Page Nav

HIDE

Grid Style

GRID_STYLE

Post/Page

Weather Location

Breaking News:

latest

বন্য পশু শিকার বন্ধে তৎপর হলো রাজ্য বন বিভাগের পূর্ব মেদিনীপুর জেলা দপ্তর

বন্য পশু শিকার বন্ধে তৎপর হলো রাজ্য বন বিভাগের পূর্ব মেদিনীপুর জেলা দপ্তরআদিবাসীদের সেদরা পরবে(ফলহারিনী কালীপুজোয় ) উপলক্ষে বন্য পশু শিকার বন্ধে তৎপর হলো রাজ্য বন বিভাগের পূর্ব মেদিনীপুর জেলা দপ্তর । লোকায়ত তিথি অনুযায়ী ৫ জুন …

 





বন্য পশু শিকার বন্ধে তৎপর হলো রাজ্য বন বিভাগের পূর্ব মেদিনীপুর জেলা দপ্তর

আদিবাসীদের সেদরা পরবে(ফলহারিনী কালীপুজোয় ) উপলক্ষে বন্য পশু শিকার বন্ধে তৎপর হলো রাজ্য বন বিভাগের পূর্ব মেদিনীপুর জেলা দপ্তর । লোকায়ত তিথি অনুযায়ী ৫ জুন পাঁশকুড়ার ক্ষিরাইয়ের বেগুনবাড়ি গ্রামে এই সেদরা পরবের আয়োজন হয় । তার টানেই ঝাড়খন্ড, ঝাড়গ্রাম, পশ্চিম মেদিনীপুর,পুরুলিয়া, বাঁকুড়া‌ সহ জঙ্গলমহলের বিভিন্ন জায়গা থেকে আদিবাসী জনগোষ্ঠীর শিকারীরা পাঁশকুড়া এবং পার্শ্ববর্তী এলাকায় দলে দলে বন্য পশু শিকারে ভিড় করেন । বন্যপ্রাণ শিকার বন্ধ করতে তাই আগেভাগেই প্রচারে নেমে পড়েছেন বনদপ্তরের কর্মী আধিকারিকগণ । 

     বনদপ্তর সূত্রে জানা গেছে প্রতি বৎসর ফলহারিণী কালীপুজোর সময় পূর্ব মেদিনীপুরের বিভিন্ন জায়গায় মূলত পাঁশকুড়া ব্লকের ক্ষিরাই, হাউর, পাঁশকুড়া ও তার পার্শ্ববর্তী  বিভিন্ন জায়গায় প্রথাগত শিকারীদের শিকার করতে আসার প্রবণতা থাকে । এই প্রবণতা রুখতে বিভিন্ন বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের থেকে মহামান্য কলকাতা হাইকোর্টে জনস্বার্থ মামলা করা হয় ।  কলকাতা হাইকোর্টের আদেশ  অনুসারে বনদপ্তরের সাথে জেলা প্রশাসন, পুলিশ, রেল সকলে একত্রে সার্বিকভাবে বন্যপ্রাণ শিকার বন্ধের প্রচারাভিযান করা হয় । ২৭ মে থেকে শুরু হয়েছে প্রচার অভিযান । ইতিমধ্যে বিভিন্ন রেল স্টেশনে ভিডিও রেকর্ডিং করে বন্যপ্রাণ শিকার বন্ধের প্রচার চালানো হয়েছে । লিফলেট,ব্যানার, ফেস্টুনের মাধ্যমে জানানো হয়েছে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য । বাঘরোল, শেয়াল, ভাম, বাঁদর,হনুমান, গোসাপ, সাপ,ইঁদুর, কচ্ছপ, পাখি কোন কিছু বন্যপ্রাণকে শিকার তো দূরের কথা, কোনরকম বিরক্ত করা যাবে না । বাড়িতেও পোষ মানানো নিষেধ রয়েছে । ২০২২ সালের বন্যপ্রাণ নিয়ম অনুযায়ী বন্যপ্রাণ নিধনে সাত বছরের জেল, সেইসঙ্গে পাঁচ লাখ টাকা জরিমানা হতে পারে বলে সতর্ক করা হয়েছে । সেজন্য বিভিন্ন জায়গায় মাইকিং ,লিফলেট বিলি ইত্যাদি । শিকার রুখতে সুদূর ঝালদা, বরাবাজার, মানবাজার, আদ্রা, পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, ঝাড়গ্রাম প্রভৃতি রেলওয়ে স্টেশনে আগেই প্রচার চালানো হয়েছে । এবার খড়গপুর , ক্ষিরাই, হাউর, নন্দাইগাজন, নারায়ণ পাকুড়িয়া মুরাইল, ভোগপুর কোলাঘাট এবং মেচেদা স্টেশনে এবং ট্রেন গুলিতে ২৪ ঘন্টা নজরদারি চালানো হয় ।  বিভিন্ন সমষ্টি উন্নয়ন আধিকারিকদের তরফ থেকে রেলওয়ে এবং বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ রাস্তাতে নজরদারি রাখা হয় যাতে কোনরকম বন্যপ্রাণ শিকার যাতে কেউ না করতে পারে । এ ক্ষেত্রে বনদপ্তরকে সহায়তার জন্য এগিয়ে এসেছে বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা । এ বিষয়ে পূর্ব মেদিনীপুর ডিভিশনাল ফরেস্ট অফিসার (ডি এফ ও) সত্যজিৎ রায় জানিয়েছেন,"কোনভাবেই বন্যপ্রাণ নিধন করা যাবে না । বরং বন্যপ্রাণীর সুস্থ জীবন কামনা করে আমাদের সকলের যত্ন নেওয়া বাঞ্ছনীয় । ফলহারিনী কালীপুজো ও সেন্দ্রা পরব উপলক্ষে সফলভাবে শিকার বন্ধ করে দেওয়া গিয়েছে । চন্দ্রকোনা রোড, চাকুলিয়া, ঝাড়খন্ড প্রভৃতি স্থান থেকে আগত ২০০ র ও বেশি সশস্ত্র  শিকারী কে সফল ভাবে নিরস্ত্র করা গেছে । একটিও বন্যপ্রাণীর শিকার হয়নি ।" এই কর্মসূচির অঙ্গ হিসেবে বন দপ্তরের পাঁশকুড়া রেঞ্জ আধিকারিক মনীষা সাউয়ের তত্ত্বাবধানে গরু ছাগল মিলে ৮০০ পশুকে টিকাকরণ করা হয়েছে । পশুদের সুস্থতা কামনায় বনদপ্তরের এই উদ্যোগে সন্তুষ্ট এলাকার মানুষজন ।

No comments