Page Nav

HIDE

Grid Style

GRID_STYLE

Post/Page

Weather Location

Breaking News:

latest

"সি এ এ" ভোটের অস্ত্র প্রয়োগ করলেন নরেন্দ্র মোদি

"সি এ এ" ভোটের অস্ত্র প্রয়োগ করলেন নরেন্দ্র মোদি 
 ভোটের অস্ত্র প্রয়োগ করলেন নরেন্দ্র মোদি। আর নির্ঘণ্ট ঘোষণার আগেই। সোমবারই কার্যকর হয়ে গেল নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন (সিএএ)। সেইসঙ্গে উঠে এল যোগ্য সঙ্গতকারী প্রশ্নটি—…

 


"সি এ এ" ভোটের অস্ত্র প্রয়োগ করলেন নরেন্দ্র মোদি 


 ভোটের অস্ত্র প্রয়োগ করলেন নরেন্দ্র মোদি। আর নির্ঘণ্ট ঘোষণার আগেই। সোমবারই কার্যকর হয়ে গেল নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন (সিএএ)। সেইসঙ্গে উঠে এল যোগ্য সঙ্গতকারী প্রশ্নটি—এরপর কি এনআরসির আগমন? ভারতজুড়ে তো বটেই, বিশেষভাবে বাংলার মতো সীমান্তবর্তী রাজ্যগুলির মানুষের মনে ফিরে এল কাঁপুনি। উচ্ছেদের আতঙ্ক। নাগরিকত্ব হারানোর শঙ্কা। মোদি সরকার বারবার বলেছে, সিএএ হবেই। অবশেষে হল। আর বিজেপি লাগাতার হুঁশিয়ারি দিয়েছে, বাংলায় এনআরসি নিশ্চিত! তাহলে কি এনআরসি স্রেফ সময়ের অপেক্ষা? সোমবার মোদি সরকার সিএএ চালু করার সঙ্গে সঙ্গে ফুঁসে উঠেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন, ‘বাংলায় চালু করতে দেব না।’ দাবি করেছেন, ‘রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে মানুষকে ভিটেমাটি থেকে উৎখাত করার চক্রান্ত করছে বিজেপি।’ আক্রমণে নেমেছে কংগ্রেসও। সুতরাং কেন্দ্র বনাম বিরোধীদের সংঘাতের নতুন ইস্যু এবার সিএএ। বাংলার মতুয়া ভোটব্যাঙ্ক যে বিজেপির উপর ক্ষুব্ধ, সেই আভাস পাওয়ার পর মরিয়া হয়ে এই তাস? সেই প্রশ্নও উঠছে। 

রামমন্দির। চন্দ্রযান। জি টুয়েন্টি। অমৃতকাল। বিকশিত ভারত। তৃতীয়বার লোকসভা ভোটে জয়ী হয়ে সরকার গঠনের লক্ষ্যে মরিয়া মোদি মুখে চারশো পার বললেও, নিজেই যেন পূর্ণ আত্মবিশ্বাসী হতে পারছেন না। অতএব শেষ অস্ত্র—বিতর্কিত সিটিজেনশিপ অ্যামেন্ডমেন্ট অ্যাক্ট কার্যকর করলেন প্রধানমন্ত্রী। সোমবার বিজ্ঞপ্তি জারি করে বিধি তৈরির কথা ঘোষণা করল তাঁর সরকার। কী আছে সিএএ’তে? আফগানিস্তান, পাকিস্তান, বাংলাদেশে ধর্মীয় অত্যাচারের শিকার যে হিন্দু, শিখ, জৈন, বৌদ্ধ, পার্সি এবং খ্রিস্টান সম্প্রদায়ভুক্তরা ভারতে চলে আসতে বাধ্য হয়েছেন, তাঁদের দেওয়া হবে নাগরিকত্ব। তবে সময়সীমা ২০১৪ সালের ৩১ ডিসেম্বর। তারপর যাঁরা এসেছেন, তারা শুধুই অনুপ্রবেশকারী। ২০১৯ সাল থেকেই এই আইনের উদ্দেশ্য নিয়ে বিরোধী এবং নাগরিক সমাজের বিভিন্ন সংগঠনের সঙ্গে মোদি সরকারের সংঘাত তীব্র আকার নিয়েছে। দেশজুড়ে শতাধিক মৃত্যু হয়েছে পুলিসের সঙ্গে সংঘর্ষে। সংসদে পাশ হলেও বিধি-বিজ্ঞপ্তি জারি না হওয়া পর্যন্ত এই আইনের কার্যকারিতা ছিল না। অর্থাৎ, আইন হয়েও চার বছর হিমঘরে পড়েছিল সিএএ। কেন? স্পষ্ট হল সোমবার। ২০২৪ সালের ভোটের মুখে চালু করে সিএএকে টাটকা ইস্যু হিসেবে ব্যবহারই ছিল বিজেপির লক্ষ্য। সিএএ পোর্টালে নাম নথিভুক্ত করে ঘোষণা করতে হবে, কে কবে ওই সব দেশ থেকে এসেছেন। কোনও নথি পেশ করতে হবে না। সোজা কথায়, ২০১৪ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত বাংলাদেশ, পাকিস্তান আফগানিস্তান থেকে যে অ-মুসলিমরা ভারতে এসেছেন, তাঁরা আর অনুপ্রবেশকারী নন। ভারতীয় নাগরিক। যদিও মমতা বলেছেন, ‘উদ্বাস্তু হিসেবে আসার পর বহু বছর ধরে যাঁরা ভারতীয় নাগরিক, তাঁদেরই আবার নাগরিকত্ব নিতে হবে? এটা কি তামাশা?’ তাঁর সাফ কথা, ‘নির্বাচনের আগে কোনও অশান্তি চাই না। তবে বাংলার মানুষকে কথা দিচ্ছি, এনআরসির নামে ছলনা করে যদি অধিকার কেড়ে নিতে চায়, আমরা রুখে দাঁড়াব।’ মমতা সহ সব বিরোধীর বক্তব্য একটাই, সিএএ আসলে কৌশলে ভারতের সংখ্যালঘুদের বিরুদ্ধে চক্রান্ত। তাদের চাপে রাখতে এবং নাগরিকত্ব প্রমাণ করার দায় চাপিয়ে দেওয়ার পরিকল্পনা। বিস্ফোরক মন্তব্যটি করেছেন কংগ্রেস নেতা জয়রাম রমেশ। বলেছেন, ‘লোকসভা ভোটে মূলত অসম এবং বাংলায় বিভাজনের রাজনীতি উস্কে দিতেই এই সিদ্ধান্ত।’ 

No comments