Page Nav

HIDE

Grid Style

GRID_STYLE

Post/Page

Weather Location

Breaking News:

latest

রাক্ষুসে ঘূর্ণিঝড় রেমালের দাপটে বেসামাল পূর্ব মেদিনীপুর

রাক্ষুসে ঘূর্ণিঝড় রেমালের দাপটে বেসামাল পূর্ব মেদিনীপুর
সামুদ্রিক ঘূর্ণিঝড় রেমালের দাপটে বেসামাল পরিস্থিতি পূর্ব মেদিনীপুরের বিভিন্ন জায়গায় । দিঘায় মুহূর্মুহূ জলোচ্ছ্বাস সমুদ্র বাঁধে আছড়ে পড়েছে । প্রকৃতির সেই ভয়ংকর রূপ দেখ…

 


রাক্ষুসে ঘূর্ণিঝড় রেমালের দাপটে বেসামাল পূর্ব মেদিনীপুর


সামুদ্রিক ঘূর্ণিঝড় রেমালের দাপটে বেসামাল পরিস্থিতি পূর্ব মেদিনীপুরের বিভিন্ন জায়গায় । দিঘায় মুহূর্মুহূ জলোচ্ছ্বাস সমুদ্র বাঁধে আছড়ে পড়েছে । প্রকৃতির সেই ভয়ংকর রূপ দেখতেও সমুদ্র পাড়ে উৎসুক পর্যটকদের আনাগোনা ছিল । কোথাও আবার সমুদ্র বাঁধ ভাঙ্গার উপক্রম হয়েছে । যদিও তেমন কোনো ভয়ঙ্কর বিপদ ঘটেনি । দফায় দফায় বৃষ্টি, সঙ্গে ঝড়ো হাওয়া দাপিয়ে বেড়িয়েছে উপকূলবর্তী এই জেলা জুড়ে । যার জেরে সমুদ্রের পাশাপাশি নদী উপকূলবর্তী খেজুরি, নন্দীগ্রাম,হলদিয়া,সুতাহাটা, মহিষাদল ,পাঁশকুড়া, কোলাঘাট, এলাকার মানুষজনকে আতঙ্কে থাকতে হয়েছে । বেশ কিছু জায়গায় মাটির বাড়ি ভেঙেছে । জখম হওয়ার কোনো খবর নেই । কিন্তু অসহায় মানুষজনকে নিজের বাড়ি ছেড়ে কোথাও ত্রাণ শিবিরে, আবার কোথাও কোন বাড়িতে আশ্রয় নিতে হয়েছে । সুতাহাটা ব্লকের নটপটিয়া,গাজীপুর, রায়নগর,বেগুনাবেড়িয়া‌ এলাকায় ১৫ টি মাটির বাড়ি ভেঙেছে । হুগলি নদীর চর ভেঙ্গেছে সুতাটা ব্লকের এরিয়াখালি এলাকায় । আতঙ্কের এই পরিস্থিতিতে সাড়ে পাঁচশ মানুষকে সরিয়ে ৮টি ত্রাণ শিবিরে রাখা হয়েছে বলে জানিয়েছেন সুতাহাটা পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি অশোক  কুমার মিশ্র । এই দুর্যোগপূর্ণ পরিস্থিতিতে রূপনারায়ণ নদের মায়াচর দ্বীপের কিছু গাছপালা ভেঙেছে । মানুষের তেমন কোন বড় সমস্যা হয়নি । নতুন নদী বাঁধ তৈরি হওয়ার ফলে দ্বীপের মানুষজন অনেকটা নিরাপদে ছিলেন । কিন্তু সমস্যাই পড়েছিলেন হুগলি নদী মোহনায় জেগে থাকা নয়াচর দ্বীপের মানুষজন । দ্বীপের বর্তমান দশ থেকে বারো হাজার মানুষ বসবাস করছেন । তাদের বেশিরভাগই বাবলাতলা ,খেজুরতলা, পক মিল সাইট এলাকায় থাকেন । রেমালের দাপটে অনেকেরই ঘর ভেঙেছে । অসহায় কয়েকশো পরিবার সেখান থেকে প্রায় ১০ কিলোমিটার উত্তরে টুপি ঘর‌ এলাকায় তারা আশ্রয় নিতে বাধ্য হয়েছেন ।‌ নয়াচর মৎস্যজীবী উন্নয়ন সমিতির সম্পাদক আবু বক্কর মোল্লা জানিয়েছেন,"এই সামুদ্রিক ঝড়ে মায়াচর মৎস্যজীবী পরিবারগুলির বহু ঘর ভেঙেছে । অসহায় অবস্থায় তারা রয়েছেন । খাবার, পানীয় জল কোন কিছু নেই । নদীর জল খেয়ে থাকতে হচ্ছে । দ্বীপের মানুষদের জন্য প্রশাসনের সহযোগিতা একান্ত ভাবে চাইছি ।" তবে প্রশাসনের চোখে নোম্যান্স ল্যান্ড নয়াচর ‌ । সেখানে কিভাবে ত্রান দেওয়া সম্ভব তা নিয়ে আলোচনা চলছে বলে জানা গিয়েছে ।  সোমবার বিকেল থেকে দুর্যোগ কাটিয়ে পরিস্থিতি অনেকটাই স্বাভাবিক হয়েছে । সে কারণে উদ্বিগ্ন হওয়ার কিছু নেই বলে জানিয়েছেন কোস্টগার্ড কমান্ড্যান্ট রাজেন্দ্র আঘব । একই প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন পূর্ব মেদিনীপুর জেলা বিপর্যয় ব্যবস্থাপন দপ্তরের ওসি মৃত্যুঞ্জয় হালদার । তিনি বলেন,"ঝড় কেটে গিয়েছে ।‌ মেঘ বৃষ্টি রয়েছে । তেমন কোন চিন্তার কারণ নেই । কিছু বাড়ি আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে । সেগুলো সমীক্ষার কাজ চলছে এই মুহূর্তে সঠিক পরিসংখ্যান জানা যায়নি ।" তবে রবিবার দুর্যোগের দাপট আঁচ করে জেলার উপকূল এলাকার ২৮ হাজার মানুষকে সরাতে হয়েছে । রামনগর কাঁথি খেজুরী নন্দীগ্রাম সুতাহাটা মহিষাদল সবমিলিয়ে ১৯২ টি ত্রাণ শিবিরে তাদেরকে রাখা হয়েছিল । সোমবার পরিস্থিতির উন্নতি ঘটায় তারা একে একে বাড়িমুখো হয়েছেন ।

No comments