Page Nav

HIDE

Grid Style

GRID_STYLE

Post/Page

Weather Location

Breaking News:

latest

রাধার মানভঞ্জনে ফলমূল, পোলাও, পায়েস, মিষ্টি উপহার পাঠালেন গোপালজিউ

রাধার মানভঞ্জনে ফলমূল, পোলাও, পায়েস, মিষ্টি উপহার পাঠালেন গোপালজিউরাধার মানভঞ্জনে ফলমূল, পোলাও, পায়েস, মিষ্টি উপহার পাঠালেন গোপালজিউ। এই উপলক্ষ্যে শুক্রবার সকাল থেকেই মহিষাদলে গোপালজিউর মাসিরবাড়ি গুণ্ডিচাবাটিতে সাজ সাজ রব। তবে ঝম…

 

রাধার মানভঞ্জনে ফলমূল, পোলাও, পায়েস, মিষ্টি উপহার পাঠালেন গোপালজিউ

রাধার মানভঞ্জনে ফলমূল, পোলাও, পায়েস, মিষ্টি উপহার পাঠালেন গোপালজিউ। এই উপলক্ষ্যে শুক্রবার সকাল থেকেই মহিষাদলে গোপালজিউর মাসিরবাড়ি গুণ্ডিচাবাটিতে সাজ সাজ রব। তবে ঝমঝমিয়ে বৃষ্টির জন্য উদ্যোক্তারা খানিকটা চিন্তায় ছিলেন। বেলার দিকে ঘনকালো মেঘ সরিয়ে রোদের দেখা মিলতেই হাঁফ ছেড়ে বাঁচেন সকলে। গোপালজিউর কল্যাণে রোদ উঠেছে বলেই বিশ্বাস ভক্তদের। ভক্ত ও দর্শানার্থীদের আনন্দে সার্থক হয়ে ওঠে রাধা ও গোপালজিউর মিলনের উৎসব ‘মেলান ভার’। মহিষাদলের ঐতিহ্যবাহী রথযাত্রা উৎসবে রাজবাড়ির এই রীতি খুবই আকর্ষণীয়। উৎসবের ষষ্ঠ দিনে গোপালজিউ মানভঞ্জনের জন্য উপহার পাঠান রাধাকে। শ্রীকৃষ্ণকে গোপালজিউ রূপে পুজো করে রাজপরিবার। তিনি মহিষাদল রাজবাড়ির কুলদেবতা। তাঁকে ঘিরেই মহিষাদলে রথযাত্রা উৎসব হয়। তাই প্রথমে রথে চড়েন গোপালজিউ এবং পরে ওঠেন জগন্নাথদেব। 

রাজবাড়ি সূত্রে জানা যায়, রথের সময় গোপালজিউ রাধাকে মন্দিরে একা রেখে মাসিরবাড়ি যাত্রা করেন। কৃষ্ণবিরহে অভিমান হয় রাধার। ওইসময় তৃতীয় দিনের মাথায় রাধা ফলের খোসা ও সব্জির খোসা ঝুড়িতে করে গোপালজিউর কাছে মাসিরবাড়ি গুণ্ডিচাবাটিতে পাঠিয়ে দেন। রাধার কষ্টের খবর পেয়ে গোপালজিউর মন চঞ্চল হয়ে ওঠে। শ্রীরাধাকে তুষ্ট করতে ছ’দিনের মাথায় দূতযোগে ফলমূল ও পোলাও পাঠান গোপালজিউ। বিশেষ তত্ত্বাবধানে হয় সেই রান্না। রুপোর থালায় রঙিন মখমল কাপড়ে ঢেকে বেতের ঝুড়ির বাঁকে করে রাধার কাছে পৌঁছয় সেই উপহার। সেই বার্তা গুণ্ডিচাবাটিতে এসে পৌঁছনোর পর ভোগ গ্রহণ করেন গোপালজিউ। 

রাজবাড়ির প্রবীণ কর্মচারী স্বপন চক্রবর্তী বলেন, মেলান ভার আসলে একটি মিলনের অনুষ্ঠান। মিলন ভার থেকেই অপভ্রংশ হয়ে মেলান ভার হয়েছে। মেলান ভারের পাশাপাশি রথের শেষে গোপালজিউ যখন মন্দিরে ফেরেন, সেদিনও রাধার মানভঞ্জনের একটি অনুষ্ঠান হয়। 

ওই প্রবীণ রাজকর্মী বলেন, গোপালজিউর প্রিয় খাবার হল নটেশাকের তরকারি। মন্দিরে ভোগ তো বটেই, রথের সময় মাসিরবাড়িতে গোপালজিউর মেনুতে নটেশাক ভাজা বা তরকারি আবশ্যক। সেইসঙ্গে প্রিয় খাবার পায়েস ও পনিরের নানা পদ থাকে। একসময় রাজবাড়িতে গোপালজিউর ছানা ও পনির তৈরির জন্য বিশাল গোশালা ছিল। সেখানে ৫০টি গোরু ও মহিষ থাকত। তাদের দুধ থেকেই তৈরি হতো পনির। রথের শেষে রাজবাড়িতে জনসাধারণকে দোভাজি খাওয়ানো হতো। দোভাজি হল গাওয়া ঘিয়ে দু’বার করে স্পেশাল করে ভাজা মিহিদানা। থানার পাশে মহেন্দ্র মণ্ডলের দোকান থেকে আসত সেই দোভাজি। এখন সেসব অতীত হয়ে গিয়েছে। শুক্রবার মাসিরবাড়িতে গোপালজিউর মেলান ভার বা মিলনের অনুষ্ঠান উপলক্ষ্যে বিশাল ভোগের আয়োজন করেছিল মাসিরবাড়ি রথ কমিটি। কমিটির অন্যতম কর্মকর্তা বিধায়ক তিলক চক্রবর্তী বলেন, এদিন প্রায় চার হাজার ভক্ত ও পুণ্যার্থীকে ভোগপ্রসাদ বিতরণ করা হয়েছে। বিশেষ প্যাকেটের ব্যবস্থাও ছিল।

No comments