১৫ তম বর্ষে হাতিবেড়িয়া দীপশিখা ক্লাবের বাৎসরিক মনসা পূজা ও মিলন উৎসব
হলদিয়ার হাতিবেড়িয়া দীপশিখা ক্লাবের মনসা পুজো ও মিলন উৎসবে মেতেছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। শুক্রবার ৫ ই এপ্রিল শুরু হওয়া এই পুজো ঘিরে শুরু হয়েছে বিভিন্ন ক্রীড়া ও সা…
১৫ তম বর্ষে হাতিবেড়িয়া দীপশিখা ক্লাবের বাৎসরিক মনসা পূজা ও মিলন উৎসব
হলদিয়ার হাতিবেড়িয়া দীপশিখা ক্লাবের মনসা পুজো ও মিলন উৎসবে মেতেছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। শুক্রবার ৫ ই এপ্রিল শুরু হওয়া এই পুজো ঘিরে শুরু হয়েছে বিভিন্ন ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। ক্লাবের এই উৎসবে মেতেছেন লাগোয়া ক্ষুদিরামনগর উদ্বাস্তু কলোনি ও নাড়ারচক এলাকার মানুষজনও। দীপশিখা ক্লাবের নৈশ মিনি ফুটবল টুর্নামেন্ট খুবই আকর্ষণীয়। খেলা দেখতে ভিড় উপচে পড়ে মাঠে। স্থানীয় নবীন ও প্রবীণ বাসিন্দারা হাতে হাত মিলিয়ে নানা চমকপ্রদ অনুষ্ঠানের আয়োজন করেন। প্রতিবছর উদ্বোধনের সময় স্থানীয় প্রবীণদের মঞ্চে তুলে সম্মান জানানোর পাশাপাশি তাঁদের হাতে উপহার তুলে দেওয়ার রীতি রয়েছে। সেইসঙ্গে সান্ধ্যকালীন অনুষ্ঠানে প্রবীণরা হলদিয়ার গ্রাম থেকে শহরে রূপান্তরের ইতিহাস তুলে ধরেন। তাঁদের কেউ লোকগান, যাত্রাপালার পুরনো ডায়ালগ শুনিয়ে বা কেউ বাঁশি বাজিয়ে মুগ্ধ করেন সবাইকে। ক্লাবের ‘প্রবীণ সন্ধ্যার সুর ও কথা’ শুনতে প্রতিবারই ব্যাপক ভিড় হয়। দীপশিখা ক্লাবের পাঁচদিনের পুজো কার্যত উৎসবের চেহারা নেয়। দোকানপাট বসে গিয়ে মিনি মেলার চেহারা নেয়। ওই মিলন উৎসবের জন্য সারা বছর মুখিয়ে থাকেন এলাকার আট থেকে আশি সবাই।
এলাকার প্রবীণরা বলেন, হলদিয়ার সবচেয়ে বড় মৌজা বা গ্রাম হল এই হাতিবেড়িয়া। শহরের স্টেশন থেকে নলেজ সিটি, একাধিক উদ্বাস্তু কলোনি রয়েছে একটি গ্রামের মধ্যে। ক্লাবের অন্যতম কর্মকর্তা চন্দন বেরা বলেন, মনসা পুজোকে ঘিরে এবার ১৫তম বার্ষিক মহামিলন উৎসব হচ্ছে। হাতিবেড়িয়া পশ্চিম পল্লির এই ক্লাবের নামকরণ করেছিলেন তৎকালীন পুর চেয়ারপার্সন তমালিকা পণ্ডাশেঠ। তিনি এই ওয়ার্ডের একসময় কাউন্সিলার ছিলেন। এলাকায় সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের বিকাশে ক্লাব প্রতিষ্ঠানগুলিকে উৎসাহিত করতেন। এবার ৫-৯ এপ্রিল পর্যন্ত ক্লাবের অনুষ্ঠান হবে। এদিন সকালে ৭ কিলোমিটার ম্যারাথন দৌড়ের মধ্যে দিয়ে শুরু হয়েছে অনুষ্ঠান। ক্লাবের সভাপতি সুভাষ মাজি, সহ সভাপতি জয়ন্ত দাস ও সোমনাথ দে বলেন, এবার প্রায় একশো জন প্রবীণকে সম্মান জানানো হয়েছে। এছাড়া বস্ত্র বিতরণ করা হয়েছে শতাধিক মানুষকে।
উদ্বোধনের দিন সবচেয়ে আকর্ষণীয় অনুষ্ঠান তমালিকা পণ্ডাশেঠ নৈশ মিনি ফুটবল প্রতিযোগিতা। প্রাক্তন পুর চেয়ারপার্সনের স্মৃতিতে ওই টুর্নামেন্টের আয়োজন করা হয়েছে। ১৬ দলের ওই টুর্নামেন্টে চ্যাম্পিয়নদের ৫০ হাজার টাকা, ট্রফি এবং রানার্সদের ৪০ হাজার টাকা প্রাইজ মানি দেওয়া হবে। ক্লাবের সম্পাদক শঙ্কর মাইতি, সহ সম্পাদক কার্তিক প্রামাণিক বলেন, ৬ এপ্রিল শনিবার সন্ধ্যার আকর্ষণ বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা ও রঙিন আতসবাজি সহযোগে মনসা মায়ের ঘটোত্তোলন। ওই রাতে কীর্তন গানের আসরে গাইবেন শিল্পী বাপন দাস। ৭ এপ্রিল রবিবার সকাল থেকে বসবে পসরা গানের আসর। শহরের নতুন প্রজন্মের কাছে লোকশিল্পকে তুলে ধরতেই লোকগানের আয়োজন করা হয়। ওইদিন পাঁচ হাজার মানুষকে মনসা মায়ের ভোগপ্রসাদ বিতরণ করা হবে। প্রতিদিনই রয়েছে স্কুল পড়ুয়াদের জন্য গান, আবৃত্তি, নাচ, আঁকার প্রতিযোগিতা। ৮ এপ্রিল ছোটদের অঙ্ক দৌড়, সর্বসাধারণের জন্য স্টেশন দৌড়ের মতো অভিনব প্রতিযোগিতা রয়েছে।
এছাড়া রয়েছে বড় আকারে গ্রুপ ডান্স প্রতিযোগিতা। শেষদিন ৯ এপ্রিল বিচিত্রা অনুষ্ঠানে গাইবেন নামী শিল্পী উজানি রাউল, দেবর্ষি সিনহা, শায়িকা মল্লিক প্রমুখ।
*আরো নিত্য নতুন আপডেট খবর দেখতে
আমাদের whatsapp চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন*
WhatsApp channel link - https://whatsapp.com/channel/0029VaCqqNUGk1FyEgWxaZ2r
No comments