কাজের মেয়াদ১০ অক্টোবর ২০০১ – ২৯ অক্টোবর ২০০৬বেগম খালেদা জিয়া কে তার সংক্ষিপ্ত জীবনীসৈয়দ খায়রুল আলম, আন্তর্জাতিক ডেস্কঃবেগম খালেদা জিয়া (জন্ম: আগস্ট ১৫ ১৯৪৫, জন্মগত নাম খালেদা খানম পুতুল, একজন বাংলাদেশি রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব যিনি…
কাজের মেয়াদ
১০ অক্টোবর ২০০১ – ২৯ অক্টোবর ২০০৬
বেগম খালেদা জিয়া কে তার সংক্ষিপ্ত জীবনী
সৈয়দ খায়রুল আলম, আন্তর্জাতিক ডেস্কঃবেগম খালেদা জিয়া (জন্ম: আগস্ট ১৫ ১৯৪৫, জন্মগত নাম খালেদা খানম পুতুল, একজন বাংলাদেশি রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব যিনি ১৯৯১-১৯৯৬ সাল এবং ২০০১-২০০৬ সাল পর্যন্ত তিনি প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি বাংলাদেশের প্রথম মহিলা প্রধানমন্ত্রী ও প্রধানমন্ত্রী রূপে মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশগুলোর মাঝে দ্বিতীয় মহিলা সরকারপ্রধান (বেনজির ভুট্টোর পর)। তার স্বামী জিয়াউর রহমানের শাসনকালে তিনি ফার্স্ট লেডি ছিলেন। তিনি বর্তমানে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) চেয়ারপার্সন ও দলনেত্রী, যা তার স্বামী জিয়াউর রহমান কর্তৃক ১৯৭৮ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়।
১৯৮২ সালে সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল এইচ এম এরশাদের নেতৃত্বে পরিচালিত সামরিক অভ্যুত্থানের পর থেকে ১৯৯০ সালে সামরিক স্বৈরশাসক হিসেবে এরশাদের পতনের পূর্ব পর্যন্ত খালেদা জিয়া গণতন্ত্রের জন্য চলমান আন্দোলনে নেতৃত্বদানের মাধ্যমে সহায়তা করেন। ১৯৯১ এর নির্বাচনে বিএনপি জয়ী হওয়ায় তিনি প্রধানমন্ত্রী হন। ১৯৯৬-এর স্বল্পস্থায়ী সরকারেও তিনি দায়িত্বপালন করেন,যখন কিনা অন্য দলগুলো উক্ত নির্বাচনকে বর্জন করেছিল। ১৯৯৬ সালের পরবর্তী সাধারণ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসে। খালেদা জিয়ার দল পুনরায় ক্ষমতায় আসে ২০০১ সালে। ১৯৯১, ১৯৯৬ ও ২০০১ সালের নির্বাচনে তিনি নিজস্ব ৫টি সংসদীয় আসনের সবগুলোতেই জয়ী হন। ফোর্বস সাময়িকীর বিশ্বের ১০০ ক্ষমতাবান নারী নেতৃত্বের তালিকায় ২০০৪ সালে জিয়ার অবস্থান ১৪তম,২০০৫ সালে ২৯তম,ও ২০০৬ সালে ৩৩তম।
২০০৬ সালে তার সরকারের নির্ধারিত শাসনকাল শেষ হওয়ার পর, ২০০৭ সালে নির্ধারিত নির্বাচন রাজনৈতিক সহিংসতা ও অন্তর্দ্বন্দ্বের কারণে বিলম্বিত হয়, ফলশ্রুতিতে তত্ত্বাবধায়ক সরকার কর্তৃক সামরিক পদ্ধতিতে রক্তপাতবিহীন ক্ষমতা অধিগ্রহণ করা হয়। উক্ত সরকারের সময়কালে, খালেদা জিয়া তার দুই সন্তানসহ দুর্নীতির দায়ে অভিযুক্ত হন।
গত দুই দশকের অধিকাংশ সময়ে, খালেদা জিয়ার প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন আওয়ামী লীগ নেত্রী শেখ হাসিনা। ১৯৯১ সাল থেকে তারা অনুক্রমিকভাবে প্রধানমন্ত্রী হয়ে আসছেন।
২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারিতে, খালেদা জিয়া দুর্নীতির দায়ে পাঁচ বছরের কারাবাসের দণ্ডপ্রাপ্ত হন। এতে তিনি প্রধানমন্ত্রী থাকাকালীন একটি এতিমখানা ট্রাস্ট গঠনের সময় অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত হন।
No comments