Page Nav

HIDE

Grid Style

GRID_STYLE

Post/Page

Weather Location

Breaking News:

latest

‘রাত্তিরের সাথী’ কর্মসূচি ঘোষণা করল রাজ্য সরকার!

‘রাত্তিরের সাথী’ কর্মসূচি ঘোষণা করল রাজ্য সরকার
আর জি কর-কান্ডের জের। রাতে মহিলাদের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে কঠোর পদক্ষেপ করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ‘রাত্তিরের সাথী’ কর্মসূচি ঘোষণা করল রাজ্য সরকার। এই কর্মসূচির মাধ্যমে …

 


 ‘রাত্তিরের সাথী’ কর্মসূচি ঘোষণা করল রাজ্য সরকার


আর জি কর-কান্ডের জের। রাতে মহিলাদের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে কঠোর পদক্ষেপ করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ‘রাত্তিরের সাথী’ কর্মসূচি ঘোষণা করল রাজ্য সরকার। এই কর্মসূচির মাধ্যমে হাসপাতাল, মেডিক্যাল কলেজ, হস্টেল সহ অন্যান্য জায়গায় কর্মরত মহিলাদের সুরক্ষা সুনিশ্চিত করবে রাজ্য। আর সেই লক্ষ্যে একগুচ্ছ পদক্ষেপের পাশাপাশি একটি বিশেষ অ্যাপ চালু করতে চলেছে রাজ্য সরকার, যাতে একটি অ্যালার্ম থাকবে। বিপদে পড়লে এই অ্যাপের মাধ্যমে অ্যালার্ম বাজিয়ে সাহায্য চাওয়া যাবে নিকটবর্তী থানা থেকে। অ্যাপের নামও দেওয়া হবে ‘রাত্তিরের সাথী’। সেই সঙ্গে যে কোনও আপৎকালীন পরিস্থিতিতে ১০০ ডায়ালের ব্যবহারে জোর দেওয়া হয়েছে রাজ্যের তরফে। 

রাজ্য সরকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে, এখন থেকে রাজ্যের হাসপাতালগুলিতে সমানুপাতিক হারে মহিলা ও পুরুষ নিরাপত্তারক্ষী মোতায়েন রাখা হবে। নিরাপত্তারক্ষী নিযুক্ত করার দায়িত্বে থাকবে পুলিস। পুলিসকে প্রতিটি হাসপাতালে নাইট পেট্রলিং নিশ্চিত করার নির্দেশ দিয়েছে রাজ্য। হাসপাতালে কর্মরত প্রত্যেককে সবসময় সচিত্র পরিচয়পত্র পরে থাকা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। সরকারি অফিসের পাশাপাশি বেসরকারি সংস্থাতেও এই ‘রাত্তিরের সাথী’ প্রোটোকল মেনে চলার আর্জি জানানো হয়েছে রাজ্যের তরফে।  মহিলা কর্মীদের নাইট ডিউটি যতটা সম্ভব এড়ানোর কথাও বলা হয়েছে রাজ্যের তরফে। শনিবার মুখ্যসচিব ভগবতী প্রসাদ গোপালিকা, স্বরাষ্ট্রসচিব নন্দিনী চক্রবর্তী, স্বাস্থ্যসচিব নারায়ণস্বরূপ নিগম সহ পদস্থ আধিকারিকদের নিয়ে বৈঠক করেন মুখ্যমন্ত্রী। সেই বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয় ‘রাত্তিরের সাথী’ নিয়ে একটি উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক হয়। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ফোনের মাধ্যমে সেই বৈঠকে অংশ নেন। বৈঠকের পর মুখ্যমন্ত্রীর মুখ্য উপদেষ্টা আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায় সাংবাদিকদের জানান, মহিলাদের সুরক্ষা নিশ্চিত করতেই এই কর্মসূচি গ্রহণ করল রাজ্য সরকার। এর আওতায় রাজ্যের হাসপাতালগুলিতে মহিলা কর্মী, আধিকারিক এবং চিকিৎসকদের জন্য পৃথক রেস্ট রুম এবং শৌচাগারের সুবিধা নিশ্চিত করা হবে। রাতের বেলা হাসপাতাল পাহারায় থাকবেন ‘রাত্তিরের সাথী’র বিশেষ মহিলা ভলান্টিয়াররা। সিসিটিভি কভারেজের মাধ্যমে মহিলাদের জন্য ‘সেফ জোন’ চিহ্নিত করা থাকবে। হাসপাতালের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে ব্রেথ অ্যানালাইজার পরীক্ষা চালু হবে। প্রত্যেক সংস্থায় ‘বিশাখা কমিটি’ আবশ্যিকভাবে থাকতে হবে বলেও এদিন রাজ্যের তরফে জানানো হয়েছে। সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, কোনওভাবেই হাসপাতালে মহিলা চিকিৎসকরা টানা ১২ ঘণ্টার বেশি কাজ করবেন না। হাসপাতালের প্রতিটি তলে পানীয় জলের ব্যবস্থা করা হবে বলেও জানিয়েছেন আলাপনবাবু। 

No comments