নন্দীগ্রামে উদ্ধার হওয়া ২৮ টি বোমা নিষ্ক্রিয় করল পুলিশনন্দীগ্রামে বিজেপি কর্মীর বাড়ি থেকে একসঙ্গে ২৮ টি বোমা উদ্ধার হল । বৃহস্পতিবার ৬ ই জুন দুপুরে নন্দীগ্রাম দু'নম্বর ব্লকের টাকাপুরা গ্রামের বিজেপি কর্মী সুবোধ বেরার বা…
নন্দীগ্রামে উদ্ধার হওয়া ২৮ টি বোমা নিষ্ক্রিয় করল পুলিশ
নন্দীগ্রামে বিজেপি কর্মীর বাড়ি থেকে একসঙ্গে ২৮ টি বোমা উদ্ধার হল । বৃহস্পতিবার ৬ ই জুন দুপুরে নন্দীগ্রাম দু'নম্বর ব্লকের টাকাপুরা গ্রামের বিজেপি কর্মী সুবোধ বেরার বাড়ি থেকে এই বিপুল সংখ্যক বোমা উদ্ধার করেছে পুলিশের বোম স্কোয়াড । সেই সঙ্গে পাওয়া গিয়েছে বোমা তৈরির বেশ কিছু পরিমাণ মশলা । উদ্ধার হওয়া বোমা গুলিকে ঘটনাস্থল থেকে ১০ কিলোমিটার দূরে হুগলি নদীর পশ্চিম তীরে জেলিংহ্যামে নিষ্ক্রিয় করেছে বোম ক্সোয়াড । ঘটনায় পুলিশ বাড়ির মালিক সুবোধ বেরা এবং স্থানীয় খেজুরির জাহানাবাদ গ্রামের বিজেপি কর্মী সৌমজিৎ জানাকে গ্রেফতার করেছে ।এই ঘটনা ঘিরে তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায় । ঘটনাস্থলে রয়েছে পুলিশ পিকেট ।
বুধবার দুপুরে এই বাড়িতেই বোমা বিস্ফোরণ ঘটেছিল । স্থানীয় লোকজনের অভিযোগ বোমা বাঁধতে গিয়েই বিস্ফোরণ ঘটেছে । ঘটনায় জাহানাবাদ গ্রামের যুবক, বিজেপি কর্মী তপন ঢালি এবং টাকাপুরা গ্রামের বিজেপি কর্মীগোকুল বেরা জখম হয়েছিল ।বর্তমানে তারা তমলুকে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন বলে জানা গিয়েছে । খবর পেয়ে বুধবার দুপুরেই বিশাল পুলিশ বাহিনী ঘটনাস্থলে হাজির হয় । ঘিরে রাখে সুবোধ বেরার বাড়ি । বৃহস্পতিবার দুপুরে পুলিশের বোম স্কোয়াড ঘটনাস্থলে পৌঁছায় । তারা বাড়ির ছাদ থেকে উদ্ধার করে ২৮টি তাজা বোমা । এই ঘটনা প্রসঙ্গে স্থানীয় বিজেপি নেতা,তথা বিজেপির তমলুক সাংগঠনিক জেলার সহ-সভাপতি প্রলয় পাল জানিয়েছেন,"আমদাবাদ এলাকার তৃণমূল নেতা শেখ কাজেহার মল্লিকের নেতৃত্বে এটা নাটক করা হয়েছে । আমাদের কর্মীর বাড়িতে বোমা রেখে ফাঁসানো হয়েছে । এই ঘটনার সঙ্গে আমাদের কর্মীরা কোনভাবেই জড়িত নয় ।"পাল্টা প্রতিক্রিয়ায় স্থানীয় তৃণমূল কংগ্রেস নেতা কাজেহার মল্লিক বিজেপির দিকেই অভিযোগের আঙুল তুলেছেন । তিনি বলেন,"২০২৩ সালে পঞ্চায়েত ভোটে বিজেপি জিতে যাওয়ার পর থেকে মারদাঙ্গা, সন্ত্রাসের পরিবেশ তৈরি করেছে এলাকায় । মঙ্গলবার লোকসভা ভোট গণনার পর ওরা জয়ী হয়েছে । সেই আনন্দে বিরোধী তৃণমূল শিবিরকে টার্গেট করে নেয় । তৃণমূলের বেশ কিছু নেতা কর্মীকে বেছে বেছে ওরা মারধর জখমের পরিকল্পনা করেছিল । আর সেজন্যই ওরা গোপনে বোমা বাঁধার কাজ করেছিল । কিন্তু পাপীদের জন্য স্বয়ং আল্লাহর মার থাকে । ওদের তৈরি করা বোমা বিস্ফোরণ ঘটে ওরাই জখম হয়েছে । আর তা ঢাকতে বিজেপি নেতারা তৃণমূলের ঘাড়ে দোষ চাপাতে শুরু করেছে । এলাকার মানুষ প্রকৃত ঘটনা জানেন । এমন মিথ্যে কথা বলে কোন লাভ হবে না ।" তবে বাড়ির মধ্যে গোপনে যে বোমা বাধার কাজ চলেছিল সে বিষয়ে পুলিশ নিশ্চিত হয়েছে । হলদিয়ার এসডিপিও অরিন্দম অধিকারী এ বিষয়ে জানান,"বাড়ির মধ্যে বোমা থাকতে পারে তা ভেবেই আমরা বোম স্কোয়াড আনিয়েছি । এবং তদন্তে তা সত্যিই প্রমাণিত হলো । আমরা একসঙ্গে অনেক বোমা উদ্ধার করেছি । সেগুলি নদীর ধারে জিলিংহ্যামে নিষ্ক্রিয় করা হয়েছে । স্থানীয় মানুষের কাছ থেকে অভিযোগ পেয়ে এই ঘটনায় দু'জনকে আমরা গ্রেফতার করেছি । বাকিদের তল্লাশি চলছে ।" আমদাবাদের টাকাপুরা এলাকা এখন থমথমে অবস্থায় রয়েছে । বেশ কিছু বাড়ি পুরুষশূন্য । স্থানীয় মানুষের একাংশের দাবি যারা ঘর ছেড়ে পালিয়েছে, তারাই বোমা বাঁধা এবং বোমা বিস্ফোরণের ঘটনায় জড়িত ছিল । শেষমেশ পুলিশের জালে কতজন ধরা পড়ে, সেই চর্চ শুরু হয়েছে এলাকায় । ভোট পরবর্তী হিংসা পূর্ব মেদিনীপুর নন্দীগ্রাম বিধানসভা এলাকায় অব্যাহত?
No comments