মাত্র ৪৫ মিনিট! দেশ ছাড়তে হাসিনাকে এইটুকুই সময় দেয় বাংলাদেশ সেনা, হয়নি ভাষণ রেকর্ড করাও
বিদ্রোহের আগুন যে আজ দাউদাউ করে জ্বলবে, রাজধানী ঢাকায় যে আছড়ে পড়বে, তা আগেই জানা ছিল। সম্ভাবনাও ছিল শেখ হাসিনার গদিচ্যুত হওয়ার। কিন্তু এত ক…
মাত্র ৪৫ মিনিট! দেশ ছাড়তে হাসিনাকে এইটুকুই সময় দেয় বাংলাদেশ সেনা, হয়নি ভাষণ রেকর্ড করাও
বিদ্রোহের আগুন যে আজ দাউদাউ করে জ্বলবে, রাজধানী ঢাকায় যে আছড়ে পড়বে, তা আগেই জানা ছিল। সম্ভাবনাও ছিল শেখ হাসিনার গদিচ্যুত হওয়ার। কিন্তু এত কম সময়ের মধ্যে যে তিনি দেশ ছেড়ে চলে যেতে বাধ্য হবেন, তা কেউ
৪৫ মিনিট। মাত্র এইটুকু সময়ই শেখ হাসিনাকে দেওয়া হয়েছিল দেশ ছাড়ার আগে। এক মিনিটও অতিরিক্ত সময় পাননি তিনি প্রস্তুতির।
বিদ্রোহের আগুন যে আজ দাউদাউ করে জ্বলবে, রাজধানী ঢাকায় যে আছড়ে পড়বে, তা আগেই জানা ছিল। সম্ভাবনাও ছিল শেখ হাসিনার গদিচ্যুত হওয়ার। কিন্তু এত কম সময়ের মধ্যে যে তিনি দেশ ছেড়ে চলে যেতে বাধ্য হবেন, তা কেউ আন্দাজ করেনি।
এতই কম সময়ে পুরোটা ঘটে, যে বিমানের ব্যবস্থাও করা যায়নি, সেনা হেলিকপ্টারেই উড়ে যান তিনি। প্রথমে ভারতের আগরতলায় পৌঁছে দিল্লির সেফ হাউসে গিয়ে আশ্রয় নেন, তার পরে সোজা চলে যান লন্ডন। তবে সম্ভবত, সেনাবাহিনী আন্দাজ করতে পেরেছিল, কত দ্রুত কতটা খারাপ হতে পারে পরিস্থিতি। সোমবার, বেলার দিকে তিনি কোনওরকমে পদত্যাগ করেই দেশ ছাড়ার পরেই দখল হয়ে যায় তাঁর বাসভবন, গণভবন। শুরু হয় অবাধ লুটপাট।
দেখা যায়, খাটের উপরে বসে পড়েছেন কেউ, কেউ চারদিকে নানা জিনিস ভাঙচুর করছেন। যে যেমন খুশি জিনিসপত্র নিয়ে বেরিয়ে পড়তে থাকে। একজনকে দেখা যায় রিকশা নিয়ে গণভবনের বোর্ড তুলে নিয়ে যেতে।
জানা গেছে, এত দ্রুত হাসিনার দেশ ছেড়ে যাওয়ার পিছনে রয়েছে বাংলাদেশেরই সেনাবাহিনী। তাদের তরফ থেকেই শেখ হাসিনাকে সময় বেঁধে দেওয়া হয়েছিল দেশ ছাড়ার। আর তা ছিল, মাত্র ৪৫ মিনিট। এতটুকু সময়ের মধ্যেই তাঁকে দেশ ছাড়তে নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। এমনকি হাসিনাকে তাঁর শেষ ভাষণও রেকর্ড করার সময়টুকু দেয়নি সেনাবাহিনী। কেবল ইস্তফাপত্র লিখেই বেরিয়ে যান তিনি। সঙ্গে ছিলেন তাঁর ছোট বোন রেহানা।
হাসিনা দেশ ছেড়ে চলে যাওয়ার পরে জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেন বাংলাদেশের সেনাবাহিনীর প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান। তিনি বলেন, দেশে একটা রাজনৈতিক ক্রান্তিকাল চলছে। সেই সঙ্গে তিনি জানান, তিনি সব দলের নেতাদের আমন্ত্রণ করেছিলেন। ওঁরা এসেছেন। আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, একটি অন্তর্বর্তী সরকার গঠন করা হবে। সেই সরকারই দেশের কার্যকলাপ চালাবে। রাষ্ট্রপতির কাছে গিয়ে এই নিয়ে আলোচনা করা হবে বলেও জানিয়েছেন তিনি।
সেনাপ্রধানের কথায়, 'আমি কথা দিচ্ছি, সব অন্যায়, সব হত্যার বিচার হবে। সেনাবাহিনীর ওপর আস্থা রাখেন। আপনারা আশাহত হবেন না। আপনাদের যত দাবি আছে, পূরণ করব। দেশে শান্তিশৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনব। আপনারা সহযোগিতা করুন।'
তিনি অনুরোধ করেন, 'হত্যা, মারামারি, সংঘর্ষ থেকে বিরত হোন। আপনারা আমার ওপর আস্থা রাখেন, একসাথে কাজ করি। দয়া করে সাহায্য করেন। মারামারি করে, সংঘাতের মাধ্যমে আর কিছু পাব না। সংঘর্ষ, অরাজকতা থেকে বিরত হোন। আমরা সবাই মিলে একটা সুন্দর ভবিষ্যতের দিকে অগ্রসর হবো।'
No comments