হলদিয়ার দুর্গাচকে ফের পার্কিং এলাকা থেকে আস্ত ট্রাক চুরি!
বন্দর শহর হলদিয়ায় দুর্গাচক টাউনের
ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্কিং থেকে ফের আস্ত একটি ট্রাক উধাও হল। ট্রাক মালিক দুর্গাচক থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন। তিন মাসের মধ্যে পরপর দু'টি ট্র…
হলদিয়ার দুর্গাচকে ফের পার্কিং এলাকা থেকে আস্ত ট্রাক চুরি!
বন্দর শহর হলদিয়ায় দুর্গাচক টাউনের
ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্কিং থেকে ফের আস্ত একটি ট্রাক উধাও হল। ট্রাক মালিক দুর্গাচক থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন। তিন মাসের মধ্যে পরপর দু'টি ট্রাক দুর্গাচকের পার্কিং এলাকায় উধাও হল। এতে এলাকার ব্যবসায়ীরা উদ্বিগ্ন।
হলদিয়ার বিভিন্ন শিল্প সংস্থা থেকে অন্যত্র পণ্য নিয়ে যাওয়ার সময় মাঝপথে পণ্য সহ ট্রাক উধাও হওয়ার ঘটনা আকছার ঘটে। দু'সপ্তাহ আগেই হলদিয়া থেকে আলিপুরদুয়ারে যাওয়ার পথে ট্রাক সহ ২৪ লক্ষ টাকার ভোজ্য তেল উধাও হয়ে গিয়েছে। তবে প্রায় তিন মাস আগে দুর্গাচকের পাতিখালি পার্কিং এলাকা থেকে একটি ট্রান্সপোর্ট সংস্থার ট্যাঙ্কার উধাও হয়ে যাওয়ায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছিল। অভিযোগ, ভেহিকেল জিপিআরএস ফাঁকি দিয়ে ওই ট্যাঙ্কার নিয়ে ড্রাইভার পালিয়ে যায়। এতদিন পরও ওই ট্যাঙ্কার ও ড্রাইভারের মেলেনি।
এবারও ঠিক একই কায়দায় দুর্গাচকে পার্কিং এরিয়া থেকে একটি ট্রাক উধাও হয়ে গিয়েছে। পুলিস জানিয়েছে, এই ট্রাকটি ব্যবসায়ী সৌমিত্র মণ্ডলের। তিনি দুর্গাচক থানার
দোরোজয়নগর এলাকার বাসিন্দা। দুর্গাচকে সিপিটি মার্কেট এলাকায় গ্যারেজের পাশে তাঁর ট্রাকটি রাখা ছিল। সৌমিত্রবাবু বলেন, ড্রাইভার বেলা ১১টা ৪৫ মিনিট নাগাদ ট্রাক পার্কিং করে গিয়েছিলেন। পরদিন সকাল সাড়ে ৫টা নাগাদ পার্কিং এলাকায় গিয়ে দেখেন, ট্রাক উধাও হয়ে গিয়েছে। পুলিস
ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। শহরের বাসিন্দাদের অভিযোগ, দুর্গাচক এলাকায়
একাধিক অপরাধী চক্র শিল্প সংস্থায় চুরি, ট্রাক, ট্যাঙ্কার বা পণ্য গায়েব করছে। কিছুদিন আগে একটি ব্যাটারি কোম্পানির জন্য আনা কয়েক লক্ষ টাকার কাঁচামাল ট্রাক থেকে চুরি করেছিল দুষ্কৃতীরা। ওই কাঁচামালের সামান্য কিছু অংশ উদ্ধার হলেও বাকিটা দুষ্কৃতীরা গায়েব করে দেয়। শহরজুড়ে ইদানীং বাইক চুরির ঘটনাও বাড়ছে। ভবানীপুর, দুর্গাচক ও হলদিয়া থানা এলাকায় বিকেল বা সন্ধ্যার দিকে বাইক চুরি হচ্ছে। দুষ্কৃতীরা শপিংমল, বাজার এলাকায় দাঁড়িয়ে থাকা বাইককে টার্গেট করছে। সিসিটিভি ক্যামেরা থাকা সত্ত্বেও তারা অবলীলায় চুরি করছে। শিল্পশহরে অপরাধ রুখতে পুলিস কড়া ব্যবস্থা নিক-এমনটাই চাইছেন বাসিন্দারা।
No comments