হাইকোর্টের নির্দেশ থাকা সত্ত্বেও বেআইনি দখলদার সরানোর কাজ করছে না জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষ!

হাইকোর্টের নির্দেশ থাকা সত্ত্বেও বেআইনি দখলদার সরানোর কাজ করছে না জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষ!নবান্নে পুলিশ ও অফিসারদের ধমক খাওয়ার পর কি নড়েচড়ে বসবে পুলিশ প্রশাসন.. দখল মুক্ত হবে? ভাঙ্গা কি হবে ব্রজলালচক হাইরোড মোড়...হাইকোর্টের নির…

 

হাইকোর্টের নির্দেশ থাকা সত্ত্বেও বেআইনি দখলদার সরানোর কাজ করছে না জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষ!

নবান্নে পুলিশ ও অফিসারদের ধমক খাওয়ার পর কি নড়েচড়ে বসবে পুলিশ প্রশাসন.. দখল মুক্ত হবে? ভাঙ্গা কি হবে ব্রজলালচক হাইরোড মোড়...

হাইকোর্টের নির্দেশ থাকা সত্ত্বেও বেআইনি দখলদার সরানোর কাজ করছে না জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষ । পুলিশ প্রশাসন, যার ফলে দুর্ঘটনার ঝুঁকি থেকেই যাচ্ছে হলদিয়া-কোলাঘাট ১১৬ নম্বর জাতীয় সড়ক ছুঁয়ে যাওয়া হলদিয়ার ব্রজলালচক মোড়ে । দুর্ঘটনার উদ্বেগ প্রকাশ করে ক্ষুব্ধ এলাকার মানুষজন । সারা রাজ্যজুড়ে পুলিশ এবং অফিসারদের মধ্যে একটা গ্রুপ বানিয়ে নিয়েছে যেখানে সরকারি জায়গা দেখছে সেখানেই বসিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছে এমনই মন্তব্য করলেন নবান্নে প্রশাসনিক সভায় মুখ্যমন্ত্রী। তাহলে কি এবার প্রশাসনের টনক নড়বে?

        প্রসঙ্গত,  চলতি বছরের ২৩ ফেব্রুয়ারি কলকাতা হাইকোর্ট ব্রজলালচক মোড় থেকে বেআইনি দখলদার সরানোর নির্দেশ দেয় জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষকে । তাতে বলা হয়েছিল তিন সপ্তাহের মধ্যে দখলদার মুক্ত করতে হবে ওই ব্যস্ত মোড় থেকে । কিন্তু সেই সময় লোকসভা ভোটের প্রসঙ্গ টেনে নিজেদের অক্ষমতা জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষ সেই কাজ করতে পারছে না । বাড়তি সময় চেয়ে ভোটের পরেই তারা সেই কাজে হাত দেওয়া হবে বলে আদালতকে জানিয়ে দেয় ।  ভোট পর্ব চলে গিয়েছে । কিন্তু জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষের দায়িত্ব পালনে কোনো হেলদোল নেই । এমন অভিযোগ করেছেন স্থানীয় বহু বাসিন্দা  । স্থানীয় বাসিন্দা  হলদিয়া পঞ্চায়েত সমিতির প্রাক্তন শিক্ষা কর্মাধ্যক্ষ আলোক রঞ্জন দাস জানিয়েছেন,"হলদিয়া শিল্প তালুকের প্রবেশের ব্রজলালচক মোড় সিংহ দুয়ার বলা যায় । এখানে চারটি রাস্তা একসঙ্গে মিশেছে । এই চৌমাথা মোড়ে সিগন্যাল সিস্টেম ঠিক ঠাক নেই । বাসস্ট্যান্ডে বাস না দাঁড়িয়ে যেখানে সেখানে দাঁড়িয়ে যায়। তার জন্য গত এক বছরে ছয় জন ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে এই মোড়ে  । মোড় ঘেঁষে, ফুটপাথ দখল করে ব্যবসা চালাচ্ছে কিছু মানুষ । ঘিঞ্জি পরিবেশ তৈরি হয়েছে । হেঁটে চলা দায় হয়ে পড়েছে এলাকায় । যে কারণে দুর্ঘটনার বেড়েছে । এটা জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষের দেখা উচিত ।" জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষের উদাসীনতাকে কোনভাবেই সমর্থন করছেন না এলাকার সংখ্যাধিক্য মানুষ । স্থানীয় হলদিয়া ব্লকের পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতিপঞ্চায়েত সমিতির সভানেত্রী মৌমিতা ঘোড়াই প্রধান জানিয়েছেন,"আদালতের নির্দেশকে মান্যতা দেওয়া মূলত জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষের দায়িত্ব । দখলদার মুক্ত করে ব্রজলালচক মোড়কে সুন্দর রূপ দেয়া হোক এটা আমরা চাই ।" স্থানীয় বাজার কমিটির সদস্য প্রশান্ত মণ্ডল এবং সনাতন মাইতি স্থানীয় শিক্ষক ও সদস্য মিহির দাস, হলদিয়া পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য চন্দন সামন্ত ,এছাড়া হলদিয়া কোর্টের আইনজীবী এবং হলদিয়া পঞ্চায়েত সমিতির পূর্ত খাদ্য কর্মাধ্যক্ষ সামীম আখতার জানিয়েছেন,"প্রশাসনিক তরফে আমরা জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষকে তাদের কাজে সহযোগিতা করতে প্রস্তুত আছি । কিন্তু তারা নিষ্ক্রিয় থাকলে আমাদের কিছু করার নেই ।"বিশেষ সূত্রে জানা যায়,  জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষের তরফে ম্যানেজার অজিত সিং জানিয়েছেন,"আমাদের কাছে আদালত অর্ডার করেছে শুনেছি । দেখছি কি করা যায় ।"এই জাতীয় সড়কের গা ঘেঁষে রয়েছে রাধামনি, নিমতৌড়ি, খঞ্চি,নন্দকুমার চৌমাথা মোড়, কাপাসেড়্যা , বাড়সুন্দরা এলাকায় দখলদার সরিয়ে পরিচ্ছন্ন পরিবেশ তৈরি করা হয়েছে । ব্রজলালচক মোড় কবে এমন রূপ পাবে সেই অপেক্ষায় স্থানীয় মানুষজন । নবান্নে প্রশাসনিক সভায় যেভাবে পুলিশ এবং অফিসারদের উদ্দেশ্যে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন সেই অনুযায়ী যদি প্রশাসনিক কাজ হয় তাহলে বদলে যাবে পূর্ব মেদিনীপুর জেলার হলদিয়ার উন্নয়নের চিত্র।