প্রার্থী বা দলের নাম নয়, নির্বাচনী প্রতীক ?প্রার্থী বা দলের নাম নয়, নির্বাচনী প্রতীক অনেক সময় হয়ে ওঠে স্টারমেকার। কারণ দলীয় প্রতীক দেখেই অনেকক্ষেত্রে ভোটবাক্সে নিজেদের মতপ্রকাশ করেন সাধারণ ভোটার। সেক্ষেত্রে ‘গুরুত্বহীন’ হয়ে পড়ে প…
প্রার্থী বা দলের নাম নয়, নির্বাচনী প্রতীক ?
প্রার্থী বা দলের নাম নয়, নির্বাচনী প্রতীক অনেক সময় হয়ে ওঠে স্টারমেকার। কারণ দলীয় প্রতীক দেখেই অনেকক্ষেত্রে ভোটবাক্সে নিজেদের মতপ্রকাশ করেন সাধারণ ভোটার। সেক্ষেত্রে ‘গুরুত্বহীন’ হয়ে পড়ে প্রার্থী বা দলের নাম। চিহ্নই হয়ে ওঠে সর্বেসর্বা। দেশের প্রথম নির্বাচন কমিশনার সুকুমার সেন এ কারণে জোর দিয়েছিলেন প্রতীক বাছাইয়ে। যাতে দল বা প্রার্থীর নাম পড়ে নয়, চিহ্ন দেখে ভোট দিতে পারেন মানুষ।
দেশের দুই প্রধান জাতীয় দল কংগ্রেস ও বিজেপি পরিচিত ‘হাত’ ও ‘পদ্ম’ প্রতীকের জন্য। তবে প্রথম যখন দলগুলি গড়ে উঠেছিল তখন এই প্রতীকে ভোটের ময়দানে নামত না দল দু’টি। কংগ্রেসের যেমন প্রথম প্রতীক ছিল লাঙল কাঁধে জোড়া বলদ। কৃষিনির্ভর দেশের মানুষদের সঙ্গে সংযোগস্থাপনে এই প্রতীক ছিল কংগ্রেসের হাতিয়ার। ১৯৫২ থেকে ১৯৭১ পর্যন্ত এই প্রতীকেই লড়েছিল শতাব্দী প্রাচীন দলটি। ১৯৭১ সাল থেকে জোড়া বলদ চিহ্নের বদলে কংগ্রেস ব্যবহার করতে শুরু করল গাই-বাছুর প্রতীক। এরপর ১৯৭৭ সালে ইন্দিরা গান্ধী গঠন করলেন নিজস্ব দল ‘কংগ্রেস (আই)’। তখন থেকে দলটির নির্বাচনী প্রতীক হল ‘হাত’। মজার ব্যাপার, ১৯৫১ সালে প্রথম সাধারণ নির্বাচনে ‘হাত’ প্রতীকটি ছিল ফরওয়ার্ড ব্লকের (রুইকার গ্রুপ)। ১৯৭৭ সালে সেটিই কংগ্রেসের প্রতীক হয়। যদিও দু’টি প্রতীকে হাতের আঙুলের গঠন আলাদা ছিল। পরে অবশ্য সেই পার্টি মিশে যায় প্রজা সোশালিস্ট পার্টির সঙ্গে।
অন্যদিকে, বিজেপি প্রথম দিকে ভারতীয় জনসঙ্ঘের সঙ্গে যুক্ত ছিল। সেই সময় তার নির্বাচনী প্রতীক ছিল ‘জ্বলন্ত প্রদীপ’। ১৯৫১ সাল থেকে ১৯৭৭ পর্যন্ত এই প্রতীকেই ভোট চাইত তারা। আলাদিনের প্রদীপের মতো দেখতে প্রতীকটি পরিবর্তন হয় ১৯৭৭ সালে। সে বছর জনতা পার্টির সঙ্গে যুক্ত হয় ভারতীয় জনসঙ্ঘ। প্রতীক হয় লাঙল কাঁধে কৃষক। পরবর্তী কালে ১৯৮০ সালে জনতা পার্টির থেকে আলাদা হয়ে বিজেপি বা ভারতীয় জনতা পার্টি গঠিত হয়। ভারতের জাতীয় ফুল পদ্মকেই তাদের দলীয় প্রতীক হিসেবে বেছে নেওয়া হয়।
No comments