জেলায় জেলায় ক্যান্সার পরীক্ষার জন্য বায়োপসি শুরু হয়েছেআর কথায় কথায় পাঁচ থেকে ১০ হাজার টাকা অ্যাম্বুল্যান্স খরচ করে, কাজের দিন নষ্ট করে কলকাতা বা বড় শহরে আসার দরকার নেই। এই রাজ্যের জেলায় জেলায় ক্যান্সার পরীক্ষার জন্য বায়োপসি শুরু …
জেলায় জেলায় ক্যান্সার পরীক্ষার জন্য বায়োপসি শুরু হয়েছে
আর কথায় কথায় পাঁচ থেকে ১০ হাজার টাকা অ্যাম্বুল্যান্স খরচ করে, কাজের দিন নষ্ট করে কলকাতা বা বড় শহরে আসার দরকার নেই। এই রাজ্যের জেলায় জেলায় ক্যান্সার পরীক্ষার জন্য বায়োপসি শুরু হয়েছে। বেসরকারি কোনও সংস্থা থেকে এই পরীক্ষা করাতে খরচ পড়ে দুই থেকে তিন হাজার টাকা। রাজ্যের বিভিন্ন জেলা হাসপাতাল এবং মেডিক্যাল কলেজে তা হচ্ছে সম্পূর্ণ বিনামূল্যে। সোমবার স্বাস্থ্যদপ্তর সূত্রে এই খবর জানা গিয়েছে।
দপ্তর সূত্রে খবর, ২০২৩ সালে এই কর্মসূচি বাস্তবায়িত করার পরিকল্পনা হয়। ধাপে ধাপে চার থেকে পাঁচ ধরনের যন্ত্র আনার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। বিশেষজ্ঞরা যোগ দেন। সেই কাজ সম্পূর্ণ হয়ে এখন বায়োপসি পরীক্ষা শুরু হয়ে গিয়েছে জেলাগুলিতে। ক্যান্সার আক্রান্তদের দুর্দশা ঘোচাতে জেলায় জেলায় রোগনির্ণয় ও চিকিৎসার পরিকাঠামো গড়ে তোলার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল স্বাস্থ্যদপ্তর। নেওয়া হয়েছিল নয়া কর্মসূচি। নাম ‘ডিস্ট্রিক্ট ক্যান্সার কেয়ার প্রোগ্রাম’। তার অন্যতম সদস্য এনআরএস মেডিক্যাল কলেজের রেডিওথেরাপি’র প্রধান অধ্যাপক ডাঃ শ্রীকৃষ্ণ মণ্ডল বলেন, ‘আমরা ইতিমধ্যেই জেলাস্তরেই বায়োপসি করার কাজ শুরু করে দিতে পেরেছি। তাতে মানুষের টাকা, সময় দুই বাঁচছে। ঘোরাঘুরি এবং ভোগান্তিও কমেছে। এছাড়া ক্যান্সার চিকিৎসার পরিকাঠামোও আগের থেকে অনেক শক্তিশালী হয়েছে।’ স্বাস্থ্যদপ্তর সূত্রে খবর, ৩৮ জায়গায় শুরু হয়েছে বায়োপসি করার কাজ। এর মধ্যে ২৪টি মেডিক্যাল কলেজ এবং ১৪টি জেলা হাসপাতাল রয়েছে। বায়োপসি করার পরিকাঠামো তৈরির জন্য দরকার ছিল প্যাথোলজিস্ট, ল্যাবরেটরি টেকনোলজিস্টের মতো কর্মী এবং মাইক্রোটোমের মতো যন্ত্রপাতির। ধাপে ধাপে সবগুলিরই ব্যবস্থা করেছে স্বাস্থ্যদপ্তর। তারপর এই কর্মসূচি বাস্তবায়িত করার কাজ শুরু হয়েছে।
রোগ নির্ণয় ছাড়া জেলাস্তরে এই প্রকল্প চালুর লাভ কী? এক সিনিয়র ক্যান্সার বিশেষজ্ঞ বলেন, এতে প্রথমত কাঁড়ি কাঁড়ি টাকা খরচ করে বড় শহরে আসা কমবে। দ্বিতীয়ত, বায়োপসি রিপোর্ট দেখে জেলাতেই কেমোথেরাপি দেওয়া শুরু করা যাচ্ছে। তৃতীয়ত, ‘রে’ দেওয়ার দরকার পড়লে (বড় হাসপাতাল) পাঠিয়ে দেওয়া হচ্ছে জেলারই রেডিওথেরাপি দেওয়ার পরিকাঠামো থাকা মেডিক্যাল কলেজে বা হাবে। যেমন উত্তরবঙ্গে এই পরিকাঠামো রয়েছে দুই সরকারি জায়গায়। মালদহ এবং উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজে। এর মধ্যে মালদহে রয়েছে পুরনো প্রযুক্তির কোবাল্ট মেশিন। তাতে চিকিৎসা আশানুরূপ না হলে তখন রেফার করা হচ্ছে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যালে। ফলে রোগীদের ছোটাছুটিও কমছে।
No comments