Page Nav

HIDE

Grid Style

GRID_STYLE

Post/Page

Weather Location

Breaking News:

latest

স্কুল শিক্ষকদের যোগ্যতা জানার অধিকার রয়েছে সকলেরই, তথ্য আপলোডের নির্দেশ হাইকোর্টের

স্কুল শিক্ষকদের যোগ্যতা জানার অধিকার রয়েছে সকলেরই, তথ্য আপলোডের নির্দেশ হাইকোর্টের
‘স্কুলে শিক্ষকরা যে বিষয় পড়াচ্ছেন, সে বিষয়ে তাঁর যোগ্যতা কী, ছাত্রছাত্রী-অভিভাবক সহ সকলেরই তা জানার অধিকার আছে। বহু শিক্ষক-শিক্ষিকা পর্যাপ্ত যোগ্যত…

 




স্কুল শিক্ষকদের যোগ্যতা জানার অধিকার রয়েছে সকলেরই, তথ্য আপলোডের নির্দেশ হাইকোর্টের


‘স্কুলে শিক্ষকরা যে বিষয় পড়াচ্ছেন, সে বিষয়ে তাঁর যোগ্যতা কী, ছাত্রছাত্রী-অভিভাবক সহ সকলেরই তা জানার অধিকার আছে। বহু শিক্ষক-শিক্ষিকা পর্যাপ্ত যোগ্যতা না থাকা সত্ত্বেও স্কুলে পড়াচ্ছেন বলে অভিযোগ আসছে। তাই প্রত্যেকের যোগ্যতা সরকারি পোর্টালে আপলোড করতে হবে।’ ভুয়ো শিক্ষক সংক্রান্ত একটি মামলায় বৃহস্পতিবার এমনই মন্তব্য করেছেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু। শুধু তাই নয়, শিক্ষক-শিক্ষিকাদের যোগ্যতা সহ একাধিক তথ্য আগামী দু’সপ্তাহের মধ্যেই ‘বাংলার শিক্ষা’ পোর্টালে আপলোড করতে হবে বলে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। মুর্শিদাবাদের গোথা হাইস্কুলে ভুয়ো শিক্ষক সংক্রান্ত মামলার সূত্রে বিচারপতি বসু এই নির্দেশ দিয়েছেন। শিক্ষাগত যোগ্যতার পাশাপাশি সংশ্লিষ্ট শিক্ষক কত দিন চাকরি করছেন, কবে অবসর নেবেন ইত্যাদি তথ্যও দু’সপ্তাহের মধ্যে পোর্টালে তুলে দিতে হবে। সেই সঙ্গে রাজ্যের কোন স্কুলে কোন বিষয়ের কতজন শিক্ষক রয়েছেন, তাও আপলোডের নির্দেশ দিয়েছে আদালত।

ভুয়ো শিক্ষক নিয়োগ সংক্রান্ত এই মামলায় সিআইডিকে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিল বিচারপতি বসুর সিঙ্গল বেঞ্চ। গোথা হাইস্কুল ছাড়া রাজ্যের আর কোন কোন স্কুলে ভুয়ো শিক্ষক রয়েছেন, তা খুঁজে বার করতে বলা হয় সিআইডিকে। তদন্তে নেমে চাঞ্চল্যকর তথ্য হাতে পায় সিআইডি। বিভিন্ন জেলায় একাধিক ভুয়ো শিক্ষকের খোঁজ মেলে। সেই মামলারই শুনানি ছিল এদিন। 

বিচারপতির ওই নির্দেশের পর রাজ্যের পোর্টালে তথ্য প্রকাশে কিছুটা সময় চায় রাজ্য। রাজ্যের তরফে আইনজীবী বিশ্বব্রত বসু মল্লিক বলেন, ‘সমস্ত স্কুলের শিক্ষক-শিক্ষিকাদের তথ্য জোগাড় করতে অন্তত দু’মাস সময় লাগবে।’ কিন্তু এই আবেদন পত্রপাঠ খারিজ করে দেন বিচারপতি বসু। বলেন, ‘এত ধীর গতিতে চললে হবে না। আরও দ্রুত কাজ করতে হবে। বহু শিক্ষক চার থেকে পাঁচ বছর চাকরি করছেন, কিন্তু কোনও নিয়োগপত্রই নেই বলে তথ্য আসছে। আর দেরি করা যাবে না। কারা স্কুলে চাকরি করছেন, সেটা সকলের জানা প্রয়োজন।’

এর পাশাপাশি, নির্বাচনের কারণে পঠনপাঠন ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে শুনে উষ্মা প্রকাশ করেন বিচারপতি। তাঁর মন্তব্য, ‘দেশে প্রতি বছর দু’-তিনটি করে নির্বাচন হচ্ছে। ভুগতে হচ্ছে গরিব ছাত্র-ছাত্রীদের। নির্বাচনের জন্য কেন আলাদা ভবন নির্মাণ করা হচ্ছে না?’ গত তিন-চারমাস স্কুলের ছাত্রছাত্রীরা মিড ডে মিল থেকে বঞ্চিত হচ্ছে শুনেও ক্ষুব্ধ হন বিচারপতি। 

শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতিকে কেন্দ্র করে বিস্তর জলঘোলা হয়েছে। একাধিক তদন্ত চলছে। এই আবহে আদালতের এই নির্দেশ যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছে বিশেষজ্ঞমহল। সমস্ত তথ্য প্রকাশিত হলে যাঁরা বেআইনিভাবে নিযুক্ত হয়েছেন, তাঁদের শনাক্ত করা সহজ হবে বলে মনে করা হচ্ছে।

No comments