২৫১ বছরের গঙ্গেশ্বর মন্দিরের পূর্ণার্থীদের ঢল....
কোভিড কাটিয়ে গত'বছর থেকে শুরু হয়েছে হলদিয়ার দেভোগ গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকা প্রাচীন গঙ্গেশ্বর জিউর মেলা ।হলদিয়ার ব্লকের বড়বাড়ি গ্ৰামে শুরু হল ২৫১ বৎসরের প্রাচীন গঙ্গেশ্বর জিউর মে…
২৫১ বছরের গঙ্গেশ্বর মন্দিরের পূর্ণার্থীদের ঢল....
কোভিড কাটিয়ে গত'বছর থেকে শুরু হয়েছে হলদিয়ার দেভোগ গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকা প্রাচীন গঙ্গেশ্বর জিউর মেলা ।হলদিয়ার ব্লকের বড়বাড়ি গ্ৰামে শুরু হল ২৫১ বৎসরের প্রাচীন গঙ্গেশ্বর জিউর মেলা।প্রত্যেক বছর এই মেলা ঘিরে মেতে ওঠেন ওই গ্ৰামের মানুষ সহ পাশাপাশি বহু গ্রামের মানুষ। হুগলি ও হলদি নদী থেকে পবিত্র গঙ্গাজল তুলে এনে বাবা গঙ্গেশ্বর জীউর মাথায় ঢালার জন্য আশপাশের বিভিন্ন গ্ৰামের মানুষ ভিড় জমায়। দশ দিন ধরে চলে এই মেলা। এই মেলা অক্ষয় তৃতীয়া দুদিন আগে থেকেই শুরু হয় ঝাঁপ নীল এবং চড়ক অক্ষয় তৃতীয়া মেলা অনুষ্ঠানিকভাবে শেষ হলেও কিন্তু গ্রামীণ মেলা হিসেবে প্রায় ১০ দিন ধরে চলে। জেলা ও জেলার বাইরে কলিকাতা থেকে বহু দোকানদার আছে তাদের পন্য সামগ্রী নিয়ে বিক্রি করার জন্য। ৮ মে সন্ধ্যে থেকে বহু পুর্নার্থী হুগলি নদী কুকড়াহাটি থেকে মহিষাদল গেঁওয়াখালি ত্রিবেণী সঙ্গম এবং হলদি নদী টাউনশিপ ও বালুঘাটা থেকে পবিত্র গঙ্গাজল আনায়ন করে বহু পূর্ণার্থী প্রায় কুড়ি কিলোমিটার হেঁটে পবিত্র গঙ্গাজল নিয়ে আসে বাবা গঙ্গেশ্বর শিব মন্দিরে। এছাড়া প্রায় ১৫ থেকে কুড়িটি গ্রামের বহু মানুষ ডাব দুধ নিয়ে আসে নীলের দিন বাবার মাথায় ধরার জন্য ব্রতী হয়ে থাকেন। বহু পুরনার্থীদের জন্য বহু ক্লাব সংস্থা তারা রাস্তায় ক্যাম্প করে যাহাতে রাস্তায় কোন অঘটন না ঘটে, তার জন্য সুতাহাটা, ভবানীপুর এবং হলদিয়া থানার কর্তব্যরত পুলিশ তারা রাস্তায় টহল দেয় । তারই সাথেই বিভিন্ন ক্লাব গ্রামের মানুষ ব্যক্তিগত উদ্যোগ নিয়েও অনেকে রাস্তার ধারে জলের বাঁক রাখার জন্য স্ট্যান্ড বানিয়ে দেয় ।জল বাতাস এবং ফলমূল নিয়ে রাস্তার ধারে বহু রাত্রি পর্যন্ত অপেক্ষা করে। পূর্ণার্থী দের সাহায্য করার জন্য। এবং মেলা প্রাঙ্গন বড়বাড়ী গঙ্গেশ্বর মন্দির ঘিরে বহু দোকান যেমন বসে ঠিক তেমনি ভাবে স্থানীয় গ্রাম, ক্লাব, বিভিন্ন সংস্থা তারাও জল দানের ব্যবস্থা করে। হলদিয়া জাগরণ মঞ্চের উদ্যোগে জল দান কর্মসূচি করে। প্রতিবছরের মতো এবারও তারা জল বাতাসার খাওয়ানোর উদ্যোগ নিয়েছিলেন হলদিয়া বন্দর ডিজিটাল অনলাইনে জানালেন সংস্থার অন্যতম সদস্য সুভাষ জানা তিনি বলেন, আমাদের সকল সদস্যরা প্রত্যেক বছরের মত আমাদের এই কর্মসূচি পালন করা হলো। ডালিম্বচক কলতলা ইয়ংস্টার ক্লাবের উদ্যোগে সারা রাত্রি ধরে জল বাতাসা এবং ফলমূল পুনার্থীদের দেওয়ার জন্য দাঁড়িয়েছিলেন রাস্তার ধারেই ক্লাবের সকল সদস্যরা। মন্দির পরিচালন কমিটির তরফ থেকে এবং স্থানীয় ভবানীপুর থানার পুলিশ মেলা এলাকায় আইন শৃঙ্খলা যাতে বিঘ্নিত না হয় কোন রকমের কোন অঘটন না ঘটে, তার জন্য স্বেচ্ছাসেবক এবং ভিলেজ পুলিশ ব্যবস্থা করেছিলেন এই মেলা চলবে আগামী আরো ৬ দিন ধরে। জানালেন মেলা কমিটির সভাপতি তপন মান্না।
No comments