দুর্গাপূজার প্রশাসনিক সভায় কল্পতরু মমতা ?
চব্বিশের দুর্গোপুজোয় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছ থেকে উদ্যোক্তাদের ডাবল প্রাপ্তি। রাজ্যের ৪৩ হাজারের বেশি পুজো কমিটিকে ৮৫ হাজার টাকা অনুদান, আর বিদ্যুৎ বিলে ৭৫ শতাংশ ছাড়। সেই সঙ্গে আগা…
দুর্গাপূজার প্রশাসনিক সভায় কল্পতরু মমতা ?
চব্বিশের দুর্গোপুজোয় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছ থেকে উদ্যোক্তাদের ডাবল প্রাপ্তি। রাজ্যের ৪৩ হাজারের বেশি পুজো কমিটিকে ৮৫ হাজার টাকা অনুদান, আর বিদ্যুৎ বিলে ৭৫ শতাংশ ছাড়। সেই সঙ্গে আগামী বছর ১ লক্ষ টাকা প্রাপ্তির আশ্বাসও। মঙ্গলবার মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণায় তাই হাসিমুখে নেতাজি ইন্ডোর থেকে নিজের নিজের পাড়ায় ফিরে মা দুর্গার আবাহনের প্রস্তুতিতে নেমে পড়লেন কর্মকর্তারা।
প্রতি বছরের মতো এদিন দুর্গাপুজো উপলক্ষ্যে প্রশাসনিক ও সমন্বয় বৈঠকের আয়োজন হয়েছিল নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে। কলকাতার দুর্গাপুজোর উদ্যোক্তারা হাজির ছিলেন সেখানে। ভার্চুয়াল মাধ্যমে অন্য জেলাগুলি। রাজ্য ও জেলা প্রশাসনের পদস্থ কর্তারাও হাজির ছিলেন বৈঠকে। বিকেল চারটেয় বৈঠকের শুরুতেই আশার গুঞ্জন ছিল, এবার বাড়তি কী পেতে চলেছে পুজো কমিটিগুলি? মমতাও যেন পুজো উদ্যোক্তাদের কৌতূহলের সঙ্গে নিজেকে শামিল করে নিলেন। বললেন, ‘এবার সেটাই তো শুনতে চাইছেন আপনারা? যেটার অপেক্ষা করছেন...।’ এরপরই মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণা, ‘গতবার ৭০ হাজার টাকা করে পুজো কমিটিগুলিকে দেওয়া হয়েছিল। এবার অনুদান বাড়িয়ে করা হল ৮৫ হাজার টাকা। আগামী বছর পুজো কমিটিগুলি পাবেন ১ লক্ষ টাকা করে।’ এছাড়াও মমতা জানালেন, ‘গতবার বিদ্যুতের বিলের উপর ৬৬ শতাংশ ছাড় দেওয়া হয়েছিল। এবার তা বাড়িয়ে করা হল ৭৫ শতাংশ।’ শুধু তাই নয়, দমকল ও পুরসভার লাইসেন্স ফি মকুব, সরকারি বিজ্ঞাপন সহ আরও একাধিক সুযোগ-সুবিধা পাবে পুজো কমিটিগুলি। বস্তুত, গত কয়েক বছর ধরে মমতা সরকারের আর্থিক অনুদানে বন্ধ হয়ে যাওয়া পুজোগুলিতেও ‘প্রাণপ্রতিষ্ঠা’ হয়েছে। আর ছোট পুজোগুলি সরকারি সাহায্যে শামিল হয়েছে বিগ বাজেটের পুজোগুলির সঙ্গে থিমের লড়াইয়ে।
রাজ্যে ৪৩ হাজারের বেশি দুর্গাপুজো হয়। তার মধ্যে কলকাতায় দুর্গোপুজো হয় ২ হাজার ৭৯৩টি। রাজ্যে মহিলা পরিচালিত দুর্গোপুজোর সংখ্যা ২ হাজার ৪৭৯। প্রত্যেকটি পুজো কমিটির সঙ্গে পুলিস-প্রশাসনের সমন্বয়ের ভিত্তিতে উৎসব যাতে সুন্দর এবং আনন্দমুখর হয়ে ওঠে, সেই বার্তা দিয়েছেন রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধান। কীভাবে উৎসব দুর্ঘটনামুক্ত হতে পারে, সে সম্পর্কে প্রয়োজনীয় নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। সর্বাধিক গুরুত্ব? দর্শনার্থীদের প্রবেশ ও প্রস্থানে যাতে সমস্যা না হয়। কলকাতা, জেলা, রাজ্য পুলিসের কন্ট্রোল রুম ২৪ ঘণ্টা খোলা রাখা বাধ্যতামূলক। পুজো কমিটিগুলিকে হেলথ ক্যাম্প তো বটেই, হাসপাতালেও বেড, ডাক্তার, নার্স রাখতে হবে সর্বক্ষণ।
No comments