Page Nav

HIDE

Grid Style

GRID_STYLE

Post/Page

Weather Location

Breaking News:

latest

৪ ঠা জুন তমলুক লোকসভা কেন্দ্রে শেষ হাসি কে হাসবে?

৪ ঠা জুন তমলুক লোকসভা কেন্দ্রে শেষ হাসি কে হাসবে?অষ্টাদশ লোকসভা নির্বাচন তমলুক লোকসভা জায়ের চাবিকাঠি অন্তরঘাত? এবারে নির্বাচনে ভোটের ফলাফল নিয়ে চিন্তায় সব দলেরই ঘোলা জল মাছ ধরে শেষ হাসি হাসবে কে? লাখ টাকার এমন প্রশ্নের রীতিমতো…

 


৪ ঠা জুন তমলুক লোকসভা কেন্দ্রে শেষ হাসি কে হাসবে?

অষ্টাদশ লোকসভা নির্বাচন তমলুক লোকসভা জায়ের চাবিকাঠি অন্তরঘাত? এবারে নির্বাচনে ভোটের ফলাফল নিয়ে চিন্তায় সব দলেরই ঘোলা জল মাছ ধরে শেষ হাসি হাসবে কে? লাখ টাকার এমন প্রশ্নের রীতিমতো জল্পনা , রাজনৈতিক মহলে প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে তমলুক লোকসভা ভোটের সংখ্যা ছিল ১৮ লক্ষ ৫০ হাজার ৫০৪জন। যার মধ্যে নতুন ভোটার সংখ্যা ৫৬ হাজার ৯৯৮ জন । এমন অবস্থায় মোট ১৩০ কোম্পানির কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করে প্রতি বুথে ওয়েব কাস্টিং মাধ্যমে ভোট গ্রহণে স্বতঃস্ফূর্ত দেখা গিয়েছে। ভোট পড়েছে মোট ৮৪-৭৯ শতাংশ। এখানেই উঠছে প্রশ্ন? বিপুল সংখ্যক ভোটার কোন দলকে সমর্থন করল তা নিয়ে ভোট পরবর্তী পরিস্থিতিতে শুরু হয়েছে বুথ ফেরত বিশ্লেষণ। রাজ্যের মধ্যে তমলুক লোকসভা ছিল সমস্ত রাজনৈতিক দলের কাছে পাখির চোখ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী কে আসতে হয়েছে তিনবার এই লোকসভা কেন্দ্রে ভোট প্রচারের জন্য। ৩৪ বছর ক্ষমতাসীন চলে যাওয়ার পর সেই বামফ্রন্ট রাজ্য কমিটির নেতৃত্বদের ভোট প্রচারে আসতে হয়েছে। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে। যদিও আবহাওয়ার জন্য আসতে পারেননি, ভার্চুয়াল বক্তব্য দিয়েছিলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র দাস মোদী। রাজ্যের সকলেরই এখন ৪ ঠা জুন নজর তমলুক লোকসভা কেন্দ্র। কে হাসবে শেষ হাসি।

গত ১৯ এর লোকসভা নির্বাচনে শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস পেয়েছিলেন ৫০.২ শতাংশ ।বিজেপি পেয়েছিলেন এবং বামেরা পায় যথাক্রমে ৩৬.৯৫ এবং এবং ৯- ৪ শতাংশ ভোট।  ২ বছর পরেই বিধানসভা ভোটে তৃণমূল পায়ে ৪৬. ২০ শতাংশ বিজেপি পায় ৪০.৪৭ এবং  বাম ও কংগ্রেস জোট ভোট পায় ৮-২৬ শতাংশ ভোট। 

গত ত্রিস্তর গ্রাম পঞ্চায়েত নির্বাচনে এই ভোটের ফলাফলে অনেকটাই চমক দেয় বামেরা । তাদের ভোট বেড়ে হয় ১২.৩৫ শতাংশে তৃণমূল ৪৫.০৯ শতাংশ এবং বিজেপি ৩৯- ২৯ শতাংশ ভোট পায়। ফলে ২১ সালে তুলনায় ২০২৩ সালে পঞ্চায়েত নির্বাচনে বিজেপির ভোট  কমে প্রায় ৭শতাংশ। 

