হলদিয়া পৌরসভার উদ্যোগে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি
হলদিয়া পৌরসভার উদ্যোগে চলছে হলদিয়া পৌর এলাকায় ২৯ টি ওয়ার্ডে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি । হলদিয়া সৃষ্টি স্টেডিয়াম বাড়ঘাসীপুর মৌজায় বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি গ্রহণ করেছেন হলদিয়া পৌরসভা।এজন্য প্রা…
হলদিয়া পৌরসভার উদ্যোগে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি
হলদিয়া পৌরসভার উদ্যোগে চলছে হলদিয়া পৌর এলাকায় ২৯ টি ওয়ার্ডে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি । হলদিয়া সৃষ্টি স্টেডিয়াম বাড়ঘাসীপুর মৌজায় বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি গ্রহণ করেছেন হলদিয়া পৌরসভা।এজন্য প্রায় ৩০ লক্ষ টাকার বাজেট ধরা হয়েছে। সূত্রে জানা গিয়েছে, ন্যাশনাল ক্লিন এয়ার প্রোগ্রাম (এনক্যাপ) কর্মসূচির অর্থে ওই প্রকল্প বাস্তবায়িত হবে। জানালেন হলদিয়া পৌরসভার পৌর প্রশাসক সুপ্রভাত চ্যাটার্জী।
হলদিয়ার প্রশাসনের কাছে দূষণ ও জবরদখল ঠেকানো এখন সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে উঠেছে। গত দু›দশকে শহরে বায়ুদূষণ মাত্রা ছাড় হয়েছে। ২০১০ সালে দূষণের কারণে হলদিয়া শিল্পাঞ্চলের উপর কেন্দ্রের পরিবেশগত মরিটরিয়াম বা নিষেধাজ্ঞা জারি হয়েছিল। দূষণের মাত্রা এতটাই বেড়েছিল যে, নতুন শিল্প স্থাপনের ছাড়পত্র মেলেনি ২০১৩ সাল পর্যন্ত। পরে শর্ত সাপেক্ষে নিষেধাজ্ঞা উঠলেও পরিস্থিতি তেমন বদলায়নি বলে পরিবেশকর্মীদের দাবি। শহরে বায়ুদূষণে নিয়মিত নজরদারির জন্য ডিজিটাল পলিউশন ডিসপ্লে বোর্ড লাগিয়েছে পুরসভা। হলদিয়ায় সবচেয়ে বেশি দূষিত এলাকা হল রানিচক, সিটি সেন্টার, দুর্গাচক, চিরঞ্জীবপুর। শুধু দূষণ নয়, সবচেয়ে বেশি জবরদখলও ওই এলাকাগুলিতেই। বন্দর, পুরসভা ও হলদিয়া উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের শতাধিক একর জমি দখল হয়ে গিয়েছে ওই এলাকাগুলিতে। সিটি সেন্টার এলাকায় পুরসভার গুরুত্বপূর্ণ জমি জবরদখল করে গত কয়েক বছরে বহিরাগতদের বসানো হয়েছে বলে অভিযোগ। শাসকদলের নেতাদের প্রত্যক্ষ মদতে ওই কাজ হচ্ছে বলে রাজ্যের কাছে অভিযোগও জমা পড়েছে।
পুরসভার পড়ে থাকা ২ একর জমিতে আম কাঁঠালের বাগান তৈরি করছি। বিভিন্ন জাতের আড়াই হাজার আম ও ৫০০ কাঁঠাল সব মিলিয়ে তিন হাজার গাছের বাগান তৈরি হচ্ছে। এর চারপাশে পারিখা থাকবে যাতে কেউ গাছ নষ্ট না করে। বাগিচার মাঝখানে রেস্টুরেন্ট থাকবে। সিটি সেন্টার এলাকায় শহরের সমস্ত অফিস, স্কুল, নলেজ সিটি, হোটেল, আবাসন রয়েছে। দূষণের মাত্রাও খুব বেশি পাশে কারখানা থাকায়। তাই কয়েক হাজার দেশি গাছের বাগান গড়ে গ্রিন শেল্টার বেল্ট তৈরি করা হচ্ছে বলে জানান পুর প্রশাসক।
No comments