Page Nav

HIDE

Grid Style

GRID_STYLE

Post/Page

Weather Location

Breaking News:

latest

গ্রাম কমিটির মাতব্বরিতে চাষের কাজ করতে বাধা দেওয়ার অভিযোগ!

গ্রাম কমিটির মাতব্বরিতে চাষের কাজ করতে বাধা দেওয়ার অভিযোগ!
নন্দীগ্রামে বিজেপি সমর্থককে চাষের কাজ করতে বাধা দেওয়ার অভিযোগ দলেরই মাতব্বরদের বিরুদ্ধে। নন্দীগ্রাম-১ব্লকের ভেকুটিয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের পঞ্চমখণ্ড জালপাই গ্রামের ঘটনা। ওই ঘট…

 


গ্রাম কমিটির মাতব্বরিতে চাষের কাজ করতে বাধা দেওয়ার অভিযোগ!


নন্দীগ্রামে বিজেপি সমর্থককে চাষের কাজ করতে বাধা দেওয়ার অভিযোগ দলেরই মাতব্বরদের বিরুদ্ধে। নন্দীগ্রাম-১ব্লকের ভেকুটিয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের পঞ্চমখণ্ড জালপাই গ্রামের ঘটনা। ওই ঘটনায় গ্রাম কমিটির সম্পাদক সুকুমার গারু এবং বিজেপি নেতা দীপক জানার বিরুদ্ধে থানায় এফআইআর হয়েছে। গ্রামেরই একটি রাস্তাকে কেন্দ্র করে বিজেপি সমর্থক চন্দন মণ্ডলের সঙ্গে ওই গ্রামে দলেরই কয়েকজনের ঝামেলা বাধে। সেই ঝামেলায় নাক গলায় বিজেপি নিয়ন্ত্রিত গ্রাম কমিটি ও স্থানীয় নেতৃত্ব। এক বছর ধরে বয়কটের শিকার ওই পরিবার। এবার বর্ষায় চাষের কাজ বন্ধ থাকবে বলে ঘোষণা করেছে গ্রাম কমিটি। মামলা প্রত্যাহার না করা পর্যন্ত জমিতে পাওয়ারটিলার নামবে না বলে ফতোয়া দেওয়া হয়েছে।

শনিবার পঞ্চমখণ্ড জালপাই গ্রাম থেকে চন্দন মণ্ডল ও তাঁর স্ত্রী রঞ্জু মণ্ডল নন্দীগ্রাম থানায় যান। এদিন থানা প্রাঙ্গণে দাঁড়িয়ে ওই দম্পতি বলেন, আমরা বিজেপি সমর্থক। ভোট এলে বিজেপিকে ভোট দিই। কিন্তু, গত একবছর ধরে আমাদের পরিবারকে একঘরে করে রাখা হয়েছে। গত বছর চাষের কাজে বাধা ছিল না। এবার চাষ করতে দেওয়া হচ্ছে না। জমিতে পাওয়ারটিলার নামবে না বলে সাফ জানানো হয়েছে। আমার ছেলেকে হেনস্তা করা হয়েছে। প্রায় সাড়ে তিন বিঘা জমিতে চাষ করে সারা বছরের জীবিকা নির্বাহ হয়। এবার সেই জমি পতিত থাকবে বলে ঘোষণা করে দিয়েছে বিজেপির স্থানীয় নেতৃত্ব। পাওয়ারটিলার মালিকদের বাড়ি গিয়ে আমাদের জমিতে লাঙল দেওয়া যাবে না বলে চড়া সুরে জানিয়ে এসেছে। পঞ্চমখণ্ড জালপাই গ্রামে চন্দন মণ্ডলের ব্যক্তিগত জায়গার উপর দিয়ে একটি সরু রাস্তা আছে। পুকুর ধার বরাবর সেই রাস্তা পাড়ার আরও বেশ কয়েকজন ব্যবহার করেন। গত বছর ওই রাস্তা চওড়া করার জন্য এলাকার বেশ কয়েকজন দাবি তোলেন। যদিও ব্যক্তিগত ওই রাস্তা চওড়া করতে দেওয়ার পক্ষে নন চন্দনবাবু। এনিয়ে ঝামেলা বাধে। সেই ঝামেলা থেকেই চন্দন মণ্ডলের লাগানো বেশকিছু নারকেল চারা উপড়ে দেয় ওই পাড়ার লোকজন। প্রথমে ঘটনাটি পাড়ার কয়েকজনের সঙ্গে চন্দন মণ্ডলের ছিল। পরবর্তীতে গ্রাম কমিটি তাতে নাক গলায়। এরমধ্যে চন্দনবাবুর স্ত্রীকে হেনস্তার ঘটনা ঘটে। সে‌ই ঘটনায় গ্রাম কমিটির কয়েকজনের বিরুদ্ধে থানায় এফআইআর হয়। গ্রামের মাতব্বরদের বিরুদ্ধে থানায় এফআইআর হতেই বিষয়টি নিয়ে আরও জট তৈরি হয়। বিজেপির নিয়ন্ত্রাধীন গ্রাম কমিটি ওই পরিবারকে বয়কট ঘোষণা করে। গত বছর চাষের কাজে বাধা আসেনি। যদিও এবছর চন্দন মণ্ডলকে চাষ করতে দেওয়া হবে না বলে গ্রাম কমিটি ঠিক করে। বিজেপি নেতৃত্ব তাতে মদত দেয়। গোটা ঘটনায় বিপাকে পড়ে চন্দনবাবুর পরিবার। বিজেপি পার্টির সমর্থক হওয়া সত্ত্বেও দলেরই লোকজন তাঁর পরিবারকে বয়কটের গেরোয় ফেলে দেয়। এবার মামলা প্রত্যাহার না করা পর্যন্ত জমিতে লাঙল নামবে না বলে সাফ বক্তব্য গ্রাম কমিটির। বিজেপির জেলা সাধারণ সম্পাদক মেঘনাদ পাল বলেন, পঞ্চমখণ্ড জালপাই গ্রামের ওই বিষয় নিয়ে স্থানীয় নেতৃত্বের সঙ্গে কথা বলব।

No comments