ভোট যুদ্ধে জয়ের চাবিকাঠি অন্তর্ঘাত! আর তাতেই যেন তমলুক লোকসভা কেন্দ্রের ফলাফল নিয়ে চিন্তায় সব পক্ষই। ঘোলা জলে মাছ ধরে শেষ হাসি কে হাসবে? এই নিয়ে  রীতিমতো জল্পনা তুঙ্গে রাজনৈতিক মহলে।প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, তমলুক লোকসভায় ভোটার সংখ্যা ছিল ১৮ লক্ষ ৫০ হাজার ৫৩৪ জন। যার মধ্যে নতুন ভোটার ৫৬ হাজার ৯৯৮ জন। এমন অবস্থায় মোট ১৩০ কোম্পানির কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করে প্রতি বুথে ওয়েবকাস্টিং মাধ্যমে নির্বিঘ্নে ভোট গ্রহণে স্বতঃস্ফূর্ততা দেখা গিয়েছে। ভোট পড়েছে ৮৪.৭৯ শতাংশ। আর এখানেই উঠেছে প্রশ্ন। স্বতঃস্ফূর্ত এই বিপুল সংখ্যক ভোটার ঠিক কোন পক্ষে গিয়েছে, তা নিয়ে ভোট পরবর্তী পরিস্থিতিতে শুরু হয়েছে চুলচেরা বিশ্লেষণ। এক্ষেত্রে অবশ্য বিগত দিনের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গত ১৯ লোকসভা নির্বাচন শাসকদল তৃণমূল পায় ৫০.০২ শতাংশ। বিজেপি এবং বামেরা পায় যথাক্রমে ৩৬.৯৫ এবং ৯.৪২ শতাংশ ভোট।এর পর ঠিক বছর দুয়েকের মধ্যেই ২০২১ সালের ফলাফলে এই শতাংশ হয়ে দাঁড়ায় তৃণমূলের ৪৬.২০ শতাংশ, বিজেপি পায় ৪০.৪৭ এবং বাম-কংগ্রেস জোটের ঝুলিতে আসে মাত্র ৮.২৬ শতাংশ ভোট। তবে পঞ্চায়েত নির্বাচনে এই ভোটের ফলাফলে অনেকটাই চমক দেয় বামেরা। সে বারে তাদের ভোট বেড়ে হয় ১২.৩৫ শতাংশে। তৃণমূল ৪৫.০৯ শতাংশ এবং বিজেপি ৩৯.২৯ শতাংশ ভোট পায়। ফলে ২১ সালের তুলনায় ২০২৩ সালে পঞ্চায়েত নির্বাচনে বিজেপির ভোট কমে প্রায় ৭ শতাংশ।

 রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের  দাবি, অধিকারী গড় হিসেবে পরিচিত নন্দীগ্রামের জমি আন্দোলনের এই পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় শুভেন্দু ভোট মেশিনারি এবারে রীতিমতো সক্রিয় ছিল পূর্ব মেদিনীপুর জেলাজুড়ে। এর ফলে প্রায় মাসখানেক ধরে লক্ষ্মণ শেঠের অনুগামী হিসেবে পরিচিত বর্তমানে সিপিএমের কোণঠাসা নেতারা শুভেন্দুর প্ররোচনায় পা দিয়ে যথেষ্টই অন্তর্ঘাত ঘটিয়েছে জেলা সিপিএমের ভোটবাক্সে! তেমনি অন্যদিকে আবার জেলায় শুভেন্দু অনুগামী হিসেবে পরিচিত তৃণমূলের একটা বড় অংশ, যারা কিন্তু এবারে ভোটে যথেষ্টই নিষ্ক্রিয় থেকে বিজেপির হাতকেই শক্ত করেছে বলে দাবি। এদিকে আবার বিজেপির আদি নেতা হিসেবে পরিচিত একটা বড় অংশ আবার নির্বাচনের ক্ষেত্রে যথেষ্ট নিষ্ক্রিয় ছিল। ফলে 'ম্যান টু ম্যান' এই লড়াইয়ে লক্ষ-লক্ষ ভোটের ব্যবধানে একতরফা জয়ের দাবি যে খুব একটা ধোপে টিকবে না তা বলাই বাহুল্য! সকলেই এখন উৎকণ্ঠায় রয়েছেন ৪ঠা জুন শেষ হাসি কে হাসবে? তমলুক লোকসভা কেন্দ্রে লাল গেরুয়া না সবুজ আবির খেলবে ? সে নিয়েও এখন দ্বন্দ্বে রয়েছেন নেতা থেকে কর্মী সকলেই। 

আগামী সেপ্টেম্বর মাস এলেই হলদিয়া পৌরসভা ২ বৎসর পূর্ণ হবে নির্বাচন হয়নি তাহলে কি লোকসভা নির্বাচনের পর হলদিয়া পৌরসভা নির্বাচনে ঢাকে কাঠি পড়বে, সে নিয়েও এখন চর্চা শুরু হয়েছে। সূত্রে জানা যায়, শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস হলদিয়া বিধানসভা এলাকায় যদি তাদের মার্জিন কমে যায় তাহলে নাও হতে পারে এবারে ও হলদিয়া পৌরসভা নির্বাচন। তাহলে কি শাসক দল পৌর প্রশাসন নিয়োগ করেই আগামী বিধানসভা নির্বাচন পর্যন্ত চালাবে তাতে শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসের ই আরো বেশি ক্ষতি হবে। এবারে নির্বাচনে দু মাস আগে থেকেই নির্বাচন ঘোষণা হলেও শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস কর্মীরা প্রথম থেকেই ছন্নছাড়া মত চলছিল। সূত্রের খবর, ১৫ই এপ্রিল সর্বভারতীয় তৃণমূল কংগ্রেস অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় হলদিয়ায় এসে কর্মীদের সঙ্গে বৈঠক করেন তার পরই নির্বাচনের এক হয়ে কাজ করে কিন্তু ভোটের দিন তাদের সেভাবে সক্রিয়তা দেখা যায়নি। যতই রেজাল্টের দিন এগিয়ে আসছে ততই ফলাফল নিয়ে ধোঁয়াশা সাধারণ মানুষের মধ্যে চলছে রাজনৈতিক বিশ্লেষণ কে হলদিয়া শ্রমিকদের পাশে থাকবে লাল, গেরুয়া, না সবুজ এই নিয়ে এখন জোর চর্চা শুরু হয়েছে।

No comments