Page Nav

HIDE

Grid Style

GRID_STYLE

Post/Page

Weather Location

Breaking News:

latest

ভোটের প্রচারে নেমে প্রতিপক্ষ তৃণমূল কংগ্রেসকে অশালীন ভাষায় আক্রমণ করলেন তমলুকের বিজেপি প্রার্থী -অভিজিৎ

ভোটের প্রচারে নেমে প্রতিপক্ষ তৃণমূল কংগ্রেসকে অশালীন ভাষায় আক্রমণ করলেন তমলুকের বিজেপি প্রার্থী -অভিজিৎ
ভোটের প্রচারে নেমে এবার প্রতিপক্ষ তৃণমূল কংগ্রেসকে অশালীন ভাষায় আক্রমণ করলেন তমলুকের বিজেপি প্রার্থী অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। কখনও…

 


ভোটের প্রচারে নেমে প্রতিপক্ষ তৃণমূল কংগ্রেসকে অশালীন ভাষায় আক্রমণ করলেন তমলুকের বিজেপি প্রার্থী -অভিজিৎ


ভোটের প্রচারে নেমে এবার প্রতিপক্ষ তৃণমূল কংগ্রেসকে অশালীন ভাষায় আক্রমণ করলেন তমলুকের বিজেপি প্রার্থী অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। কখনও চোর, ছ্যাঁচড় আবার কখনও দুর্বৃত্ত ও জানোয়ার বলে আক্রমণ করলেন। হাইকোর্টের প্রাক্তন বিচারপতির মুখ থেকে এধরনের শব্দ শুনে হতবাক তমলুক লোকসভা এলাকার বাসিন্দারাই। 
রবিবার সন্ধ্যা নাগাদ শহিদ মাতঙ্গিনী ব্লকের গাদিনে এমএসকে মাঠে বিজেপির তমলুক মণ্ডল-১কমিটির কর্মিসভা ছিল। সেখানে বিজেপি প্রার্থী ৬মিনিট ১৮সেকেন্ড বক্তব্য রাখেন। ছত্রেছত্রে প্রতিপক্ষ তৃণমূল কংগ্রেসকে চোর, ছেঁচড়, দুর্বৃত্ত ও শয়তান বলে আক্রমণ করেন। প্রাক্তন বিচারপতি আক্রমণাত্মক হতেই সভাস্থল থেকে হাততালি ওঠে। তাতেই উৎসাহিত হয়ে অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় ভাষা শালীনতার সীমা লঙ্ঘন করেন বলে অভিযোগ। 
সভায় মহিলাদের উপস্থিতি দেখে অভিভূত হন বিজেপি প্রার্থী। তিনি বলেন, আপনারা যদি না আসেন বা ঘরে থাকেন তাহলে চোর, ছেঁচড়, দুর্বৃত্ত তৃণমূল কংগ্রেস রাজনীতির আঙিনা দখল করে নেবে। এই চোর, ছেঁচড়দের শাসন আমরা চাই না। অনেকদিন হল, তারা সব চুরি করে। শিক্ষিত বেকারদের চাকরি চুরি করছে। মানুষের থালায় যে অন্ন যাওয়ার কথা, সেই অন্ন চুরি করে অন্যদেশে পাচার করছে। বিনিময়ে কোটি কোটি টাকা কামিয়ে নিজেদের ব্যক্তিগত সম্পদ বাড়িয়ে নিচ্ছে। 
বিজেপি প্রার্থীর মুখ থেকে আক্রমণাত্মক শব্দ শুনেই সভায় হাততালিতে ফেটে পড়ে। তাতে উৎসাহিত হয়ে অভিজিৎবাবু সুর আরও চড়া করেন। তিনি বলেন, আপনারা যদি কেউ কখনও কলকাতায় যান দেখবেন, হরিশ মুখার্জি রোড, যেখানে গিয়ে হাজরা রোডে মিশেছে, সেখানে ডানদিকে একটা রাজপ্রাসাদ। এই রাজপ্রাসাদের মালিকের কোনও জ্ঞাত রোজগারের সূত্র নেই। এই লোকটি একটি দুর্বৃত্ত। তিনি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঘনিষ্ঠ বলে শুনতে পাই। 
প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে আক্রমণের সুর জিইয়ে রেখে বিজেপি প্রার্থী বলেন, ওরা শুধু বলবে, লক্ষ্মীর ভাণ্ডারে এক হাজার টাকা দিচ্ছি। এই জানোয়াররা জানে না, মানুষ ভিখারি নয়। আর লক্ষ্মীর ভাণ্ডারে যে টাকা দিচ্ছো সেটা তোমাদের ঘর থেকে নয়। তোমাদের পৈতৃক সম্পত্তিও নয়। সরকারের উপার্জন করা করের টাকা। ওই টাকা সারা ভারতবর্ষ থেকে এসেছে পশ্চিমবঙ্গে। এটা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের টাকাও নয়। এরজন্য তৃণমূল কোনও কৃতিত্ব নিতে পারে না। 
দলীয় কর্মী-সমর্থকদের উদ্দেশে অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, কেন পশ্চিমবঙ্গের এই অবস্থা হল? গত ১০-১১ বছর ধরে তৃণমূল সরকার যে কাণ্ড চালাচ্ছে তাতে রাজ্য বেহাল পড়ে পড়েছে। যে টাকা সরকারি কোষাগারে যাওয়ার কথা, সেটা নিজেদের পকেটে চলে যাচ্ছে। ফলে সরকারি কোষাগার শূন্য। কোনও শিল্প নেই। শুধু বলবে, হাজার টাকা দিচ্ছি। আপনাদের ভিখারি তৈরি করার চেষ্টা চলছে। টাকা কারও বাপের নয়। আপনাদের টাকা আপনাদের হাতে যাচ্ছে। এর জন্য কেউ কৃতিত্ব দাবি করতে পারে না। আপনারা দৃঢ় হোন, যাতে বিজেপি এরাজ্যে সবচেয়ে বেশি আসন পায়। বিজেপি যদি এই লোকসভায় ২৫ থেকে ৩০টি আসন পায়, তাহলে এই দুর্বৃত্তদের সরকার আর সহ্য করতে হবে না। একথা আমি এখানে দাঁড়িয়ে বলে যাচ্ছি।
অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের অশালীন আক্রমণের কড়া নিন্দা করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। দলের জেলা সভাপতি অসিত বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, বিজেপি প্রার্থী নিজেই দুর্বৃত্তের মতো কথা বলছেন। বিচারপতি থাকাকালীন তিনি বিজেপির সঙ্গে যোগাযোগ রাখতেন। তমলুক লোকসভার মানুষ সচেতন। তাঁরা তৈরি হচ্ছেন। আগামী ২৫মে উনি যোগ্য জবাব পেয়ে যাবেন।


No comments