জাপান ও তাইওয়ানের মাছ পাওয়া গেল পশ্চিমবঙ্গের উপকূলেজাপান ও তাইওয়ানের মাছ পাওয়া গেল পশ্চিমবঙ্গের উপকূলে। একইসঙ্গে গবেষকরা এখান থেকেই এক ধরনের সামুদ্রিক প্রবাল পেয়েছে। সেগুলি প্রধানত ফিলিপিন্স, ইন্দোনেশিয়া সহ দক্ষিণ পূর্ব এশ…
জাপান ও তাইওয়ানের মাছ পাওয়া গেল পশ্চিমবঙ্গের উপকূলে
জাপান ও তাইওয়ানের মাছ পাওয়া গেল পশ্চিমবঙ্গের উপকূলে। একইসঙ্গে গবেষকরা এখান থেকেই এক ধরনের সামুদ্রিক প্রবাল পেয়েছে। সেগুলি প্রধানত ফিলিপিন্স, ইন্দোনেশিয়া সহ দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার উপকূলগুলিতে পাওয়া যায়। এছাড়াও সুন্দরবনের নদী থেকে মিলেছে এক নতুন ধরনের শামুক। এই প্রত্যেকটি প্রাণী প্রথমবারের জন্য রাজ্যে পাওয়া গেল বলে জানিয়েছে জুলজিক্যাল সার্ভে অব ইন্ডিয়ার সুন্দরবন আঞ্চলিক অফিস। তারা এই সমস্ত এলাকায় গবেষণা চালাতে গিয়ে প্রাণীগুলির সন্ধান পায়। সেগুলি সংরক্ষণ করে গবেষণা করবেন জেডএসআইয়ের গবেষকরা। আঞ্চলিক অফিসের আধিকারিক জেএস যোগেশ কুমার বলেন, ‘এইসব প্রাণী আগে কখনও রাজ্যে পাওয়া যায়নি। কীভাবে তারা এখানে এল এবং এখানকার জলবায়ু ও অন্যান্য পরিবেশের সঙ্গে মানিয়ে নিতে পারছে কি না ইত্যাদি বিষয়গুলি নিয়ে গবেষণা করবেন গবেষকরা। জানা গিয়েছে, সাপের মতো দেখতে এক বিশেষ ধরনের মাছ উত্তর বঙ্গোপসাগরের কাছে একটি মৎস্য বন্দর থেকে পাওয়া গিয়েছে। এটির নাম ব্ল্যাকস্পট ব্যান্ড ফিশ। মাছটির মাথা মোটা ও শরীরে বাকি অংশ সরু। এটি জাপান ও তাইওয়ানের উপকূলে পাওয়া যায়। বহু বছর আগে দেশের মধ্যে এই মাছের এক প্রজাতি মহারাষ্ট্র, কর্ণাটক ও কেরলের উপকূলে মিলেছিল বলে তথ্য রয়েছে। তবে রাজ্যে এই মাছ আগে কখনও পাওয়া যায়নি। কীভাবে তা এখানকার জলভূমিতে এসে পৌঁছল সেটা গবেষণার বিষয়। এছাড়াও এক ধরনের প্রবাল দীঘার উপকূল থেকে উদ্ধার হয়েছে। এটির নাম স্নো ফ্লেক সফ্ট কোরাল। গবেষকরা মনে করছেন, সমুদ্রে মাছ ধরতে যাওয়া ট্রলারের নীচের অংশে বা মৎস্যজীবীদের জালে আটকে পড়েছিল প্রাণীটি। পরে সম্ভবত সেটিকে উপকূলের কাছে ফেলে দেওয়া হয়েছে। আর সেখান থেকেই এই প্রবাল উদ্ধার করেছে জেডএসআইয়ের গবেষকরা। জানা গিয়েছে, সুন্দরবন জীবমণ্ডলে ১৭৭ প্রজাতির শামুক রয়েছে। এবারে আরও এক প্রজাতির খোঁজ মিলল সুন্দরবনেই। যোগেশবাবুর কথায়, ‘এখানে এখনও অনেক এমন জায়গা আছে যেখানে মানুষের পা পড়েনি। নদী, খাঁড়িতে গবেষণা করলে নতুন অনেক কিছু পাওয়া যেতে পারে। সেরকমই আমাদের গবেষকরা এই এক ধরনের শামুকের নমুনা খুঁজে পেয়েছেন।’
No comments