জমি জবরদখলের অভিযোগ পেয়ে জমি জরিপে তৎপর হয়েছে মহিষাদল ব্লক ভূমি ও ভূমি রাজস্ব দপ্তরমহিষাদল রাজবাড়ির জমি জবরদখলের অভিযোগ পেয়ে জমি জরিপে তৎপর হয়েছে মহিষাদল ব্লক ভূমি ও ভূমি রাজস্ব দপ্তর । গত শনিবার থেকে এই জরিপির কাজ শুরু হয়ে…
জমি জবরদখলের অভিযোগ পেয়ে জমি জরিপে তৎপর হয়েছে মহিষাদল ব্লক ভূমি ও ভূমি রাজস্ব দপ্তর
মহিষাদল রাজবাড়ির জমি জবরদখলের অভিযোগ পেয়ে জমি জরিপে তৎপর হয়েছে মহিষাদল ব্লক ভূমি ও ভূমি রাজস্ব দপ্তর । গত শনিবার থেকে এই জরিপির কাজ শুরু হয়েছে । ব্লক ভূমি ও ভূমি সংস্কার আধিকারিক বিপত্তারণ কোণার সহ ৬ সদস্যের প্রশাসনিক দল এই জমি জরিপের কাজ করছে । রাজবাড়ী চত্বরে বিস্তীর্ণ এলাকায় জমি জবরদখল হচ্ছে বলে দীর্ঘদিনের অভিযোগ । কোথাও রেস্তোর, হোটেল, খাবারের দোকান, স্টেশনারি দোকান ইত্যাদি গজিয়ে উঠছে । রাজবাড়ীর অনুমতি না নিয়েই এমন সমস্ত কারবার চলছে বলে ইতিমধ্যে সরব হয়েছেন স্থানীয় মানুষের একাংশ । অভিযোগ পেয়ে নড়েচড়ে বসেছে স্থানীয় ব্লক প্রশাসন ।
জানা গিয়েছে, রাজবাড়ীর বেশ কিছু জমি রাজ্য সরকারের এক্তিয়ারভুক্ত । সেই খাসজমির ৬৩. ০৩ শতাংশ রাজ্য পর্যটন দপ্তরের অধীনে রয়েছে বলে জানা গিয়েছে । তবে এই জমি বিতর্কে উষ্মা প্রকাশ করেছেন রাজবাড়ীর বর্তমান সদস্য সৌর্য প্রসাদ গর্গ । তিনি বলেন,"এই খাস জমি কোথায় কতটা সরকারের , আর কোথায় আমাদের রাজবাড়ীর জমি সেই বিষয়টি আজও পর্যন্ত পরিষ্কার নয় । সরকারের তরফে যে জমি নেওয়া হয়েছে বলা হচ্ছে, তার আজও পর্যন্ত সীমানা চিহ্নিত করা হয়নি । আমরা এই জমি জোটলতা বিতর্ক যাতে না হয়, তাই বিষয়টিতে পরিষ্কার থাকতে চাই । সরকারের তরফে জমি চিহ্নিত করা হোক ।" রাজবাড়ী ইচ্ছে এতদিনে বুঝি পূরণ হতে চলেছে । সরকারের তরফে সেই জমি চিহ্নিতকরণের কাজ শুরু হয়েছে । মহিষাদল ব্লকের বিডিও বরুনাশিস সরকার জানিয়েছেন,"নবান্নের ঘোষণা অনুযায়ী ইতিমধ্যে পূর্ব মেদিনীপুর জেলা জুড়ে এক নম্বর খতিয়ানের জমি চিহ্নিতকরণের কাজ শুরু হয়েছে । মহিষাদল রাজবাড়ি চত্বরে জমি বেদখলের অভিযোগ পাওয়ার পর সেই জায়গায় জমি জরিপের কাজে আমরা বিশেষ জোর দিয়েছি । সেই কাজ চলছে ।" জানা গিয়েছে গত সাত দিন ধরে ব্লক ভূমি দপ্তরের আধিকারিকরা একের ওপর এক প্লট চিহ্নিতকরণের কাজ শুরু করেছেন । মহিষাদল ব্লক ভূমি ও ভূমি সংস্কার আধিকারিক বিপত্তারণ কোণার জানিয়েছেন,"গত ছয় দিন লাগাতার ভাবে মহিষাদল রাজবাড়ির চত্তরের জমি জরিপের কাজ হয়েছে । রাজবাড়ী চত্বরে এখন অনেক জায়গায় জরিপের কাজ চলবে । আম্রকুঞ্জ এলাকায় এপর্যন্ত আটটি প্লটে জরিপের কাজ হয়েছে । এখনো পর্যন্ত জবরদখলের কোন প্রমাণ পাওয়া যায়নি ।" স্থানীয় মানুষের দাবি, মহিষাদল রাজ কলেজের পাশে কেলেন পাড় সংলগ্ন এলাকায় জবরদখল রয়েছে । জমি জরিপে তা স্পষ্ট হয়ে যাবে । চলছে জরিপের কাজ । আগামী দিনে জানা যাবে মহিষাদল রাজবাড়ির চত্বরে জবরদখল সত্যিই আছে কিনা । বাস্তবে জবরদখল থাকলে তা যে কোনভাবেই আপোস করা হবে না । জবরদখলকারিকে প্রথমত নিজের দায়িত্বে তা সরিয়ে ফেলার নির্দেশ দেওয়া হবে । অন্যথা হলে প্রশাসনের তরফে ভেঙ্গে গুড়িয়ে দেওয়া হবে বলে প্রশাসনিক কর্তাদের বক্তব্যে স্পষ্ট জানা গিয়েছে ।
No comments