এবার মোদিরও ‘দুয়ারে সরকার’
বছর দুয়েক আগেই কেন্দ্র পুরস্কৃত করেছিল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ‘দুয়ারে সরকার’ কর্মসূচিকে। এবার লোকসভা নির্বাচনে ৪০০ পারের স্বপ্ন মুখ থুবড়ে পড়তেই বাংলার মুখ্যমন্ত্রীর মস্তিষ্কপ্রসূত সেই প্রকল্পকে আঁকড়ে ধরল…
এবার মোদিরও ‘দুয়ারে সরকার’
বছর দুয়েক আগেই কেন্দ্র পুরস্কৃত করেছিল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ‘দুয়ারে সরকার’ কর্মসূচিকে। এবার লোকসভা নির্বাচনে ৪০০ পারের স্বপ্ন মুখ থুবড়ে পড়তেই বাংলার মুখ্যমন্ত্রীর মস্তিষ্কপ্রসূত সেই প্রকল্পকে আঁকড়ে ধরলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তৃতীয়বার ক্ষমতায় ফিরে মোদি সরকার ঘোষণা করল সেই সিদ্ধান্ত— এবার থেকে সরকারি অফিসের চৌহদ্দির বাইরে এসে ক্যাম্প করে পরিষেবা দেওয়া হবে। একেবারেই ‘দুয়ারে সরকার’ প্রকল্পের ধাঁচে চলবে সেই ক্যাম্প। তবে আলাদা নামে। মোদি সরকারের এই কর্মসূচির নাম দেওয়া হয়েছে ‘জন চৌপাল’। জনগণের সামনে সরকারি প্রকল্প ও তার সুবিধাগুলি তুলে ধরতেই এই উদ্যোগ। কর্মসূচিটির দায়িত্বে থাকছে ভারতীয় ডাক বিভাগ। আপাতত দেশে পাঁচ হাজার ক্যাম্প করার লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছে। তবে সেখানে শুধু প্রচার চলবে। ‘দুয়ারে সরকার’-এর মতো সেখান থেকে সরকারি প্রকল্পে নাম নথিভুক্ত করার আবেদন জানানো যাবে কি না, তা স্পষ্ট নয়।
তৃতীয়বারের জন্য রাজপাটে এসে প্রতিটি মন্ত্রককে স্বল্পমেয়াদী পরিকল্পনা তৈরি করতে বলেছিলেন নরেন্দ্র মোদি। আগামী ১০০ দিনে মন্ত্রকগুলি কোন কোন কাজ করবে, সেই ফর্দও দিতে বলা হয়। তার পরিপ্রেক্ষিতে ডাকবিভাগ জানিয়েছে, আগামী ১০০ দিনে পাঁচ হাজার ‘জন চৌপাল’ আয়োজন করা হবে। ক্যাম্পগুলির ঠিকানা মূলত গ্রামে। প্রান্তিক এলাকায় যাতে কেন্দ্রীয় প্রকল্পের প্রচার ও সুবিধা পৌঁছায়, সেই কাজেই উদ্যোগী হবে ডাক বিভাগ। পাশাপাশি তুলে ধরা হবে পোস্ট অফিসের নিজস্ব পরিষেবাগুলির কথা। সেগুলির মধ্যে অন্যতম স্বল্প সঞ্চয় প্রকল্প, ডাক জীবন বিমা প্রকল্প, ডাক ও পার্সেল পরিষেবা, ডাকটিকিট, গঙ্গাজল, দেশের নানা প্রান্তের বিভিন্ন মন্দিরের প্রসাদ বিক্রি। এছাড়া আয়ুষ্মান ভারত, পিএম কিষান সম্মান নিধি, গরিব কল্যাণ যোজনা, জনধন যোজনা, অটল পেনশন যোজনা, প্রধানমন্ত্রী জীবন জ্যোতি বিমা যোজনা, মুদ্রা যোজনা, বিশ্বকর্মা স্কিমের সুবিধা কীভাবে পাওয়া যেতে পারে, সেই সম্পর্কে সাধারণ মানুষকে অবগত করা হবে।
এর আগে দুয়ারে সরকারের ধাঁচে পরিষেবা দেওয়া শুরু করেছিল শ্রমমন্ত্রক। তাতে ভালো সাড়া মিলেছে। তবে এবার কেন্দ্রের এই সিদ্ধান্তে ক্ষুব্ধ ডাক বিভাগের কর্মী-অফিসারদের একাংশ। কারণ, তাঁদের ফরমান দেওয়া হয়েছে, প্রত্যেককে নিজেদের সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্টে ‘জন চৌপাল’ উদ্যোগের প্রচার করতে হবে। ব্যক্তিগত পরিসরে কেন সরকারের মাহাত্ম্য প্রচার? প্রশ্ন কিন্তু উঠছে।
No comments