Page Nav

HIDE

Grid Style

GRID_STYLE

Post/Page

Weather Location

Breaking News:

latest

মোদি-শাহের সভার জন্য কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের পাঠানো টাকা নয়ছয় করা হয়েছে

মোদি-শাহের সভার জন্য কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের পাঠানো টাকা নয়ছয় করা হয়েছে।’ লোকসভা ভোটে শোচনীয় পরাজয়ের ৭২ ঘণ্টার মধ্যেই সরব হয়েছিলেন কৃষ্ণনগরের গেরুয়া প্রার্থী অমৃতা রায়। এবার বঙ্গ বিজেপির একাধিক জয়ী এমপি এবং পরাজিত প্রার্থীদের গলাতেও …

 



মোদি-শাহের সভার জন্য কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের পাঠানো টাকা নয়ছয় করা হয়েছে।’ লোকসভা ভোটে শোচনীয় পরাজয়ের ৭২ ঘণ্টার মধ্যেই সরব হয়েছিলেন কৃষ্ণনগরের গেরুয়া প্রার্থী অমৃতা রায়। এবার বঙ্গ বিজেপির একাধিক জয়ী এমপি এবং পরাজিত প্রার্থীদের গলাতেও শোনা গেল সেই এক অভিযোগ। জানা গিয়েছে, সদ্য সমাপ্ত লোকসভা ভোটের প্রচারে বাংলায় ২৩টি জনসভা করেছেন নরেন্দ্র মোদি। সঙ্গে খাস কলকাতার বুকে মেগা রোড-শো। তাতেই খরচ হয়েছে মোট ২০ কোটি টাকা। কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের পক্ষ থেকেই পাঠানো হয়েছিল ওই বিপুল পরিমাণ অর্থ। তার একটা বড় অংশ নয়ছয় করা হয়েছে বলে অভিযোগ। এব্যাপারে আঙুল উঠেছে শীর্ষস্থানীয় নেতাদের দিকে। বুধবারই রাজ্যকে দেওয়া টাকার হিসেব নিতে কলকাতায় এসেছিল দিল্লির এক প্রতিনিধিদল। তাদের সামনে ‘বোমা’ ফাটিয়েছেন কয়েকজন এমপি।

ভোটে পরাজিত এক প্রাক্তন এমপি’র দাবি, গত ২০ মে তমলুকে নরেন্দ্র মোদির সভা ছিল। কিন্তু আবহাওয়া খারাপ থাকায় তিনি সভাস্থলেই পৌঁছতে পারেননি। তমলুকের সেই ‘ভার্চুয়াল সভা’তেও খরচ হয়েছে ৮৪ লাখ টাকা। সম্প্রতি ওই সভার জন্য রাজ্য নেতৃত্বের কাছে বাড়তি ১৫ লাখ টাকা দাবি করেন এক প্রভাবশালী নেতা। অর্থাৎ সশরীরে না গেলেও প্রধানমন্ত্রীর ওই সভায় জন্য প্রায় ১ কোটি টাকা খরচ হয়েছে। সূত্রের খবর, হাত তুলে দিয়েছে রাজ্য বিজেপি।  সাফ জানানো হয়েছে, আর টাকা দেওয়া যাবে না। তা নিয়ে ওই নেতার ঘনিষ্ঠদের সঙ্গে রাজ্য নেতৃত্বের একাংশের মনোমালিন্যও শুরু হয়েছে।

বঙ্গ বিজেপির সংগঠনের দায়িত্বে থাকা গুটিকয়েক নেতার মাধ্যমে বিলি করা হয়েছিল ওই বিপুল পরিমাণ অর্থ। প্রধানমন্ত্রীর প্রতিটি সভার জন্য বরাদ্দ ছিল গড়ে ৭৫ লাখ টাকা। তবে কয়েকটি লোকসভা কেন্দ্রের জন্য বাড়তি অর্থও দেওয়া হয়। বরাদ্দ অর্থের সিংহভাগ ব্যয় করার কথা ছিল সভাস্থলের প্যান্ডেল, দর্শক ছাউনি (হ্যাঙ্গার) তৈরি, লোক নিয়ে আসা ও খাওয়া-দাওয়া খাতে। এপ্রসঙ্গে এক জয়ী এমপি জানিয়েছেন, ওই টাকা চুরি হয়েছে। রাজ্যের পাশাপাশি জেলা নেতৃত্বের একটা অংশ এতে জড়িত। কেননা, সভাপিছু ৭৫ লাখ টাকার সিংহভাগই পাঠানো হয়েছিল জেলা নেতৃত্বকে। ক্লাস্টার-ইনচার্জরা দায়িত্বে ছিলেন। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই প্রার্থীদের অন্ধকারে রেখে টাকা খরচ হয়েছে। হিসেব চাইলে কপালে জুটেছে গালমন্দ-অপমান। 

প্রধানমন্ত্রী বাংলায় প্রায় দু’ডজন রাজনৈতিক কর্মসূচিতে অংশ নিলেও গতবারের তুলনায় বিজেপির আসন হাফ ডজন কমে গিয়েছে। তা নিয়ে দলীয় এমপিদের মধ্যেই গুঞ্জন চরমে। ঘনিষ্ঠ মহলে তাঁরা আলোচনা করছেন, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে ‘সাইড’ করে এ রাজ্যে প্রচারের সব আলো কেড়ে নিয়েছিলেন মোদি। কিন্তু তাতে কাজ কিছু হয়নি। এক্ষেত্রে বর্তমান রাজ্য নেতৃত্বের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। কারণ, তাদের পাঠানো রিপোর্টের ভিত্তিতেই বাংলার সম্ভাব্য জেতা আসনের তালিকা তৈরি করেছিলেন মোদি-শাহরা। স্বপ্নভঙ্গের পর প্রধানমন্ত্রীর সভার টাকা চুরির ঘটনা বঙ্গ বিজেপিতে নয়া সঙ্কট তৈরি করল।

No comments