কচ্ছপ বাঁচাতে গিয়ে বনদপ্তরের হেল্পলাইনে ফোন করে খোয়ালেন লক্ষাধিক টাকা
বন্যপ্রাণ কচ্ছপ বাঁচাতে গিয়ে বনদপ্তরের হেল্পলাইন নম্বরে ফোন করে বিশাল অঙ্কের আর্থিক প্রতারণার শিকার হলেন হলদিয়ার দুর্গাচকের এক যুবক। অন্যদিকে, উজ্জ্বলা গ্যাসের…
কচ্ছপ বাঁচাতে গিয়ে বনদপ্তরের হেল্পলাইনে ফোন করে খোয়ালেন লক্ষাধিক টাকা
বন্যপ্রাণ কচ্ছপ বাঁচাতে গিয়ে বনদপ্তরের হেল্পলাইন নম্বরে ফোন করে বিশাল অঙ্কের আর্থিক প্রতারণার শিকার হলেন হলদিয়ার দুর্গাচকের এক যুবক। অন্যদিকে, উজ্জ্বলা গ্যাসের ভর্তুকি পাইয়ে দেওয়ার নাম করে ব্যাঙ্কিং নথির ডিটেল জেনে নিয়ে সুতাহাটার এক ব্যক্তির টাকা হাতিয়ে নিয়েছে প্রতারকরা। সাইবার প্রতারকদের খপ্পরে পড়ে হলদিয়ার দুর্গাচক ও সুতাহাটা থানা এলাকায় দুই ব্যক্তির অ্যাকাউন্ট থেকে প্রায় ২লক্ষ ৩০ হাজার টাকা গায়েব হয়ে গিয়েছে। পুলিস জানিয়েছে, দুর্গাচকের বাসুদেবপুর এলাকার গিরিশমোড়ের বাসিন্দা দেবাশিস কুমার আদক সাইবার প্রতারকদের ফাঁদে পড়ে ১লক্ষ ৮০ হাজার টাকা খুইয়েছেন বলে অভিযোগ দায়ের করেছেন। তিনি বাড়ির পাশে একটি কচ্ছপ দেখতে পেয়ে সেটি বাঁচানোর জন্য বন দপ্তরের হেল্পলাইনে ফোন করেন। ওই সময় অপরিচিত এক ব্যক্তি তাঁকে একটি অ্যাপ লিঙ্ক পাঠান। আবেদন জানানোর আগে অনলাইনে ২টাকা পেমেন্ট করার পরামর্শ দেন। ওইসময় অ্যাপের মাধ্যমে পেমেন্ট করার পর দেবাশিসকে তাঁর ডেবিট কার্ড স্ক্যান করে পাঠাতে বলে। একই সঙ্গে ফোনে আসা মেসেজগুলিও শেয়ার করতে নির্দেশ দেয়। কিছুক্ষণের মধ্যেই দেবাশিস তাঁর মোবাইলে পর পর দু'টি ওটিপি এবং দুটি ট্রানজাকশনের মেসেজ পান। মেসেজ দেখেই দেবাশিসের চক্ষু চড়কগাছ। তাঁর অ্যাকাউন্ট থেকে পর ৯০ হাজার করে মোট ১লক্ষ ৮০ হাজার টাকা গায়েব হয়ে গিয়েছে মুহূর্তেই। তিনি সঙ্গে সঙ্গে তাঁর অ্যাকাউন্ট নম্বর ফ্রিজ করেন। এদিকে, সুতাহাটা থানা সূত্রে জানা গিয়েছে, সুতাহাটার রঘুনাথপুরের বাসিন্দা তপন মাইতি গ্যাসের ভর্তুকি পেতে গিয়ে সাইবার প্রতারকদের খপ্পরে পড়ে ৪৯ হাজার ৬০০ টাকা খুইয়েছেন বলে অভিযোগ দায়ের করেছেন। তপনের মায়ের একটি উজ্জ্বলা গ্যাস রয়েছে, তার মায়ের নামে ভর্তুকি টাকা রয়েছে বলে একটি অপরিচিত নাম্বার থেকে ফোন আসে। ফোন রিসিভ করার পর তপনকে বলা হয় ইন্টারনেট চালু করে ভিডিও কলে কথা বলতে এরপর ওই প্রতারকের নির্দেশমতো ওটিপি শেয়ার করেই ফাঁদে পড়েন তপন। তার অ্যাকাউন্ট মুহুর্তেই ফাঁকা করে দেয় বলে অভিযোগ। তদন্তে নেমেছেন সুতাহাটা থানার পুলিশ।
No comments