ভিডিও দেখতে ক্লিক করুনhttps://youtu.be/b_Za-2L2468
২৫১ বছরে প্রাচীন জোড়া শিবমন্দিরে নীল উৎসব
সুতাহাটা পঞ্চায়েত সমিতি অন্তর্গত কুকড়াহাটি অঞ্চল। কুকড়াহাটি গ্রামে ২৫১ বছরের প্রাচীন জোড়া শিব মন্দিরে চৈত্র সংক্রান্তিতে নীল উৎসব …
ভিডিও দেখতে ক্লিক করুন
https://youtu.be/b_Za-2L2468
২৫১ বছরে প্রাচীন জোড়া শিবমন্দিরে নীল উৎসব
সুতাহাটা পঞ্চায়েত সমিতি অন্তর্গত কুকড়াহাটি অঞ্চল। কুকড়াহাটি গ্রামে ২৫১ বছরের প্রাচীন জোড়া শিব মন্দিরে চৈত্র সংক্রান্তিতে নীল উৎসব শুরু হল। শুক্রবার ১২ ই এপ্রিল সকাল থেকেই ভক্তদের ভিড় লক্ষ্য করা যায়। একদিকে উত্তরেশ্বর শিব মন্দির অপরদিকে দক্ষিণেশ্বর শিব মন্দির।রীতি রীতি মেনে শুক্রবার সকাল থেকে নীল পূজা শুরু হয়। সন্ধ্যায় আছে কালীনাচ। শনিবার ১৩ ই এপ্রিল চড়ক উৎসব জানালেন মন্দিরের পুরোহিত সুখেন্দু ভট্টাচার্য। তিনি আরো বলেন সারা বাংলা জুড়ে পালিত হয় গাজন উৎসব ।বাঙালি ঐতিহ্যের এই গাজন উৎসব। গাজনে সন্ন্যাসী বা ভক্তরা নিজেদের শরীরের বিভিন্ন উপায়ে যন্ত্রনা দিয়ে কৃচ্ছাসাধনে মাধ্যমে ইষ্ট দেবতাকে সন্তোষপ্রধানের চেষ্টা করে । গাজন উপলক্ষে তারা শোভাযাত্রা সহকারে দেবতার মন্দিরে যান। শিবের গাজনে দুজন সন্ন্যাসী শিব ও গৌরী সেজেএবং অন্যান্য নন্দী ঘিঙ্গি ভূত প্রেস দৈত্য দানব প্রভৃতি সং সেজে নিত্য করতে থাকেন শিবের নানা লৌকিক ছড়া আবৃত্তি গান করা হয়। চৈএ সংক্রান্তি গাজনে কালিনাচ একটি উল্লেখযোগ্য অনুষ্ঠান। ধর্মের গাজনের বিশেষ অঙ্গ হল নরমুন্ডু বা গলিত শব নিয়ে নিত্য বা মড়া খেলা যাকে বলে কালিকা পাতারি নাচ। গাজনে মহিলা সন্ন্যাসী বা ভক্তরা অংশ নেয়। তারা চড়কের সন্ন্যাসীদের মতই অনুষ্ঠান পালন করে।
পৌরাণীক মতে জানা যায়, গাজন’ কথাটি এসেছে ‘গর্জন’ শব্দ থেকে। গাজন সন্ন্যাসীরা জোরে জোরে গর্জন করেন। ‘দেবাদিদেব মহাদেবের জয়’, ‘জয় বাবা বুড়ো শিবের জয়’, ‘ভাল বাবা শিবের চরণের সেবা লাগে’ ইত্যাদি ধ্বনি দিয়ে। শিব ঠাকুরের জয়ধ্বনিতে মুখর হয় গ্রামের আকাশ বাতাস। আর একটি মত হল—গা’ বলতে গ্রামকে বোঝায়। আর ‘জন’ বলতে বোঝায় জনসাধারণ। গ্রামীণ জনসাধারণের উৎসব তাই নাম হয় ‘গাজন। জনশ্রুতি হল গাজন উৎসবের দিন শিবের সঙ্গে। কালীর বিবাহ হয়। আর গাজন সন্ন্যাসীরা হলেন। বরপক্ষ। চৈত্র সংক্রান্তিতে চড়ক পুজোর উৎসবের সঙ্গে শিবের গাজন শেষ হয়।
No comments