জেলা বন্যা-ভাঙন প্রতিরোধ কমিটির পক্ষ থেকে পি.এইচ.ই./সেচ/প্রশাসনের বিভিন্ন আধিকারিকের নিকট স্মারকলিপি দেওয়া হয়
গঙ্গাখালি খালে পানীয়জল প্রকল্পের পাইপলাইন নিয়ে যাওয়ার জন্য থাম পোতায় জলনিকাশীতে বাধার অভিযোগ ; জেলা প্রশাসন,সেচ,পি.এইচ.ই…
জেলা বন্যা-ভাঙন প্রতিরোধ কমিটির পক্ষ থেকে পি.এইচ.ই./সেচ/প্রশাসনের বিভিন্ন আধিকারিকের নিকট স্মারকলিপি দেওয়া হয়
গঙ্গাখালি খালে পানীয়জল প্রকল্পের পাইপলাইন নিয়ে যাওয়ার জন্য থাম পোতায় জলনিকাশীতে বাধার অভিযোগ ;
জেলা প্রশাসন,সেচ,পি.এইচ.ই.দপ্তরে স্মারকলিপি
পূর্ব মেদিনীপুর জেলার তমলুক মহকুমার একটি গুরুত্বপূর্ণ নিকাশী খাল হোল-গঙ্গাখালি খাল। ওই খালের হরশংকর-গড়কিল্লা বাজার সংলগ্ন স্থানে পি.এইচ.ই. দপ্তর নিয়োজিত এক ঠিকাদার গত ৬ জুন থেকে পানীয় জল নিয়ে যাওয়ার জন্য পাইপলাইন তৈরির কাঠামো তৈরী করছে। যেভাবে কাঠামো তৈরী করছে ,তাতে খালের সমস্ত রকম আবর্জনা ওই কাঠামোতে আটকে বর্ষার সময় জলনিকাশী ভীষণভাবে ব্যাহত হবে।
অবিলম্বে ওই কাঠামো তৈরী বন্ধ সহ এমনভাবে কাঠামো তৈরী করতে হবে, যাতে খালের মুলস্রোতে কোন থাম না থাকে,সেইমত অতি সত্বর প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করার দাবী জানিয়ে আজ পূর্ব মেদিনীপুর জেলা বন্যা-ভাঙন প্রতিরোধ কমিটির পক্ষ থেকে পি.এইচ.ই./সেচ/প্রশাসনের বিভিন্ন আধিকারিকের নিকট স্মারকলিপি দেওয়া হয়।
কমিটির যুগ্ম সম্পাদক নারায়ণ চন্দ্র নায়ক অভিযোগ করেন, সেচ দপ্তরের ওই নিকাশী খাল দিয়ে কোলাঘাট ব্লকের দেড়িয়াচক, তমলুক ব্লকের নীলকুন্ঠা ও বল্লুক-২ গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রায় ২৫ টি মৌজার জলনিকাশী হয়। দীর্ঘদিন সংস্কারের অভাবে ওই খালটি মজে গিয়েছে। তার উপর খালে ঐ ধরনের কাঠামো তৈরী হলে এলাকার জলনিকাশী ভীষণভাবে বিঘ্নিত হবে। সেজন্য আজ উপরোক্ত দাবীতে জেলা শাসক/সেচ দপ্তরের একজিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ার/পি.এইচ.ই. দপ্তরের একজিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ারের নিকট স্মারকলিপি দেওয়া হয়েছে।
অবিলম্বে ওই বিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ না করা হলে কমিটি বৃহত্তর আন্দোলনে নামতে বাধ্য হবে বলে নারায়নবাবু জানান।
No comments