Page Nav

HIDE

Grid Style

GRID_STYLE

Post/Page

Weather Location

Breaking News:

latest

আদালতের নির্দেশ, এখন থেকে বদলির আবেদন অফলাইনেই বিবেচনা করতে হবে প্রাথমিক শিক্ষাদপ্তরকে

আদালতের নির্দেশ, এখন থেকে বদলির আবেদন অফলাইনেই বিবেচনা করতে হবে প্রাথমিক শিক্ষাদপ্তরকে
 প্রাথমিক শিক্ষকদের বদলির জট কাটল অবশেষে। উৎসশ্রী পোর্টাল বন্ধ থাকলে শিক্ষক বদলিও আটকে থাকবে—এই যুক্তি গ্রহণযোগ্য বলে মনে করেনি কলকাতা হাইকোর্…

 


আদালতের নির্দেশ, এখন থেকে বদলির আবেদন অফলাইনেই বিবেচনা করতে হবে প্রাথমিক শিক্ষাদপ্তরকে


 প্রাথমিক শিক্ষকদের বদলির জট কাটল অবশেষে। উৎসশ্রী পোর্টাল বন্ধ থাকলে শিক্ষক বদলিও আটকে থাকবে—এই যুক্তি গ্রহণযোগ্য বলে মনে করেনি কলকাতা হাইকোর্ট। তাই আদালতের নির্দেশ, এখন থেকে বদলির আবেদন অফলাইনেই বিবেচনা করতে হবে প্রাথমিক শিক্ষাদপ্তরকে। তমন্না বেগম নামে এক শিক্ষিকার বদলি সংক্রান্ত মামলার সূত্রে সোমবার এই নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট। শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু বলেছেন, ‘আদালতের রায় না দেখে কিছু বলতে পারব না। তবে আমার মনে হয়, বদলি প্রক্রিয়াটি দপ্তরের হাতে না রেখে সবার সামনে স্বচ্ছভাবেই হওয়া ভালো।’ অনেকে মনে করেন, অফলাইনে শিক্ষক বদলির প্রক্রিয়া চললে তা অনেকাংশে দপ্তরের নিয়ন্ত্রণাধীন হয়ে পড়বে। অনলাইন পোর্টালের মাধ্যমে হলে কী হচ্ছে না হচ্ছে, সবটাই সবার সামনে থাকে। প্রসঙ্গত, পূর্বতন শিক্ষামন্ত্রীর আমলে বদলি নিয়ে বহু অভিযোগ উঠেছিল দপ্তরের বিরুদ্ধে। ব্রাত্যবাবু সেদিকেই ইঙ্গিত করেছেন বলে ওয়াকিবহাল মহলের ধারণা।

২০২২ সালের ২৯ সেপ্টেম্বর থেকে উৎসশ্রী পোর্টাল বন্ধ থাকায় প্রাথমিক শিক্ষকদের বদলি নিয়ে জট তৈরি হয়েছিল। এই নির্দেশের ফলে তার সমাধান হল বলে মনে করছে শিক্ষক মহল। আদালত সূত্রে জানা গিয়েছে, মামলাকারী তমন্না বেগম প্রায় তিন বছর উত্তর দিনাজপুরের একটি প্রাথমিক স্কুলে কর্মরত। তিনি নিজে থ্যালাসেমিয়া আক্রান্ত। আদালতে তিনি দাবি করেন, তাঁর বছর পাঁচেকের মেয়ে শ্বাসকষ্টজনিত রোগে ভুগছে। তাই তিনি বীরভূমে নিজের বাড়ির কাছে বদলি চেয়ে আবেদন করেছিলেন। এদিন বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার এজলাসে তাঁর আইনজীবী দাবি করেন, পোর্টাল বন্ধ বলে বাধ্য হয়ে তমন্না শিক্ষাদপ্তরের কাছে বদলির জন্য লিখিত আবেদন করেন। সেই আবেদন খারিজ হয়ে যায়। উপায় না পেয়ে আদালতের দ্বারস্থ হন ওই শিক্ষিকা। অনলাইনে বদলির আবেদনের পক্ষে সওয়াল করতে গিয়ে আগে উল্লিখিত যুক্তিগুলিই তুলে ধরেন রাজ্যের আইনজীবী। পোর্টাল বন্ধ থাকায় আবেদন গ্রহণ সম্ভব নয় বলে জানান তিনি। শিক্ষাদপ্তরের তরফে জানানো হয়, বিভিন্ন মামলার জেরে স্কুল সার্ভিস কমিশনের অনুরোধে পোর্টাল বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। চলতি বছরের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত পোর্টাল বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত হয়েছে বলেও রাজ্য জানায় আদালতে।  

সব পক্ষের বক্তব্য শোনার পর বিচারপতি মান্থা প্রশ্ন তোলেন, কোনও কারণে যদি অনলাইনে বদলির আবেদন বন্ধ থাকে, তাহলে অফলাইনে তা কার্যকর করতে অসুবিধা কোথায়? বহু শিক্ষক-শিক্ষিকা গুরুতর সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছেন। সেই সঙ্গে বিচারপতি পর্যবেক্ষণে জানান, বদলির ক্ষেত্রে উৎসশ্রী পোর্টাল বন্ধ থাকার যুক্তি আর কার্যকর হবে না। তাঁর নির্দেশ, এখন থেকে প্রাথমিকের সব বদলির আবেদন শিক্ষা দপ্তরকে অফলাইনে বিবেচনা করতে হবে। মামলাকারীর আবেদনও বিবেচনা করার নির্দেশ দিয়েছে আদালত। এই নির্দেশের ফলে মাধ্যমিক বা উচ্চ মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষকদের তরফেও বদলির দাবিতে মামলা হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। উল্লেখ্য, এর আগেও শিক্ষাদপ্তরের তরফে দফায় দফায় উৎসশ্রী পোর্টাল বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত হয়েছিল। বারবার এভাবে পোর্টাল বন্ধ রাখা নিয়ে সমালোচনায় মুখর হয়েছে শিক্ষক সংগঠনগুলি। শুধুমাত্র পরিকল্পনার অভাবে এই ধরনের সমস্যা বাড়ছে বলে তোপ দেগেছে তারা।

No comments