Page Nav

HIDE

Grid Style

GRID_STYLE

Post/Page

Weather Location

Breaking News:

latest

ভারতে পাচার হয়ে চাইল্ড ওয়েলফেয়ার সেন্টারে থাকা ১৩ শিশু/কিশোরীকে দেশে ফিরিয়ে আনা হল

ভারতে পাচার হয়ে চাইল্ড ওয়েলফেয়ার সেন্টারে থাকা ১৩ শিশু/কিশোরীকে দেশে ফিরিয়ে আনা হল

সৈয়দ খায়রুল আলম, আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ  ভারতে পাচার হয়ে চাইল্ড ওয়েলফেয়ার সেন্টারে থাকা ১৩ শিশু কিশোর কিশোরীকে দেশে ফিরিয়ে এনে পরিবারের কাছে হস্তান্তর…

 




ভারতে পাচার হয়ে চাইল্ড ওয়েলফেয়ার সেন্টারে থাকা ১৩ শিশু/কিশোরীকে দেশে ফিরিয়ে আনা হল



সৈয়দ খায়রুল আলম, আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ  ভারতে পাচার হয়ে চাইল্ড ওয়েলফেয়ার সেন্টারে থাকা ১৩ শিশু কিশোর কিশোরীকে দেশে ফিরিয়ে এনে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। 

ভালো কাজের প্রলোভনে মিথ্যা আশ্বাসে ভারতে পাচার হয়ে যাওয়া ১৩ বাংলাদেশি নারী ও শিশুকে বেনাপোল সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশে ফেরত পাঠিয়েছে ভারতীয় পুলিশ। ১ থেকে ২ বছর পর দেশে ফিরেছে তারা। ট্রাভেল পারমিটের মাধ্যমে হস্তান্তর করে। মঙ্গলবার বিকালে ভারতের পেট্রাপোল চেকপোস্ট দিয়ে বেনাপোল চেকপোস্ট ইমিগ্রেশন পুলিশের কাছে তাদের হস্তান্তর করা হয়। এদের মধ্যে ৭ জন কিশোরী ও শিশু রয়েছে। ফেরত আসা কিশোর কিশোরী হলো— আব্দুল্লাহ আল মামুন, সোহাগ, তামিম, চন্দিনা, খালেদ, রিয়া, জান্নাত, দিয়া, বৃষ্টি, অনিকুস, চাঁদনী। এরা গোপালগঞ্জ, যশোর, বাগেরহাট, খুলনা, সাতক্ষিরা, লালমনিরহাট, পিরোজপুর, পটুয়াখালী, ময়মনসিংহ, মুন্সিগঞ্জ ও ঢাকা জেলার অধিবাসী।

বেনাপোল ইমিগ্রেশন ওসি জানান, বিভিন্ন সময়ে ভারতে পাচার হয়ে যায় তারা। পরে তাদের ঠাঁই হয় ভারতের পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন চাইল্ড ওয়েলফেয়ার শেল্টারে। অবৈধ অনুপ্রবেশের অভিযোগে ভারতীয় পুলিশ তাদের আটক করে শেল্টারহোমে পাঠায়। ২ থেকে ৩ বছর পর দুদেশের কাগজপত্রের আনুষ্ঠানিকতা শেষে ফেরত পাঠানো হয় বাংলাদেশে।

বেনাপোল পোর্ট থানা থেকে জাস্টিস অ্যান্ড কেয়ার,পাচারের শিকার মানব উদ্ধার ও শিশু সুরক্ষা সংস্থা, বাংলাদেশ মহিলা আইনজীবী সমিতির মাধ্যমে তাদের পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয় বলে জানান ডিউটি অফিসার মো হাফিজুর রহমান। 

মানব পাচার প্রতিরোধ নিয়ে কাজ করা সংগঠন পাচারের শিকার মানব উদ্ধার ও শিশু সুরক্ষা সংস্থার চেয়ারম্যান কবি সৈয়দ খায়রুল আলম জানান বিভিন্ন অঞ্চলে পাচারকারী চক্র নিরীহ পরিবারের দুর্বলতার সুযোগ নিয়ে এই চক্র সক্রিয় থেকে ফুসলিয়ে ভারতে পাচার করে আসছে। পুলিশের কাছে ধরা পড়লে তাদের জীবনে বেঁচে থাকে এবং মানবিক সংগঠন, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় হাইকমিশন অফিসের সহযোগিতায় নানান প্রক্রিয়ায় যাচাই-বাছাই শেষে তাদের দেশে ফিরিয়ে এনে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়। এটা একটা জটিল প্রক্রিয়ায় বাস্তবায়ন হলেও আরোও সহজ পদ্ধতিতেও  একাজটি বাস্তবায়ন করা সম্ভব। এ ধরনের মানবিক কাজে ভারতে নিযুক্ত হাইকমিশন অফিসের অনেক দুর্বলতা রয়েছে, তারা আরো আন্তরিক হলে অনেক সহজে হাজার হাজার শিশু কিশোর, নারী পুরুষদের বিভিন্ন জেলখানা ও চাইল্ড ওয়েলফেয়ার সেন্টার থেকে তাদের দেশে ফিরিয়ে আনা সম্ভব হবে।


No comments