প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগের মামলায় সুপ্রিম কোর্টে স্বস্তি প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ তথা পশ্চিমবঙ্গ সরকারের। বৃহস্পতিবার বিচারপতি হৃষীকেশ রায় এবং বিচারপতি প্রশান্তকুমার মিশ্রর বেঞ্চ সাফ জানিয়ে দিল, আগের নিয়োগ প্রক্রিয়ায় ফাঁকা পড়ে থাকা প…
প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগের মামলায় সুপ্রিম কোর্টে স্বস্তি প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ তথা পশ্চিমবঙ্গ সরকারের। বৃহস্পতিবার বিচারপতি হৃষীকেশ রায় এবং বিচারপতি প্রশান্তকুমার মিশ্রর বেঞ্চ সাফ জানিয়ে দিল, আগের নিয়োগ প্রক্রিয়ায় ফাঁকা পড়ে থাকা পদে ২০১৭ সালের টেট উত্তীর্ণদের নিয়ে কোনও ভুল করেনি রাজ্য। ২০২২ সালের নিয়োগ প্রক্রিয়ায় পর্ষদ এই পদক্ষেপ করেছিল। সুপ্রিম কোর্টের রায়ে খুশি রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। তিনি বলেন, আদতে সত্যের জয় হয়। প্রমাণ হল নিয়োগ নিয়ে রাজ্যের সিদ্ধান্তে কোনও ভুল ছিল না।
২০১৪ সালের টেট উত্তীর্ণ হওয়া সত্ত্বেও যাঁরা চাকরি পাননি, তাঁদের নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু হয় ২০২০ সালে। প্রাথমিক স্কুলে সহকারী শিক্ষকের শূন্যপদ ছিল ১৬ হাজার ৫০০। কিন্তু যোগ্যতার ভিত্তিতে নিয়োগ হয় ১২ হাজার ৫৭১ জন। অর্থাৎ ৩ হাজার ৯২৯টি পদ খালিই পড়েছিল। ২০১৭ সালে ফের টেট আয়োজিত হয়। সেই পরীক্ষায় উত্তীর্ণদের নিয়োগ প্রক্রিয়া পর্ষদ শুরু করে ২০২২ সালে। সেসময় রাজ্য ১১ হাজার ৭৬৫টি শূন্যপদ পূরণের সিদ্ধান্ত নেয়। এই সংখ্যার মধ্যে আগের ফাঁকা পড়ে থাকা ৩ হাজার ৯২৯টি পদও অন্তর্ভুক্ত করে পর্ষদ।
সেই সিদ্ধান্তের বিরোধিতায় মামলা হয় কলকাতা হাইকোর্টে। আদালত জানায়, ফাঁকা পড়ে থাকা ওই ৩ হাজার ৯২৯টি পদে ২০১৪ সালের টেট উত্তীর্ণদেরই নিতে হবে। সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন ২০১৭-র টেট উত্তীর্ণ প্রার্থী সাদেক বিশ্বাস সহ কয়েকজন। একইভাবে পর্ষদ যায় শীর্ষ আদালতে। অন্যদিকে, ২০১৪-র টেট উত্তীর্ণ প্রার্থী আলি হোসেন সহ কয়েকজনও পাল্টা মামলা করেন। এদিন শুনানিতে পর্ষদের পক্ষে আইনজীবী জয়দীপ গুপ্ত এবং কুণাল চট্টোপাধ্যায়রা সওয়াল করেন, নিয়োগবিধি মোতাবেক একটি প্যানেলের মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ার পর তা থেকে কাউকে নিয়োগ করা যায় না। তাই পরের নিয়োগ প্রক্রিয়ায় আগের ফাঁকা পড়ে থাকা পদকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। যদিও সেই যুক্তি মানতে চাননি ২০১৪ সালের টেট উত্তীর্ণদের আইনজীবী রউফ রহিম, সলমন খুরশিদরা। সাড়ে চার ঘণ্টা শুনানি শেষে সুপ্রিম কোর্ট জানিয়ে দেয়, পর্ষদের সিদ্ধান্ত বৈধ।
No comments