Page Nav

HIDE

Grid Style

GRID_STYLE

Post/Page

Weather Location

Breaking News:

latest

সরকারি ভবনে বিদ্যুতের খরচ নিয়ন্ত্রণ করতে ১৬ দফা নির্দেশিকা পাঠালেন হল নবান্ন

সরকারি ভবনে বিদ্যুতের খরচ নিয়ন্ত্রণ করতে ১৬ দফা নির্দেশিকা পাঠালেন হল নবান্ন 
সরকারি ভবনে বিদ্যুতের খরচ নিয়ন্ত্রণ করতে ১৬ দফা নির্দেশিকা পাঠানো হল নবান্ন থেকে। রাজ্যের মুখ্যসচিব বি পি গোপালিকা এই নির্দেশিকা সব দপ্তরকে পাঠিয়েছেন।…

 


সরকারি ভবনে বিদ্যুতের খরচ নিয়ন্ত্রণ করতে ১৬ দফা নির্দেশিকা পাঠালেন হল নবান্ন 


সরকারি ভবনে বিদ্যুতের খরচ নিয়ন্ত্রণ করতে ১৬ দফা নির্দেশিকা পাঠানো হল নবান্ন থেকে। রাজ্যের মুখ্যসচিব বি পি গোপালিকা এই নির্দেশিকা সব দপ্তরকে পাঠিয়েছেন। সরকারি ভবনে বিদ্যুৎ খরচ কীভাবে কমাতে হবে, তার খুঁটিনাটি জানানোর পাশাপাশি রাস্তার আলো কতক্ষণ জ্বলবে (বিকেল সাড়ে ৫টা থেকে পরের দিন ভোর সাড়ে ৫টা পর্যন্ত), তাও পুরসভা-পঞ্চায়েতগুলিকে  নির্দিষ্ট করে দেওয়া হয়েছে।  ওই সময়ের পর রাস্তার আলো যাতে বন্ধ হয়ে যায়, তার জন্য স্বয়ংক্রিয় ব্যবস্থা রাখার কথা বলা হয়েছে। সব সরকারি ভবনে এসব কাজের জন্য একজন করে নোডাল অফিসার নিযুক্ত করতে বলা হয়েছে। সরকারি নির্দেশিকা ঠিকমতো পালিত হচ্ছে কি না, সেদিকে কড়া নজর রাখবেন তিনি। নির্দেশিকায় আরও বলা হয়েছে, বিদ্যুৎ খরচ কমানোর জন্য অফিসগুলিতে প্রশিক্ষিত কর্মী তৈরি করা হবে। তাঁদের জন্য বিশেষ প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করবে বিদ্যুৎ দপ্তর। মুখ্যসচিবের চিঠিতে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, এই নির্দেশিকা সব সরকারি দপ্তর ছাড়াও সরকারি সাহায্যপ্রাপ্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, সরকারি সংস্থা, স্বয়ংশাসিত সংস্থা, পুরসভা-পঞ্চায়েতের মতো সংস্থার ভবনের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে। 

তবে বিশেষ কয়েকটি ক্ষেত্রে এই নিয়ন্ত্রণে ছাড় দেওয়া হয়েছে। নিরাপত্তাজনিত কারণে এই ছাড় কোন কোন জায়গায় প্রযোজ্য হবে, তাও নির্দিষ্ট করে দেওয়া হয়েছে। সম্প্রতি কয়েকটি প্রশাসনিক বৈঠকে সরকারি অফিসগুলিতে বিদ্যুতের অপচয় নিয়ে সোচ্চার হন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যেপাধ্যায়। এ ব্যাপারে প্রশাসনকে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেন তিনি। মুখ্যসচিবের চিঠির শুরুতেই কেন বিদ্যুতের অপচয় বন্ধ করা জরুরি, তা উল্লেখ করা হয়েছে। সরকারি ভবনে যেসব ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে, তার মধ্যে অন্যতম হল টিফিনের সময় ও ছুটির পরে পাখা, আলো সহ অন্যান্য বৈদ্যুতিক উপকরণ বন্ধ করে দিতে হবে। জানালার কাছে ও অন্য যেসব জায়গায় পর্যাপ্ত আলো রয়েছে, সেখানে আলো জ্বালিয়ে রাখা যাবে না। জানলা দিয়ে বাতাস ঢোকার পথ না আটকে যায়, সেটা দেখতে হবে। এতে পাখার ব্যবহার কমানো যাবে। দিনের বেলাতেই কাজ শেষ করে ফেলার লক্ষ্য রাখতে হবে। যখন কাজ হচ্ছে না, তখন কম্পিউটার, এয়ারকন্ডিশনার প্রভৃতি বন্ধ রাখতে হবে। এয়ারকন্ডিশনার চলার সময় তাপমাত্রা ২৫ ডিগ্রিতে রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বন্ধ করার সময় মেইন সুইচ ব্যবহার করতে বলা হয়েছে। এলইডি আলো ও আইএসআই সার্টিফিকেট প্রাপ্ত ইলেকট্রিক উপকরণ ব্যবহার করে বিদ্যুতের খরচ কমানোর পরামর্শও দেওয়া হয়েছে নির্দেশিকায়। সৌর বিদ্যুতের ব্যবহার বাড়ানোর পরামর্শও দেওয়া হয়েছে। সরকারি ভবনের ছাদে সোলার প্যানেল বসানো, জরুরি প্রয়োজনে সৌর লণ্ঠন ব্যবহারের নির্দেশও দিয়েছে নবান্ন। 

No comments