়ে বেড়ান । সত্যি যদি প্রশাসনিক কাজেই ব্যস্ত থাকতেন, তাহলে এই ব্লক হাসপাতালটির অনেক আগেই উন্নতি ঘটতো । বাস্তবে তা উল্টো । আমি রোগী কল্যাণ সমিতির চেয়ারম্যান ‌। উনি আমার সঙ্গে মিথ্যে কথা বলেন । এমন মানুষকে বিএমওএইচ পদ থেকে দ্রুত সরাবার জন্য স্বাস্থ্য ভবনে আমি চিঠি লিখে পাঠিয়েছি । শুধু তাই নয়, রাজ্যের স্বাস্থ্যমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে বিধানসভায় ।" সরকার অনুমোদিত ৩০ টি বেড রয়েছে এই হাসপাতালে । কিন্তু এলাকার রোগীর এতটাই চাপ, সেখানে অতিরিক্ত ৫০ টি বেডে রোগী ভরে যায় । স্বাস্থ্য দপ্তরের কাছে আমরা আরো ৬০ টি বেড বাড়াবার আবেদন করে রেখেছি দীর্ঘদিন আগে । সে ব্যাপারে বিএমওএইচের প্রশাসনিক কোনো ভূমিকা দেখা যায় না বলেও অভিযোগ উঠেছে । যদিও বিএমওএইচ শারুক আজাদ এই সমস্ত অভিযোগকে আমল দিতে নারাজ । তিনি বলেন,"আমি হাসপাতালে কাজে ফাঁকি দিই না । উপস্থিত থাকি সব কাজে । হাসপাতালের পাশে নতুন একটি বিল্ডিং গড়ে তোলা হয়েছে । ওটি আমারা হাতে পেলে পরিষেবা দেওয়ার সুবিধা হবে । কিন্তু জেলা কেন্দ্রে জট রয়েছে বলে মনে করি । সে বিষয়ে বিডিও'র সঙ্গে আলোচনা হয়েছে ।" উলুবেড়িয়ায় বিএমওইচের নার্সিংহোম রয়েছে । সেখানে সময় দিতে গিয়ে, সরকারি কাজে তিনি ফাঁকি দিয়ে চলেছেন বলেও অভিযোগ । যদিও সে বিষয়ে বিএমওএইচের বক্তব্য নেই । তবে মহিষাদলের মানুষ নাগালের মধ্যে কবে ব্লক হাসপাতালে উন্নত স্বাস্থ্য পরিষেবা পান, এখন সেটাই দেখার বিষয় ।

No comments