Page Nav

HIDE

Grid Style

GRID_STYLE

Post/Page

Weather Location

Breaking News:

latest

মেদিনীপুর রত্ন ব্যাকরণবিদ কালীপদ চৌধুরী!

মেদিনীপুর রত্ন ব্যাকরণবিদ কালীপদ চৌধুরী!
হাউর তথা মেদিনীপুরের রত্ন সাহিত্যিক কালীপদ চৌধুরী। হাউর স্টেশনের কাছেই ওনার বাড়ি। কালীপদ চৌধুরী মহাশয়কে শিক্ষা জগৎ ও বাংলা ভাষার মানুষজন একডাকেই চেনেন। বর্ষীয়ান মানুষটির আজও ধ্যানজ্ঞান ব…

 




মেদিনীপুর রত্ন ব্যাকরণবিদ কালীপদ চৌধুরী!


হাউর তথা মেদিনীপুরের রত্ন সাহিত্যিক কালীপদ চৌধুরী। হাউর স্টেশনের কাছেই ওনার বাড়ি। কালীপদ চৌধুরী মহাশয়কে শিক্ষা জগৎ ও বাংলা ভাষার মানুষজন একডাকেই চেনেন। বর্ষীয়ান মানুষটির আজও ধ্যানজ্ঞান বই। দুঃখ সুখে বইকে সাথী করেই সফলতম মানুষ তিনি। 'শ্রদ্ধেয় মাস্টারমশাই' কর্মগুণে তিনি হয়ে উঠেছেন অনন্য। ১৯৩৩ সালের ৩১শে ডিসেম্বর ঘাটালের মহারাজপুরে জন্ম তাঁর। পড়াশোনার প্রতি আগ্রহই তাঁকে পরে প্রতিষ্ঠিত সাহিত্যিক হতে সাহায্য করেছে। বইয়ের উপর ভালোবাসা থেকেই নিজ উপার্জনে হাউরে প্রতিষ্ঠা করেছেন গ্রন্থাগার "গ্রন্থলোক"। পাঠকের জন্য জ্যামিতি, পরিমিতি, ত্রিকোনমিতির যাবতীয় কঠিন গাণিতিক রূপ এখন 'গ্রন্থলোক'-এর অন্দরমহলে। পড়তে ভুলে যাওয়া মানুষদের জন্য সারা জীবনের সঞ্চয় তিনি ব্যায় করছেন এলাকার মানুষকে বই পড়ানোর অঙ্গীকার নিয়ে। এখনো নিয়মিত প্রকাশ করেন লিটল ম্যাগাজিন 'মরশুমি'। ১৯৪৮ সালে প্রথম প্রবন্ধ 'দেশপ্রাণ বীরেন্দ্রনাথ শাসমল' লেখেন। তাঁর লেখা প্রথম প্রবন্ধ। ১৯৭১ সালে প্রকাশিত প্রথম উপন্যাস 'হার্ট পেশেন্ট'। ১৯৭৩ সালে বাণীসংসদ থেকে লেখেন প্রথম পাঠ্যপুস্তক "রচনা প্রসঙ্গ"। যা আজও নিয়মিত ছাত্র ছাত্রীদের জন্য পশ্চিমবঙ্গ ও ত্রিপুরা থেকে প্রকাশিত হচ্ছে। পরে সপ্তম অষ্টম ও একাদশ দ্বাদশ শ্রেণীর জন‌্যেও প্রকাশ করেন। ছোটদের জন‌্যেও কালীপদ চৌধুরীর ব‌্যাকরণ বই আছে। এছাড়াও ছাত্র ছাত্রীদের জন্য লিখেছেন 'বাংলা ব্যাকরণ', বাংলা সহায়িকা, সাহিত্য প্রসঙ্গ, সহায়ক পাঠ প্রসঙ্গ, ভাষা সাহিত্য ও সংস্কৃতি প্রসঙ্গ ইত্যাদি ব্যাকরণের বই। হাউর স্টেশনের সামনেই তাঁর স্বপ্নের গ্রন্থাগার 'গ্রন্থলোক'। এখানে রয়েছে ১২৬ ধরনের অভিধান বই। প্রায় ৮০ টি বিষয়ের দশ হাজারের বেশি বই আছে। কালীপদ চৌধুরী মহাশয়ের বয়স এখন ৯১ বৎসর। তাঁর লেখা উল্লেখযোগ্য বই রাক্ষসী সরোবর, বন্ধ‌্যা বিভাবরী, পরাবৃত্ত, জীবনভিলা, দাদু বহুরূপে, মড়কের রাজ্যে ইত্যাদি। একদিন হাউরও বিখ্যাত হয়ে উঠবে এই গ্রন্থাগারের জন্য। পাঠককে কোনো অর্থ দিতে হয়না গ্রন্থাগারে। এখানে পাঠকদের নিয়ে প্রতি মাসের শেষ রবিবার বসে সাহিত্যের আড্ডা। 

No comments